কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৩৮) : ওশরকিভাবে দিব বা আদায় করব?

উত্তরফসল যেদিন কেটে আনার পর প্রস্তুত হয়ে যাবে সেদিন সম্পূর্ণ ফসলের ওশর দিতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা তার ফল থেকে আহার কর, যখন তা ফলদান করে এবং ফল কাটার দিনেই তার হক দিয়ে দাও’ (আল-আনআম, ৬/১৪১)। ফসল যদি আকাশ, ঝর্ণা কিংবা কূপের পানি দ্বারা উৎপাদিত হয়, তাহলে এক-দশমাংশ ওশর দিতে হবে। আর যদি সেচ প্রক্রিয়া বা বিভিন্ন খরচের মাধ্যমে উৎপাদিত হয়, তাহলে ‘নিছফে ওশর’ বা বিশ ভাগের একভাগ ওশর দিতে হবে। আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে স্থান আকাশের অথবা প্রবাহিত কূপের পানিতে সিক্ত হয় অথবা যা নালার পানিতে তরতাজা হয়, তাতে ওশর (দশভাগের একভাগ) আদায় করতে হবে। আর যে সব ফসল সেচের মাধ্যমে উৎপাদিত হয় তাতে নিছফে ওশর (বিশ ভাগের এক ভাগ) আদায় করতে হবে। (ছহীহ বুখারী, হা/১৪৮৩; মিশকাত, হা/১৭৪৭; বুলূগুল মারাম, হা/৬১৫)। উল্লেখ্য, উৎপাদিত ফসল কেজির মাপে ১৮ মণ ৩০ কেজি হলে তার উপর যাকাত ফরয হয়। অর্থাৎ নিছাব পূর্ণ হয়।

প্রশ্নকারী : মো: সেলিম রেজা

বাগদাদ, ইরাক্ব।


Magazine