উত্তর: সামাজিকভাবে সম্ভব না হলে মামলা করে হলেও এমন দান ফেরত নিতে হবে। কেননা এর মাঝে অন্যান্য সন্তানদের হক্ব রয়েছে। নু’মান ইবনু বাশীর রযিয়াল্লাহু আনহু–এর পিতা জীবদ্দশায় তাকে একটি দাস দান করলেন এবং সাক্ষী বানানোর জন্য রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর নিকট আসলেন। বললেন, আমি আমার এই সন্তানকে একটি দাস দান করেছি এ ব্যাপারে আপনাকে সাক্ষী বানাতে এসেছি। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, «أَعْطَيْتَ سَائِرَ وَلِدِكَ مِثْلَ هَذَا؟» তোমার সকল সন্তানকে এরূপ দিয়েছো? তার পিতা বলল, না; রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘আল্লাহকে ভয় করো এবং সন্তানদের মাঝে ইনসাফ করো’ (ছহীহ বুখারী, হা/২৪৪৭; মিশকাত, হা/৩০১৯)। সুতরাং যেহেতু জমি এক সন্তানকে দিয়ে দেওয়া হয়ে গেছে, তাই সে সন্তান যদি ফেরত দিতে না চাই তাহলে, কোর্টের সহযোগিতায় জমি ফেরত নিয়ে সন্তানদের মাঝে ইনসাফ করা আবশ্যক। অন্যথায় হক্ব নষ্টের কারণে আল্লাহর নিকট জবাবদিহি করতে হবে। ওয়ারেছদেরকে দান/ওছীয়ত করা জায়েয নয়। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক হক্বদারের ন্যায্য হক্ব প্রদান করেছেন। শোনো! ওয়ারিছদের জন্য কোনো ওছীয়ত বা দান নেই’ (ইবনু মাজাহ, হা/২৭১৪)। অন্যত্র তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক হক্বদারকে তার হক্ব বুঝিয়ে দাও’ (বায়হাক্বী কুবরা, হা/৮৪১৪)। সুতরাং এই দান ফেরত নেওয়াতে কোনো সমস্যা নেই।ৎ
প্রশ্নকারী : গোলাম কাদের
চট্টগ্রাম।