কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৪৯) : কী কারণে আশূরায়ে মুহাররম এত গুরুত্বপূর্ণ? বিস্তারিত জানতে চাই?

উত্তর : আশূরায়ে মুহাররমের গুরুত্বের মৌলিক কারণ হলো, এদিনে মহান আল্লাহ মূসা আলাইহিস সালাম ও তাঁর ক্বওমকে অত্যাচারী বাদশাহ ফেরাঊনের কবল থেকে মুক্ত করেছিলেন এবং তাকে ও তার লোকদেরকে ডুবিয়ে মেরেছিলেন। ইবনু আব্বাস রযিয়াল্লাহু আনহুমা বর্ণনা করেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদীনায় আগমন করেন, তখন দেখতে পেলেন ইয়াহূদীগণ ‘আশূরা’ দিবসে ছওম পালন করে। তাদেরকে ছিয়াম পালনের কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলল, এদিনই আল্লাহ তাআলা মূসা আলাইহিস সালাম ও বনী ইসরাঈলকে ফেরাঊনের উপর বিজয় দান করেছিলেন। তাই আমরা ঐ দিনের সম্মানার্থে ছওম পালন করে থাকি। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তোমাদের চাইতে আমরা মূসা আলাইহিস সালাম-এর অধিক নিকটবর্তী’। এরপর তিনি ছিয়াম পালনের আদেশ দেন (ছহীহ বুখারী, হা/৩৯৪৩; ছহীহ মুসলিম, হা/১১৩০)। দ্বিতীয়ত, নাজাতে মূসার শুকরিয়া স্বরূপ এদিন ও তার পূর্বে একদিন ছিয়াম পালন করলে তা আল্লাহর নিকটে বান্দার বিগত এক বছরের (ছাগীরা) গুনাহের কাফফারা হিসাবে গণ্য হয়। আবূ ক্বাতাদা রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আর আশূরার ছিয়াম সম্পর্কে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে, তাতে পূর্ববর্তী বছরের গুনাহসমূহের কাফফারা হয়ে যাব ‘ (ছহীহ মুসলিম, হা/১১৬২; মিশকাত, হা/২০৪৪)।

উল্লেখ্য যে, হুসাইনের শাহাদাত বরণের সাথে আশুরায়ে মুহাররমের দূরতম কোনো সর্ম্পক নেই (ইবনু হাজার আসক্বালানী, দারুল ইছাবা, ১/৩৩১ পৃ.)।

প্রশ্নকারী : ওমর ফারুক

রাজশাহী।


Magazine