উত্তর : হাদিয়ার বিষয়টি কোনো অনুষ্ঠানকে উপলক্ষ্য করে নয়; বরং পরস্পর মহব্বত বাড়ানোর জন্য হাদিয়া দেওয়া যায়। আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুসলিমের ওপর মুসলিমের ছয়টি হক্ব (অধিকার) আছে। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রসূল! এ অধিকারগুলো কী কী? জবাবে তিনি বলেন, (১) কোনো মুসলিমের সাথে দেখা হলে সালাম দেবে, (২) তোমাকে কেউ দাওয়াত দিলে তা কবুল করবে, (৩) তোমার কাছে কেউ কল্যাণ কামনা করলে তাকে কল্যাণের পরামর্শ দেবে, (৪) হাঁচি দিলে তার জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলবে, (৫) কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দেখতে যাবে, (৬) কারো মৃত্যু ঘটলে তার জানাযায় শরীক হবে (ছহীহ মুসলিম, হা/২১৬২; মিশকাত, হা/১৫২৫)। দাওয়াতের ব্যাপারটি মুসলিমদের পারস্পরিক হক্ব। তাই দাওয়াতকারীর উদ্দেশ্য যেটাই হোক না কেন সেখানে যাওয়াই উত্তম। তাছাড়া এর ফলে উপদেশ প্রদানেরও সুযোগ সৃষ্টি হয়। ‘হাদিয়া’ বিনিময় পারস্পরিক মহব্বত বৃদ্ধি করে। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা হাদিয়া বিনিময় করো ও মহব্বত বৃদ্ধি করো’ (ছহীহুল জামে‘, হা/৩০০৪)। সে হিসাবে কোনোরূপ শ্রুতি ও প্রদর্শনী ছাড়াই হাদিয়া দেওয়া যেতে পারে।
প্রশ্নকারী : ইমামুল হক
মিশনপাড়া, নারায়ণগঞ্জ।