কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৪০) : আমার এক ভাই দ্বিতীয় বিয়ে করায় এবং প্রথমা স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক ভালো না থাকায় প্রথমা স্ত্রী তার পুত্রের রোজগারে অন্যত্র বাসা ভাড়া করে থাকেন। স্বামী স্ত্রীর কিংবা স্ত্রী স্বামীর, কেউ কারো খোঁজ খবর নেয় না। কেউ কাউকে তালাক্বও দেয় না। উভয়ের বাসার দূরত্ব আধা কিলোমিটার। কদাচিৎ তাদের দেখা হলেও কখনো কথা হয় না। এভাবে প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর পার হয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে ইসলামের নির্দেশনা কী?

উত্তরকোনো পুরুষ যদি একাধিক স্ত্রীর মাঝে ইনছাফ করতে পারে, তাহলে শরীআতে তার জন্য একাধিক বিবাহ করার অনুমতি রয়েছে (আন-নিসা, ৪/৩)। কিন্তু একাধিক বিবাহ করলে অবশ্যই স্ত্রীদের মাঝে ইনছাফ করতে হবে। কিন্তু প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী, এখানে স্বামী স্ত্রীর কোনো খোজ খবর রাখে না, আবার স্ত্রীও স্বামীর কোনো খোজ খবর রাখে না, যেটা মোটেই কাম্য নয়। সুতরাং এক্ষেত্রে স্বামী যদি তার সেই প্রথম স্ত্রীকে স্ত্রী হিসেবে রাখতে চায়, তাহলে তার সাথে বিষয়টার মীমাংসা করে নিবে। প্রয়োজনে তার পরিবার থেকে একজনকে এবং স্ত্রীর পরিবার থেকে একজনকে সালিশ নিযুক্ত করবে। সেই সালিশগণ নিষ্পত্তি চাইলে আল্লাহ তাআলা তাদের মাঝে মীমাংসার ব্যবস্থা করে দিবেন (আন-নিসা, ৪/৩৫)। আর যদি সেই স্ত্রীকে রাখতেই না চায়, তাহলে বিধিসম্মতভাবে তাকে ত্বালাক্ব দিবে। অনুরূপভাবে স্ত্রীও যদি তার স্বামীর কাছে যেতে না চায় আর যদি না যাওয়ার যথাযথ কারণ থাকে, তাহলে সে খোলা করে নিবে। কিন্তু স্বামীর কোনো দোষ-ত্রুটি না থাকলে সেই স্ত্রীর জন্য খোলা করা জায়েয হবে না। কেননা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো মহিলা স্বামীর নিকট দোষ-ত্রুটি ছাড়া খোলা ত্বালাক্ব চাইলে তার জন্য জান্নাতের সুগন্ধি হারাম’ (তিরমিযী, হা/১১৮৭; আবূ দাঊদ, হা/২২২৬; ইবনু মাজাহ, হা/২০৫৫; মিশকাত, হা/৩২৭৯)। সুতরাং স্বামীর দোষ না থাকলে স্ত্রীর উচিত হবে, তার স্বামীর কাছে আবার ফিরে যাওয়া এবং সংসার চালিয়ে যাওয়া। ইনশাআল্লাহ- এর মাধ্যমেই আল্লাহ তাদের মধ্যে বরকত দান করবেন।

প্রশ্নকারী : মো: মাহবুব আলম

বরগুনা।


Magazine