উত্তর : সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার শুধু সকাল-সন্ধ্যায় পাঠ করা খাছ নয়। বরং রাত-দিনের যে কোনো সময় পড়া যেতে পারে। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি নিবিষ্ট মনে সাইয়্যেদুল ইস্থিগফার দিবসে পাঠ করবে এবং সন্ধ্যার পূর্বে মারা যাবে, সে ব্যক্তি জান্নাতীদরে অন্তর্ভূক্ত হবে। আর যে ব্যক্তি ইয়াক্বীনের সাথে সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার রাতে পাঠ করবে এবং সকাল হওয়ার আগে মারা যাবে, সেও জান্নাতীদের অন্তর্ভূক্ত হবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬৩০৬)। অন্য বর্ণনায় বলেছেন, যদি কেউ সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার সন্ধ্যায় পড়ে মারা যায় তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। অনুরুপভবে সকালে পড়ে সে দিনের যে কোনো সময় মারা গেলেও জান্নাতে প্রবেশ করবে (ছহীহ বুখারী, হা/ ৬৩২৩)। আর যেসব হাদীছে সকাল-সন্ধ্যার কথা বলা হয়েছে, সেখানে সকাল দ্বারা উদ্দেশ্যে হলো-ফজর ছালাত হতে সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত এবং সন্ধ্যা দ্বারা উদ্দেশ্যে হলো- আছরের ছালাত হতে মাগরিব পর্যন্ত। এ ক্ষেত্রে ইবনুল কাইয়্যুম রহিমাহুল্লাহ দলীল
হিসাবে বলেছেন, আল্লাহর বাণী, ‘তোমরা সকাল-সন্ধ্যায় তাসবীহ পাঠ করো’ (আল-আহযাব, ৩৩/৪২)। ‘তুমি সূর্য উদিত ও অস্ত যাওয়ার পূর্বে তোমার রবের প্রশংসার মাধ্যমে তাসবীহ পাঠ করতে থাকো’ (ক্বফ, ৫০/৩৯)।
প্রশ্নকারী : আরাফাত ইসলাম ওরনাব
ক্যান্টনমেন্ট ঢাকা-১২০৬।