উত্তর: না, উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। বরং এটা বানোয়াট ও সামাজিক কুসংস্কার মাত্র। তবে মানুষের ধনসম্পদের ক্ষয়ক্ষতি আসলে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা হয়ে থাকে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমরা তোমাদেরকে অবশ্যই পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দ্বারা। আর আপনি সুসংবাদ দিন ধৈর্যশীলদেরকে’ (আল-বাকারা, ২/১৫৫)। বালা-মুছীবত অনেক সময় নেকীর মাধ্যম হয়ে থাকে। আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহ যে ব্যক্তির কল্যাণ কামনা করেন তাকে তিনি দুঃখ-কষ্টে পতিত করেন’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৬৪৫)। আবূ সাঈদ খুদরী ও আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মুসলিম ব্যক্তির উপর যে কষ্ট-ক্লেশ, রোগ-ব্যাধি, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা, কষ্ট ও পেরেশানী আসে, এমনকি যে কাঁটা তার দেহে ফুটে, এসবের মাধ্যমে আল্লাহ তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৬৪১; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৪২৪)। তাই কোনো বিপদ হলে হতাশ না হয়ে ধৈর্যধারণ করতে হবে।
প্রশ্নকারী : উমার ফারূক
মাগুরা।