কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (২৩) : আমি অনেক বড় ভুল করেছি। ৫ বছর ধরে একটি মেয়ের সাথে আমার অবৈধ সম্পর্ক। আমি শায়খ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফের বক্তব্য শুনে তওবা করে নিজেকে শোধরানোর চেষ্টা করছি এবং মেয়েটির সাথে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছি। কিন্তু বর্তমানে মেয়েটি আমাকে বিয়ের জন্য প্রচুর পরিমাণে চাপ দিচ্ছে। অপর দিকে আমার অভিভাবকগণ ঐ মেয়ের সাথে কোনভাবেই বিয়ে দিতে রাজি নয়। কিন্তু মেয়েটি একটি বক্তব্যের কিছু অংশ আমার কাছে পাঠিয়েছে। যেখানে বলা আছে- যার সাথে যেনা হয়েছে সে তাকে বিয়ে করতে বাধ্য। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, ছেলে-মেয়ে যেনায় লিপ্ত হওয়ার পর যদি দুইজনের একজন বিবাহ করতে সম্মত না হয় তাহলেও কি পরস্পর বিবাহ করতে বাধ্য?

উত্তর : বিবাহের পূর্বে নারী-পুরুষের সকল সম্পর্ক হারাম। সুতরাং তাদের উপর হদ্দ (যেনার নির্ধারিত শাস্তি) প্রয়োগ করতে হবে (আন-নূর, ২৪/২)। আর এই শাস্তি কার্যকরের দায়িত্ব সরকারের। অভিভাবকের সম্মতিতে তাদের মাঝে বিবাহ দেওয়া যায়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘ব্যভিচারী কেবল ব্যভিচারিণী অথবা মুশরিকা নারীকে ছাড়া বিয়ে করবে না এবং ব্যভিচারিণীকে কেবল ব্যভিচারী অথবা মুশরিক ছাড়া বিয়ে করবে না। আর মুমিনদের উপর এটা হারাম করা হয়েছে’ (আন-নূর, ২৪/৩)। তবে তাদের মাঝে জোরপূর্বক বিবাহ দেওয়া যাবে না। উবায়দুল্লাহ ইবনু ইয়াযিদ রহিমাহুল্লাহ তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, একজন ছেলে একজন মেয়ের সাথে অপকর্ম করল। অতঃপর উমার রযিয়াল্লাহু আনহু যখন মক্কায় আগমন করলেন তখন তার সামনে এই মামলাটি পেশ করা হলো। তিনি তাদের দুইজনকে জিজ্ঞাসা করলেন, তারা দুইজন এই অপকর্মের স্বীকারক্তি প্রদান করল। তিনি তাদের দুইজনকে (যেনার শাস্তি) বেত্রাঘাত করলেন এবং তাদেরকে একত্রিত করার (বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার) আশা ব্যক্ত করলেন। ছেলেটি তার এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন (মুসনাদ আশ-শাফেঈ, হা/১৩৮৬; সুনানুল কুবরা, হা/১৩৬৫৩)।

প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

দূর্গাপুর, রাজশাহী।


Magazine