উত্তর: না; তাদের মাঝে বিবাহ বৈধ হবে না। কেননা তারা দুধ ভাই-বোন। আর দুধ ভাই-বোনের মাঝে বিবাহ হারাম। যেমনভাবে বংশীয় কারণে বিবাহ হারাম। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে... তোমাদের সে সব মাতাকে যারা তোমাদেরকে দুধপান করিয়েছে, তোমাদের দুধবোনদেরকে...’ (আন নিসা, ৪/২৩)। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘জন্মসূত্রে যারা হারাম, দুধ সম্পর্কের কারণেও তারা হারাম’ (ছহীহ বুখারী, হা/৪৯৪১; ছহীহ মুসলিম, হা/১৪৪৫)। তবে দুই বছর বয়স অতিক্রম হওয়ার পর পান করলে তাতে দুধ ভাই-বোন সাব্যস্ত হবে না। তাই তারা চাইলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে। আল্লাহ তাআলা বলেন, وَفِصَالُهُ فِي عَامَيْنِ ‘তার দুধ ছাড়ানো হয় দু’বছরে’ (লুক্বমান, ৩১/১৪)। উকবা ইবনুল হারেস রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি আবূ ইহাব ইবনু ’আযীয -এর কন্যাকে বিয়ে করেন। অতঃপর জনৈকা মহিলা এসে বলল, আমি ’উকবা এবং তার স্ত্রীকে দুধপান করিয়েছি (তাদের বিবাহ কি বৈধ?)। ’উকবা উক্ত মহিলাটিকে বললেন, আপনি যে আমাকে দুধ পান করিয়েছেন (আমি জানি না) এবং তা কক্ষণো আমাকে বলেননি। অতঃপর তিনি (’উকবা ইবনুল হারেস) তার স্ত্রীর পরিবারের নিকট লোক পাঠিয়ে জানতে চাইলেন, উত্তরে তারা বলল যে, ঐ মহিলাটি যে আমাদের কন্যাকে দুধ পান করিয়েছে, তা আমরাও জানি না। অতঃপর ’উকবা মদীনায় এসে নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে জানতে চাইলেন। উত্তরে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা কিভাবে দাম্পত্য জীবন যাপন করবে, যেহেতু একটি কথা (দুধপানের ব্যাপারে) উঠেছে? এটা শুনে ’উকবা তার স্ত্রীকে ত্যাগ করলেন (তালাক দিলেন) এবং ঐ স্ত্রী অন্যত্র অন্য পুরুষের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলো (ছহীহ বুখারী, হা/৮৮; মিশকাত, হা/৩১৬৯)।
প্রশ্নকারী : আনিসুল হক
বেইজিং, চীন।