উত্তর : সূদ একটি গর্হিত অপরাধ যা ধনীকে ধনী বানায় আর গরীবকে গরীব বানায়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয় হালাল করেছেন এবং সূদকে হারাম করেছেন’ (আল-বাক্বারা, ২/২৭৫)। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূদগ্রহীতা, সূদ দাতা, এর সাক্ষী এবং এর লেখক সবাইকে অভিশাপ করেছেন (তিরমিযী, হা/১২০৬; ইবনু মাজাহ, হা/২২৭৭)। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ সূদকে ধ্বংস করে দেন এবং ছাদাক্বা বৃদ্ধি করেন...’ (আল-বাক্বারা, ২/২৭৬)। অতএব আপনাকে সূদ ভিত্তিক চাকরি ছেড়ে দিয়ে তওবা করে ফিরে আসতে হবে এবং অন্য কোনো বৈধ উপার্জনের পদ্ধতি বের করে রিযিক্ব অন্বেষণ করতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘প্রতিপালক! আমরা ভুলে গেলে অথবা ভুল করলে আমাদের পাকড়াও করো না’ (আল-বাক্বারা, ২/২৮৬)। তিনি আরো বলেন, ‘আল্লাহর যমীন প্রশস্ত’। তিনি আরো বলেন, ‘অতএব তোমরা আল্লাহর যমীনে ছড়িয়ে পড়ো এবং তার রিযিক্ব তালাশ করো (আল-জুমু‘আ, ৬২/১০)। আর যা হয়ে গেছে তার জন্য তওবা করবে। আল্লাহ ক্ষমা করবেন ইনশা-আল্লাহ। এ মর্মে আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন আর সূদকে হারাম করেছেন। অতএব, যার কাছে তার রবের পক্ষ থেকে উপদেশ আসার পর সে বিরত হলো, যা গত হয়েছে তা তার জন্যই ইচ্ছাধীন। আর তার ব্যাপারটি আল্লাহর হাওলায়। আর যারা ফিরে গেল, তারা আগুনের অধিবাসী। তারা সেখানে স্থায়ী হবে’ (আল-বাক্বারা, ২/২৭৫)।
প্রশ্নকারী : মোঃ আশরাফূল ইসলাম
দিনাজপুর।