উত্তর: শয়তান আগুন থেকে সৃষ্ট, জিন জাতির অন্তর্ভুক্ত এবং মানবজাতির প্রকাশ্য শত্রু। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তখন ইবলীস ছাড়া সবাই সিজদা করল, সে ছিল জিনদের একজন। সে তার প্রতিপালকের আদেশ অমান্য করল, (আল্লাহ তাআলা বলেন) তবে কি তোমরা আমার পরিবর্তে তাকে ও তার বংশধরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করবে; অথচ তারা তোমাদের শত্রু?’ (আল-কাহফ, ১৮/৫০)। সে দুনিয়াতে মানুষকে বিভ্রান্ত করার দায়িত্ব নিয়ে এসেছে এবং প্রতিনিয়ত তার সঙ্গীদের নিয়ে সেই কাজেই ব্যস্ত রয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘(শয়তান বলেছিল) আমি অবশ্যই তাদেরকে পথভ্রষ্ট করব, অবশ্যই তাদের হৃদয়ে মিথ্যা বাসনার সৃষ্টি করব আর অবশ্যই আমি তাদেরকে নির্দেশ দেব, ফলে তারা পশুর কান ছিদ্র করবে। আর অবশ্যই তাদের নির্দেশ দেব, ফলে তারা আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করবে আর আল্লাহর পরিবর্তে কেউ শয়তানকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করলে সে স্পষ্টতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়’ (আন-নিসা, ৪/১১৯)। শয়তানকে মানুষের রগের শিরা-উপশিরায় পৌঁছানোর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘শয়তান মানুষের রক্তপ্রবাহে চলাফেরা করে আর আমি আশঙ্কা করলাম যে, শয়তান তোমাদের দুজনের মনে কোনো মন্দ ধারণা ঢেলে দিবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৩২৮১)। সে মানুষের আকৃতি গ্রহণ করতে পারে (ছহীহ বুখারী, হা/৩২৭৫)। তার একটি বাহিনী আছে যারা মানুষকে ফেতনায় ফেলে। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘ইবলীস পানির উপর তার সিংহাসন স্থাপন করে তার বাহিনী প্রেরণ করে। তন্মধ্যে তার সর্বাধিক নৈকট্য অর্জনকারী সে-ই, যে সবচেয়ে বেশি ফেতনা সৃষ্টিকারী’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২৮১৩)। আখেরাতে আল্লাহ তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন। আল্লাহ বলেন, ‘অবশ্যই তোমার দ্বারা ও তাদের মধ্যে যারা তোমার অনুসরণ করবে তাদের সবার দ্বারা আমি জাহান্নাম পূর্ণ করব’ (সোয়াদ, ৩৮/৮৫)।
প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ আতিক
বড়বাড়িয়া, দিনাজপুর।