কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৩৬) : আমি একটা জব করি। সেখানে নিকোটিনের ঘাটতি পূরণের জন্য কর্মচারীদের সিগারেট দেওয়া হয়। আমি তা বিক্রি করে অন্য কিছু কিনে খাই বা আমার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যয় করি। এমনটি করা কি শরীয়তসম্মত হচ্ছে? না হলে করনীয় কী?

উত্তর : নিকোটিন হলো তামাকপাতা থেকে প্রাপ্ত একরকম বিষাক্ত বর্ণহীন উপক্ষার। এক কথায় মাদক বলা যেতে পারে। মহান আল্লাহ মদ খাওয়া হারাম করেছেন। তিনি বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! জেনে রাখো, নিশ্চয় মদ, জুয়া, লটারী, ও ভাগ্যনির্ধারনী তীরসমূহ শয়তানের নাপাক কর্ম (আল মায়েদা, ৫/৯০)। ইবনু উমার রযিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘প্রত্যেক নেশাদার দ্রব্য হারাম’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২০০৩; আবূ দাঊদ, হা/৩৬৭৯)। সুতরাং কর্মচারীদের ক্লান্তি দূর করার জন্য মাদক পরিবেশন করা যাবে না। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা পাপের কাজে পরস্পর সহযোগিতা করো না’ (আল মায়েদা, ৫/২)। আর কোনো প্রতিষ্ঠান এ ধরনের মাদকদ্রব্য পরিবেশন করে থাকলে তা গ্রহণ করা যাবে না বা গ্রহণ করলেও তা ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করতে হবে, কারো নিকট বিক্রি করে এর মূল্য ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা যাবে না। আনাস রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মদের সাথে সম্পৃক্ত দশ শ্রেণির মানুষকে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভিশাপ করেছেন। তার এক শ্রেণির লোক হলো, যে মদ বিক্রি করে (তিরমিযী, হা/১২৯৫; মিশকাত, হা/২৭৭৬)।

প্রশ্নকারী : আব্দুল কায়্যুম, গাইবান্ধা।



Magazine