কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৩৭) : মেহের জাইন, জাইন বিখা, আহমেদ বুখাতির যেসব নাশিদ গায় তা শুনা কি ঠিক হবে? শিরোনামে ‘নো মিউজিক’ লেখা থাকলেও তাতে এক ধরনের বাজনা থাকে।

উত্তর : বর্তমান সময়ে বিভিন্ন নাশীদ ও গজলে মিউজিক তথা ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড হিসাবে যে সাউন্ড ব্যবহার করা হচ্ছে তা বাদ্যযন্ত্রের অর্ন্তভুক্ত। সুতরাং এমন ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড যুক্ত নাশীদ ও গজল শোনা যাবে না। কেননা ইসলামে বাদ্যযন্ত্র সম্পূর্ণভাবে হারাম। কুরআনে এগুলোকে لَهْوَ الْحَدِيْثِ অনর্থক কাজ/জিনিস হিসাবে বলা হয়েছে (লুক্বমান, ৩১/৬)। আবূ মালেক আশ‘আরী রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ‘আমার উম্মতের মাঝে অবশ্যই এমন কতগুলো দলের সৃষ্টি হবে যারা ব্যভিচার, রেশমী কাপড় মদ ও বাদ্যযন্ত্রকে হালাল জ্ঞান করবে’ (অথচ তা হারাম) (ছহীহ বুখারী, হা/৫৫৯০; বুলূগুল মারাম, হা/৫২৪)। অপর বর্ণনায় রয়েছে- আবূ মালেক আশ‘আরী রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমার উম্মতের কতক লোক মদের ভিন্নতর নামকরণ করে তা পান করবে। (তাদের পাপসক্ত অবস্থায়) তাদের সামনে বাদ্যবাজনা চলবে এবং গায়িকা নারীরা গান পরিবেশন করবে। আল্লাহ তাআলা এদেরকে মাটির নিচে ধ্বসিয়ে দিবেন এবং তাদের কতককে বানর ও শূকরে রূপান্তরিত করবেন (ইবনু মাজাহ, হা/৪০২০)।

প্রশ্নকারী : রাকিব হাসান

ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ।


Magazine