উত্তর: চির রোগী হিসাবে গত বছরসহ পরের বছরেও প্রত্যেক ছিয়ামের বিনিময়ে ফিদইয়া দিবে (আল-বাক্বারা, ১৮৪; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা, ১০/১৬১)। মহান আল্লাহ বলেন, لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا ‘আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কাজের ভার দেন না’ (আল-বাক্বারা, ২৮৬।)। অন্যত্র এরশাদ হয়েছে, وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ ‘আর এটি যাদের জন্য কষ্টদায়ক হয়, তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্য দান করবে’ (আল-বাক্বারা, ১৮৪)।
উল্লেখ্য যে, কোনো ব্যক্তির পরবর্তীতে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে ছেড়ে দেওয়া ছিয়ামের ক্বাযা আদায় করবে। মহান আল্লাহ বলেন, فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ‘তবে তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি অসুস্থ থাকবে বা সফরে থাকবে, তাকে অন্য সময়ে সে ছিয়াম পূরণ করে নিতে হবে’ (আল-বাক্বারা, ১৮৪)। অসুস্থ ব্যক্তি হুকুমের দিক দিয়ে বৃদ্ধের মতোই (ফাতাওয়া লাজনা, দায়েমা, ১০/১৬০-১৬১)। তবে যারা বেশি বয়সের কারণে বা যে কোনো কারণে ভালো হওয়ার আশা পোষণ করে না, তারা প্রতিদিন একজন মিসকীনকে খাদ্য প্রদান করবে। ইবনু আব্বাস রযিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর বাণী, (অর্থ) সামর্থ্যবান তারা মিসকীনদের ফিদিয়া প্রদান করবে। তিনি বলেন, এ আয়াতটি অতি বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা লোকের জন্য ঐচ্ছিক ব্যবস্থা স্বরূপ। যদি তারা রোযা রাখতে সামর্থ্য হয়, তবে রোযা রাখবে, অন্যথায় প্রত্যহ একজন মিসকীনকে খাদ্য খাওয়াবে। আর গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মা যদি সন্তানের ক্ষতির আশঙ্কাবোধ করে, তবে তাদের জন্যও এ নির্দেশ বহাল রয়েছে (আবূ দাঊদ, হা/২৩১৮)।
প্রশ্নকারী : জান্নাতুল ফিরদাউস
ঢাকা।