কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (১) : মানুষের মতামতকে উপেক্ষা করে কুরআন ও হাদীছের অনুসরণ করাই হলো মূলত একজন মুসলিমের করণীয়, সেখানে ‘আহলেহাদীছ’ বলাটা কতটুকু জরুরী?

উত্তর : আল্লাহকে ইলাহ এবং মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে রাসূল হিসাবে স্বীকৃতি দানকারী প্রত্যেক ব্যক্তিই বাহ্যত মুসলিম। কিন্তু কুরআন-সুন্নাহর যথাযথ অনুসরণ ব্যতীত কোনো মানুষ প্রকৃত মুসলিম হতে পারে না। উছমান রযিয়াল্লাহু আনহু-এর মৃত্যুর পর যখন ফিতনা প্রকাশিত হয় এবং শিয়া ও খারেজী নামে দুটি ফিরকার আবির্ভাব হয় তখন থেকেই ছাহাবীগণ এই সমস্ত বাতিল ফিরকা থেকে নিজেদের আলাদা করার জন্য আহলুল হাদীছ, আহলুস সুন্নাহ ইত্যাদি নামে নিজেদের বৈশিষ্টগত পরিচয় দেওয়া শুরু করেন। ইবনু সীরীন রহিমাহুল্লাহ বলেন, ছাহাবীগণ সনদ নিয়ে প্রশ্ন করতেন না। কিন্তু যখন ফিতনা শুরু হলো তখন তারা বলতে লাগলেন, তোমাদের বর্ণনাকারীদের নাম বল। যদি আহলুস সুন্নাহর কেউ হাদীছ বর্ণনা করত তাহলে তা গ্রহণ করা হতো। আর বিদআতী কেউ হলে তাদের হাদীছ গ্রহণ করা হতো না (মুকাদ্দামা ছহীহ মুসলিম, হা/২৫)। ‘আহলেহাদীছ’ নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নাম নয়। বরং ‘আহলেহাদীছ’ একটি আক্বীদা ও আদর্শের নাম। যারা কুরআন-সুন্নাহর নিঃশর্ত অনুসরণে বিশ্বাসী। এর বিপরীতে অধিকাংশ লোকই কুরআন-সুন্নাহকে নিজেদের ইমামদের বুঝ, ফতওয়া ও যুক্তির আলোকে অনুসরণ করে থাকে, দলীলের বিপক্ষে গেলেও। এরাও কিন্তু মুসলিম। অপরদিকে আহলেহাদীছগণ দলীলের বিপরীতে কারো মতকে গ্রহণ করে না। তাই নিজের আক্বীদা, আদর্শ ও মানহাজ সুস্পষ্ট করার জন্য আহলেহাদীছ, সালাফী ইত্যাদি পরিচয় দেওয়াই উচিত (বিস্তারিত দেখুন- দুরুস লি শাইখিল আলবানী, ২০ খন্ড, পৃ. ৯)।

প্রশ্নকারী : শাহীন

বগুড়া। 


Magazine