কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৩৯) : ছহীহ হাদীছে এক পাপাচারী মহিলা কর্তৃক তৃষ্ঞার্ত কুকুরকে কুয়া থেকে পানি উঠিয়ে পান করানোর প্রতিদানে জান্নাতের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। আবার ছহীহ হাদীছে বলা হয়েছে, যে বাড়িতে কুকুর থাকে সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না। বিষয়টির ব্যাখ্যা জানতে চাই। মুমিন ব্যক্তি কি কোনো অসুস্থ বিপন্ন কুকুরকে তার বাড়িতে আশ্রয় দিলে তা ক্ষতিকর হবে?

উত্তর : এক নারী কর্তৃক কুকুরকে পানি পান করিয়ে জান্নাত লাভের হাদীছটি ছহীহ বুখারীসহ বিভিন্ন গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। অত্র হাদীছের উদ্দেশ্য হলো, জীবের প্রতি দয়া করা। আর তা শুধু কুকুরের সাথে খাছ নয় বরং সকল প্রাণির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, إِنَّ اللَّهَ كَتَبَ الإِحْسَانَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ ‘নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের উপর প্রত্যেক জিনিসের প্রতি দয়া করাকে অত্যাবশ্যক করেছেন (ছহীহ মুসলিম, হা/১৯৫৫)। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, এক ব্যক্তি কুকুরকে পানি পান করালেন। আল্লাহ তার এই আমল কবুল করলেন যার ফলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। ছাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! পশুর ব্যাপারেও কি আমাদের জন্য ছওয়াব রয়েছে? তিনি বললেন, প্রত্যেক জীবন্ত প্রাণির জন্য ছওয়াব রয়েছে (ছহীহ বুখারী, হা/৬০০৯; ছহীহ মুসলিম, হা/২২৪৪)। প্রাণি শিকারের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর ব্যতীত শখের বসে কুকুর পালন করা যাবে না। কেননা অপ্রয়োজনীয় কুকুর পালনের কারণে প্রতিদিন বান্দার ছওয়াব হতে দুই ক্বীরাত পরিমাণ ছওয়াব কমে যায়। আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রযিয়াল্লাহু আনহুমা নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, ‘যে ব্যক্তি শিকারী কুকুর কিংবা পশু রক্ষাকারী কুকুর ছাড়া অন্য কোন কুকুর পোষে, সে ব্যক্তির ছওয়াব থেকে প্রতিদিন দুই ক্বীরাত পরিমাণ কমে যায়’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৪৮১; ছহীহ মুসলিম, হা/১৫৭৪)। তবে অসুস্থতার কারণে সেবার উদ্দেশ্যে সুস্থতা অর্জন পর্যন্ত বাড়ি ব্যতীত কোনো সংরক্ষিত জায়গায় রেখে সেবা করা যেতে পারে।

প্রশ্নকারী : তাহেরা

রাজশাহী।


Magazine