কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৩৬) : আপনজন বাড়িতে মারা যাওয়ার পর জীবিত আত্মীয়-স্বজনদের করণীয় কী? কুরআন তেলাওয়াত, দরূদ পাঠ ইত্যাদি করা কি শরীয়া সম্মত?

উত্তর : কেউ মারা গেলে তার আত্মীয়-স্বজনদের উপর কর্তব্য হলো, মৃতের পরিবারের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা, তাদের সান্ত্বনা দেওয়া, বিলাপ না করা, মৃত ব্যক্তির জন্য দান-ছাদাক্বা ও দু‘আ করা। আসমা বিনতে উমায়েস রযিয়াল্লাহু আনহা বলেন, যখন জা’ফর মুতার যুদ্ধে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে শহীদ হলেন, তখন রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার পরিবারের নিকট গেলেন এবং বললেন, ‘জা’ফরের পরিবার মর্মাহত, তোমরা তাদের জন্য খাবার তৈরি করো’ (ইবনু মাজাহ, হা/১৬১১)। মুগীরা ইবনু শু’বা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যার জন্য বিলাপ করে ক্রন্দন করা হয় ক্বিয়ামতের দিন তাকে শাস্তি দেওয়া হবে (ছহীহ মুসলিম, হা/৯৩৩; মিশকাতন, হা/১৭৪০)। উছমান রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃতের দাফন কার্য সম্পন্ন হলে দাঁড়িয়ে যেতেন এবং বলতেন, তোমরা তোমাদের ভাইয়ের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও এবং অটল থাকার দু‘আ করো। কেননা, তাকে এখন কবরে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে (তিরমিযী, হা/৩২২১; মিশকাত, হা/১৩৩)। তবে মৃত ব্যক্তির জন্য কুরআন তেলাওয়াত করা, দরূদ পাঠ করা, কুলখানী-চল্লিশার অনুষ্ঠান করা এসবই বিদ‘আত। আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের এই দ্বীনে নতুন কিছু উদ্ভাবন করবে যা তার মধ্যে নেই, তাহলে তা প্রত্যাখ্যাত’ (ছহীহ বুখারী, হা/২৬৯৭; ছহীহ মুসলিম, হা/১৭১৮)।

প্রশ্নকারী : রেজওয়ান ইসলাম

ঢাকা।


Magazine