কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৩৪) : কোনো নারী তার অভিভাবককে না জানিয়ে গোপনে কাজী অফিসে বিয়ে করে। তারপর নিজের ভুল বুঝতে পেরে দ্বিতীয় স্বামী গ্রহণ করে। তাহলে কি তার দ্বিতীয় স্বামী গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রথম স্বামী থেকে তালাক ও ইদ্দতের প্রয়োজন আছে?। উল্লেখ্য যে, দ্বিতীয় স্বামী গ্রহণের পূর্বে প্রথম স্বামীর সাথে তিন মাস আগে দাম্পত্য সম্পর্ক হয় ।

উত্তর : অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করলে বিয়ে হবে না; বরং তাদের তিন মাসের পারস্পারিক সম্পর্ক ব্যভিচার বলে গণ্য হবে। যখন বিয়েই হয় নাই তখন তালাক আর ইদ্দতের কোনো প্রশ্নই হয় না। আবূ মূসা আল-আশআরী বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘ওয়ালি ছাড়া বিবাহ শুদ্ধ হবে না’ (আবূ দাঊদ, হা/২০৮৫; তিরমিযী, হা/১১০১)। আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে মহিলা তার ওয়ালির অনুমতি ব্যতীত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে, তার বিবাহ বাতিল বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল…’ (তিরমিযী, হা/১১০২; মিশকাত, হা/৩১৩১)। সুতরাং বর্তমানে যেহেতু যেনার হদ বাস্তবায়ন করার কোনো ব্যবস্থা নেই, সেহেতু পূর্বের অপকর্মের জন্য আল্লাহর নিকট খালেছ অন্তরে তওবা করে প্রথম স্বামী থেকে তালাক নেওয়া ও ইদ্দত পালন করা ছাড়াই পরের (মেয়ে অভিভাবকের সম্মতিতে হয়ে থাকলে) বৈধ স্বামীর সাথে ঘর সংসার করতে পারে। এতে পূর্বের স্বামী থেকে তালাক নেওয়া বা ইদ্দত পালন করার কোনো প্রয়োজন নেই।

প্রশ্নকারী : রিজু আহমেদ

বিরল, দিনাজপুর।


Magazine