উত্তর : শরীআত সম্মতভাবে দারুল কুফর বা দারুল হারবের বিরুদ্ধে যু্দ্ধ করে বিজয় লাভ করার পর যুদ্ধে যে সকল নারী ও শিশু বন্দি হয় সে সকল নারী-পুরুষদের দাস-দাসী বলা হয়। বনু কুরায়যার যুদ্ধে সা‘দের ফায়সালায় পুরুষদের হত্যা করা হয়েছিল এবং মহিলা ও শিশুদের বন্দি করা হয়েছিল (মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৩৪০)। ইসলামে দাস-দাসীর হুকুম এখনো বিদ্যমান রয়েছে; রহিত হয়নি। তবে বর্তমানে দাসদাসী নেই। ভবিষ্যতে যদি মুসলিমদের সাথে অমুসলিমদের যুদ্ধ হয় এবং এ যুদ্ধে মুসলিমরা বিজয়ী, তাহলে তারা তাদের মহিলা ও শিশুদের দাস-দাসীতে রূপান্তরিত করতে পারবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে। তবে তারা তাদের স্ত্রীদের ক্ষেত্রে অথবা তাদের অধীনস্থ দাসীদের ক্ষেত্রে নিন্দিত হবে না’ (মুমিনুন, ২৩/৫-৬)। উল্লেখ্য যে, কোনো স্বাধীন ব্যক্তিকে ক্রয় করা বা অন্য কোনো মাধ্যমে দাস বানানো বৈধ নয়। কাজের মহিলারা দাসী নয়।
প্রশ্নকারী : শাহরিয়ার
চুয়াডাঙ্গা।