উত্তর: এমতবস্থায় না খেয়েই ছিয়াম থাকবে। পরবর্তীতে তাকে সে ছিয়ামের ক্বাযা ও কাফফারা আদায় করতে হবে না। আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহা বলেন, একদা নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এসে বললেন, তোমাদের নিকট কিছু আছে কি? আমরা বললাম, না। তিনি বললেন, তবে আমি ছিয়াম রাখলাম। অতঃপর আরেক দিন তিনি আমাদের নিকট আসলেন, আমরা বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদেরকে ‘হায়স’ হাদিয়া দেয়া হয়েছে। তিনি বললেন, তা আমাকে দাও! আমি তো ছিয়ামের নিয়্যত করেছি। আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহা বলেন, অতঃপর তিনি তা খেলেন (ছহীহ মুসলিম, হা/১১৫৪; নাসাঈ, হা/২৩২৩)। তবে সাহারীতে জাগার চেষ্টা করতে হবে। কেননা সাহারী খাওয়া সুন্নাত। সকলের উচিত সাহারী খাওয়ার প্রতি যত্নবান হওয়া। কেননা সাহারীর মধ্যে রয়েছে বিশেষ বরকত। আনাস ইবনু মালিক রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা সাহারী খাও, কেননা সাহারীতে বরকত রয়েছে (ছহীহ বুখারী, হা/১৯২৩; ছহীহ মুসলিম, হা/১০৯৫)।
প্রশ্নকারী : হাসিবুর রহমান
দিনাজপুর।