উত্তর : বিতর ছালাত আদায় না করলে গুনাহ হবে। কেননা বিতর ছালাত হলো গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত, যা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাড়িতে ও সফরে কোনো সময়ই ছাড়তেন না, যা একাধিক ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। আলী রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘হে কুরআনের ধারকগণ! তোমরা বিতর ছালাত আদায় করো। কেননা আল্লাহ বেজোড়, তাই তিনি বেজোড়কে ভালোবাসেন’ (আবূ দাঊদ, হা/১৪১৬)। ইবনু উমার রযিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরে ফরয ছালাত ব্যতীত তাঁর সওয়ারী হতেই ইঙ্গিতে রাতের ছালাত আদায় করতেন, সওয়ারী যে দিকেই ফিরুক না কেন। আর তিনি বাহনের উপরেই বিতর আদায় করতেন (ছহীহ বুখারী, হা/১০০০; ছহীহ মুসলিম, হা/৭০০)। তাই বিতর ছালাত না ছেড়ে তা নিয়মিতভাবে আদায় করার চেষ্টা করতে হবে।
উল্লেখ্য, যারা শেষ রাতে জাগতে পারবে বলে আশা রাখে তাদের জন্য শেষ রাতেই বিতর ছালাত আদায় করা উত্তম। কেননা ইবনু উমার রযিয়াল্লাহু আনহুমা বলতেন, তোমরা বিতরকে রাতের শেষ ছালাত হিসেবে আদায় করো। কেননা নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ নির্দেশ দিয়েছেন (ছহীহ বুখারী, হা/৪৭২)। তবে যারা শেষ রাতে জাগতে পারবে না বলে আশঙ্কা করে, তাদের জন্য প্রথম রাতেই বিতর ছালাত আদায় করে নেওয়া উচিত। কেননা রসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘শেষ রাতে জাগতে পারবে না বলে কারো আশঙ্কা হলে সে যেন রাতের প্রথমভাগেই (এশার ছালাতের পর) বিতর আদায় করে নেয়। আর কেউ যদি শেষ রাতে জাগতে আগ্রহী থাকে (অর্থাৎ শেষ রাতে জগতে পারবে বলে নিশ্চিত হতে পারে) তাহলে সে যেন শেষভাগে বিতর আদায় করে নেয়। কেননা শেষ রাতের ছালাতে (ফেরেশতাগণের) উপস্থিতি থাকে। আর এটাই সর্বোত্তম ব্যবস্থা (ছহীহ মুসলিম, হা/৭৫৫)।
প্রশ্নকারী : রুবেল ইসলাম
দিনাজপুর।