কৈফিয়ত : দুনিয়াব্যাপী ইসলাম নিয়ে যে বহু পর্যায়ের ষড়যন্ত্র চলছে, কমান্ডো সিনেমা তারই একটি অংশ। ইসলাম আর মুসলিমদের নানা কৌশলে এতদিন দাড়ি, টুপি, জুব্বা, রুমাল, সুরমাকে রাজাকার, জঙ্গি, বদমায়েশ, চরিত্রহীনদের পোশাক বানিয়ে অপমান করেছে ভারত ও এ দেশের মুভি মেকাররা। এবার যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে! নতুন সংযুক্তি, চরিত্র নয় সাবজেক্টই হবে সেটি! কৌশলে বিষয়টিই বাংলা সিনেমার সাবজেক্ট হলো।
এক নজরে ‘কমান্ডো’সিনেমার কাহিনী : সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় (?) অভিনেতা দেব অভিনীত চলচ্চিত্র ‘কমান্ডো’র টিজার প্রকাশ পেয়েছে ইউটিউবে। ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, দেলোয়ার হোসেন দিলের চিত্রনাট্যে কমান্ডো চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় (?) পরিচালক শামীম আহমেদ রনি। আর এ চলচ্চিত্রটির প্রযোজক বাংলাদেশের খ্যাতনামা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়া ও শাপলা মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার মো. সেলিম খান। মূলত অপরাধ জগৎ এবং র্যাবের একটি মিশন ছবিটির পটভূমিকায়। শাপলা মিডিয়া’র প্রযোজনায় ছবিতে দেবের সঙ্গে রয়েছেন সুদীপ মুখোপাধ্যায়, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, বরুণ চন্দকে।
সংবাদে আরও বলা হয়েছে, এর কাহিনীতে বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠন মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে এমন ঘটনা দেখানো হয়েছে। ঢাকা, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জায়গায় হামলার ছক করছে জঙ্গিরা। তাদের সেই মিশন বানচাল করার দায়ভার নিয়েছেন ওপার বাংলার অভিনেতা ‘কমান্ডো’ দেব বা উবা। এটিই দেবের প্রথম বাংলাদেশি ছবি। বড়দিনে মুক্তি পেয়েছে ‘কমান্ডো’র টিজার। টিজারের প্রথম দিকে দেবের মারপিট দেখা গেছে।
দেব নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছেন সেটি। সেখানে লিখেছেন, ‘অবশেষে অপেক্ষার অবসান, আপনাদের জন্য রইল আমার বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা কমান্ডোর টিজার। পাশে থাকার জন্য বাংলাদেশের সকল দর্শকদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা রাখি সিনেমাটি আপনাদের সকলের খুব ভালো লাগবে’।
সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ‘কমান্ডো’ সিনেমার গল্প তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে। শুরুতে এ সিনেমার নাম ছিল ‘মিশন সিক্সটিন’। পরে নাম পরিবর্তন করে ‘কমান্ডো’ রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে সিনেমার বেশ কিছু অংশের চিত্রায়ণ কলকাতায় শেষ হয়েছে। বাকি রয়েছে ঢাকা এবং চাঁদপুর অংশের কাজ। ভিসা পেলেই দেবের ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। তারপর অংশ নিবেন বাকি অংশের চিত্রায়ণে।[1]
মুসলিমদের পোশাক নিয়ে অবমাননা : কমান্ডো সিনেমায় জঙ্গি বানানো হয়েছে শুধু মুসলিমদেরকে। ওখানে কোনো হিন্দু, খ্রিষ্টান বা বৌদ্ধ ধর্মের কোনো চরিত্র রাখা হয়নি। টিজারের প্রথম দিকে দেখা গেছে- যাকে জঙ্গিদের লিডার বানানো হয়েছে, তার মাথায় আছে পাগড়ী, মুখে দাড়ি, গায়ে জুব্বা। কিন্তু হিন্দুদের কোনো পোশাক যেমন ধুতি, পুতির মালা ইত্যাদি পরিহিত অবস্থায় কোনো চরিত্র রাখা হয়নি। বেশ কয়েক বছর থেকে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, দেশের নাটক বা সিনেমায় যে ব্যক্তিকে দিয়ে খুন, ধর্ষক, ভূমিদস্যু ও অত্যাচারীর চরিত্রে অভিনয় করানো হয়, তার মাথায় টুপি, দাড়ি, কপালে সেজদার দাগ, পাঞ্জাবি-পায়জামা পরা অবস্থায় দর্শকদের সামনে উপস্থিত করা হচ্ছে। দৃশ্যত মনে হয়, দাড়ি-টুপিওয়ালারাই যেন ‘সব অপরাধের হোতা’। তার মানে, সমাজে শার্ট-প্যান্ট-স্যুট, টাই পরা লোকেরা কি অপরাধ করে না?
টিজারটির ১২ সেকেন্ডে গিয়ে দেখা গেছে- মাথায় টুপি, গলায় হাজি তোয়ালে, মুখে দাড়ি এবং জুব্বা পরিহিত অবস্থায় এক লোক খুব ভয়ংকরভাবে তাকাচ্ছে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট করে মুসলিমদের বিশেষ পোশাক নিয়ে হেয় প্রতিপন্ন ও চরমভাবে অবমাননা করা হয়েছে।
মুসলিমদেরকে সন্ত্রাসী হিসাবে উপস্থাপন : সিনেমাটির প্রকাশিত পুরো টিজারটিতে নির্দিষ্ট করে শুধু মুসলিমদেরকে টার্গেট করেই জঙ্গি, সন্ত্রাসী বানানো হয়েছে, যা অবশ্যই নিন্দনীয় ও গর্হিত অপরাধ। অর্থাৎ মুসলিম মানেই সন্ত্রাসী, জঙ্গি- এটা প্রোমোট করার জন্যই এই সিনেমা তৈরি করা হয়েছে। উক্ত সিনেমায় মূলত জিহাদের অপব্যাখ্যা করা হয়েছে। মূল কথা হলো- জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ জিহাদ নয়; বরং জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করাই হলো জিহাদ। বাংলাদেশে একটি কথা প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল, তা হলো- মাদরাসার ছাত্ররাই জঙ্গি এবং মাদরাসায় জঙ্গিবাদ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় হামলা হয়েছে ২০১৬ মালে গুলশানের হলি আর্টিজানে। তখন প্রমাণ মিলেছে, ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত, আধুনিক পরিবারের সদস্যরাই জঙ্গিবাদে জড়িত রয়েছে।
‘না‘রায়ে তাকবীর’ নিয়ে ভণ্ডামি : ‘না‘রায়ে তাকবীর’ নিয়ে মূল ভণ্ডামিটা হলো- প্রকাশিত টিজারটির ০৯ সেকেন্ডে গিয়ে দেখা গেছে- ‘না‘রায়ে তাকবীর’ বলে জঙ্গিরা তাদের মিশন বাস্তবায়নের জন্য বের হচ্ছে। উল্লেখ্য, ‘না‘রায়ে তাকবীর’ এর মধ্যে ১ম শব্দটি উর্দূ (نعره) অর্থ: ধ্বনী বা উচ্চ আওয়াজ। তাকবীর শব্দটি আরবী। অর্থ: আল্লাহর বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব। সুতরাং না‘রায়ে তাকবীর অর্থ হলো, তাকবীর ধ্বনী। অর্থাৎ তোমরা উচ্চ উওয়াজে আল্লাহর বড়ত্বের ঘোষণা দাও। যদিও ‘লিল্লাহি তাকবীর’ বলাই ভালো।
‘ঈদ’উৎসব নিয়ে অবমাননা : টিজারে দেখা গেল, `EID 2021' লেখা অর্থাৎ আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে উক্ত সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। তার মানে- যেই সিনেমায় মুসলিমদেরকেই সন্ত্রাসী, জঙ্গি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, আবার সেই সিনেমাকেই মুসলিমদেরই একটি প্রধান ধর্মীয় উৎসবে মুক্তি দিতে চাচ্ছে। এটা কত বড় ভণ্ডামি!
কালেমা খচিত পতাকার অবমাননা : ইউটিউবে মুক্তি পাওয়া টিজারটিতে দেখা গেছে, কালেমা খচিত পতাকা এবং পতাকার নিচের অংশে AK-47-এর সিম্বল। পতাকার পেছন থেকে অস্ত্র হাতে বেরিয়ে আসছে কথিত সন্ত্রাসীরা। চারদিকে আরবী লেখা। টিজারের এই অংশে দেখানো হচ্ছে কথিত সন্ত্রাসীরা সুন্নাতী পোশাক পরে ‘না‘রায়ে তাকবীর’, ‘আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দিচ্ছে। আর কালেমাধারীদের পরাজিত করার জন্য ‘নায়ক দেব’ যুদ্ধ করে যাচ্ছে এই সিনেমাতে। এই মুভিতে দেখানো হয়েছে, ইসলামী জঙ্গিবাদ দমনে নায়ক দেব এসে হাযির হয়েছে। যেহেতু জঙ্গিদের সিম্বল হিসাবে কালিমা খচিত পতাকা ব্যবহার করা হয়েছে, সেহেতু ওখানে সুস্পষ্টভাবে ইসলামকে পাশবিকতার ছদ্মাবরণ দেওয়া হয়েছে। আর ভিলেন বানিয়েছে ইসলামকে, যা ইচ্ছাকৃত ইসলাম বিদ্বেষ। ইসলাম কখনো জঙ্গি ধর্ম নয়, একই সঙ্গে ধর্মের নামে শুধু ইসলামেই উগ্রতা আর জঙ্গিবাদ আছে এমন নয়, সব ধর্মেই আছে, তাহলে মুভিতে কেন ইসলাম আর কালেমার পতাকারই শুধু ব্যবহার করা হলো? পরিচালক এই স্পর্ধা কোথায় পেল? নাটক-সিনেমায় আগে থেকেই খারাপ চরিত্র, ধর্ষক, বদমাশ দেখাতে দাড়ি-টুপি চোখে সুরমা লাগানো ইত্যাদি কার্যক্রম চলে আসছে। আমাদের নীরবতায় এখন ভিলেন চরিত্রে সরাসরি কালিমা ব্যবহার করার সাহস দেখাচ্ছে। হাদীছে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ وَإِقَامِ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ وَحَجِّ الْبَيْتِ وَصَوْمِ رَمَضَانَ.
‘পাঁচটি বিষয়ের উপর ইসলামের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত: আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো ইলাহ নেই, আর মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল- এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা, ছালাত ক্বায়েম করা, যাকাত দেওয়া, বায়তুল্লাহর হজ্জ করা ও রামাযানের ছিয়াম পালন করা’।[2]
জাতীয় পতাকা নিয়ে ঝুলাঝুলি : কমান্ডো টিজারের ৪৪-৪৭ সেকেন্ডে গিয়ে দেখা গেছে- বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ধরে বেশ কয়েকবার ঝুলাঝুলি করছে নায়ক দেব। এটা কি জাতীয় পতাকার অসম্মান নয়? অথচ জাতীয় পতাকার প্রতি অবমাননা প্রদর্শন করা বা জাতীয় পতাকার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন না করলে ওই ব্যক্তিকে বাংলাদেশের ২০১০ সালের ২০ জুলাই প্রণীত আইন অনুযায়ী ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা এক বছরের কারাদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে।[3] গরুর গোশত খাওয়ার অপরাধে যখন ভারতে মুসলিমদের পিটিয়ে হত্যা করা হয়, তখন বাংলাদেশের বক ধার্মিক বুদ্ধিজীবীদের মুখে কোনো কথা ওঠে না, বরং বলেন যে, ভারতের এসব অভ্যন্তরীণ বিচ্ছিন্ন ঘটনা। অন্যদিকে মুখে দাড়ি, মাথায় টুপি, টাখনুর ওপর কাপড় পরিধান বা মুসলিম মেয়েরা মাথায় হিজাব ব্যবহার ইত্যাদিকে ‘কলকাতামনস্ক’ বুদ্ধিজীবীরা তাদের ‘মৌলবাদের পোশাক’ বলে চিহ্নিত করে থাকেন। ২০০২ সালে গুজরাট ও কেন্দ্রীয় সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং পুলিশের প্রত্যক্ষ সহায়তায় জঙ্গি হিন্দুরা প্রায় দুই হাজার মুসলিম নারী, পুরুষ ও শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করে, হাজার হাজার মুসলিম নারীকে ধর্ষণ করে ও হাজার হাজার মুসলিমদের বাড়ি-ঘর ও সম্পদ লুট করে।[4] সেদিন কোথায় ছিল এসব মানবতার ধ্বজাধারীরা? এতদিন হয়ে গেল গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে কোনো সিনেমা তৈরি হলো না কেন?
কমান্ডো সিনেমা নিয়ে বিতর্কের ঝড় : দুই বাংলার সুপারস্টার (?) দেবের জন্মদিনকে ঘিরে রিলিজ দেওয়া হয়েছে শাপলা মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালের অ্যাকশন মুভি ‘কমান্ডো’র টিজার। ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা থেকে নায়ক দেবের ইউটিউব চ্যানেল ‘দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেনচার্স’-এ দর্শকরা এই চলচ্চিত্রটির টিজার দেখতে পাচ্ছেন। মাত্র এক মিনিট এক সেকেন্ডের উক্ত টিজারটি প্রকাশের পর এ পর্যন্ত কয়েক লক্ষ বার ভিউ হয়েছে। ছবির টিজারই ছিল জন্মদিনে দেবের তরফে ভক্তদের রিটার্ন গিফট। কিন্তু কমান্ডোর টিজারের জেরেই বিতর্কে জড়ালো দেব। কেননা, কমান্ডোর টিজারে ইসলাম ধর্মকে ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ উঠার পর থেকেই হৈচৈ শুরু হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। পুরো সিনেমাটি এখনো মুক্তি পায়নি। চলতি ২০২১ সালের পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে কমান্ডো সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে এবং সেই মোতাবেক প্রস্তুতি চলছে, কিন্তু টিজারেই বিতর্ক সৃষ্টির পর বাধ্য হয়েই কমান্ডো সিনেমার প্রযোজক ও পরিচালক আত্মপক্ষ সমর্থন করে ইউটিউব, ফেসবুকসহ অনান্য সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্ম থেকে কমান্ডোর এই টিজারটি মুছে দিয়েছে।[5]
শেষ কথা : ইসলামের সঙ্গে জঙ্গিবাদের কোনো সম্পর্ক নেই। প্রকৃত মুসলিম জঙ্গি তো দূরের কথা, ত্রাসের পক্ষেও থাকতে পারে না। কিন্তু জঙ্গির ট্যাগ লাগিয়ে কালেমার পতাকাকে কারো হাতে ঈমানদাররা তুলেও দিতে পারে না। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া নিউজিল্যান্ডের সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে ক্রুশবিদ্ধকরণ মুভি বানিয়ে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে দায়ী করে দেব ও শোয়ার্জনেগারকে নায়ক বানানো হয়েছে কি? লাখ লাখ মুসলিমকে রাখাইন ও পার্শ্ববর্তী দেশের উগ্রবাদীদের দ্বারা হত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া নিয়ে বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে দায়ী করে কোনো সিনেমা বানানো হয়েছে কি? সেগুলো এত নিকটে ঘটলেও চোখে পড়ল না কেন? ভণ্ডামি সব ইসলাম আর সুন্নাতী পোশাক নিয়ে তাই না! মাত্র এক মিনিট এক সেকেন্ডের টিজারেই ইসলামের বিরুদ্ধে এত কিছু ষড়যন্ত্র করা হয়েছে! না জানি, পুরো সিনেমায় আরও কত কিছু ষড়যন্ত্র ও অবমাননা করা হয়েছে। আমরা উক্ত সিনেমা বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি।
[1]. https://m.somoynews.tv/pages/details/256430.
[2]. ছহীহ বুখারী, হা/৮; ছহীহ মুসলিম, হা/১৬।
[3]. https://www.jagonews24.com/m/feature/article/629237.
[4]. ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.), ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ (আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স, ঝিনাইদহ-বাংলাদেশ, ২য় সংস্করণ-ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ঈসায়ী), পৃ. ১৩।