উত্তর : প্রতিষ্ঠানের সম্পদ হিসাবে এগুলোর যথাযথ ব্যবহার ও সংরক্ষণ করা দায়িত্বশীলদের প্রতি বড় আমানত। সুতরাং দায়িত্বশীলদের বিনা অনুমতিতে তা ব্যবহার করলে খিয়ানত করা হবে। উবাদা ইবনুস সামিত রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুনায়নের যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে গনীমতের উটের পাশে নামায পড়লেন। তারপর তিনি উটের দেহ থেকে একটি পশম নিয়ে তা তাঁর দু’ আঙ্গুলের মাঝে রেখে বলেনঃ হে লোকসকল! অবশ্য এটা তোমাদের গনীমতের মাল। সুতা এবং সুঁই, আর যা পরিমাণে তার চেয়ে বেশী এবং যা তার চেয়ে কম, সবই তোমরা গনীমতের মালের মধ্যে জমা দাও। কেননা গনীমতের মাল চুরি করার ফলে কিয়ামতের দিন তা চোরের জন্য অপমান ও গ্লানি এবং জাহান্নামের শাস্তির কারণ হবে (ইবনু মাজাহ, হা/২৮৫০)। সুতরাং কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত বিশেষ প্রয়োজনে যদি কেউ সেগুলো ব্যবহার করে তাহলে যে বিল আসবে তা দায়িত্বশীলদের কাছে প্রদান করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, তোমরা আমানতকে তার হক্বদারের নিকট পৌঁছে দাও’ (সূরা আন-নিসা, ৪/৫৮)।
প্রশ্নকারী : সুমাইয়া ইয়াসমিন
বিরামপুর, দিনাজপুর।