কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ঈমানের আলো ও মুনাফেক্বীর অন্ধকার (পর্ব-৬)

post title will place here

দ্বিতীয় অধ্যায় : মুনাফেক্বীর অন্ধকার

১. নিফাক্বের তাৎপর্য :

(ক) নিফাক্বের শাব্দিক ও পারিভাষিক অর্থ :

নিফাক্বের শাব্দিক অর্থ : نفق (নাফাক্ব) অর্থ যমীনের সুড়ঙ্গ, অন্য জায়গায় নির্গত পথ। তাহযীবে রয়েছে অন্য যায়গায় যার পৌঁছার জায়গা রয়েছে। নাফাক্বা (نفقة) ও নাফিক্বা (نافقاء) অর্থ গোসাপ ও ইঁদুরের গর্ত। নাফাক্বা ও নাফিক্বা এমন জায়গা, ইঁদুর তার গর্ত থেকে যে জায়গাটি পাতলা করে রাখে। গর্তের অপর পথ দিয়ে যখন আসা হয়, তখন ইঁদুর তার বের হওয়ার এই জায়গাটিতে মাথা দিয়ে আঘাত দিয়ে বের হয়ে যায়। (نفق اليربوع) যবর দিয়ে (نفق، انتفق ও نفق) অর্থ: ইঁদুর তার গর্ত থেকে বের হলো। আর (نفق اليربوع تنفيقا ও نافق) অর্থ: ইঁদুর তার সুড়ঙ্গপথে প্রবেশ করল। এর থেকেই দ্বীনের মধ্যে মুনাফেক্ব শব্দের উৎপত্তি। আর (نفاق) নিফাক্ব শব্দটিতে যের দিয়ে অর্থ হয় মুনাফেক্বের কর্ম। নিফাক্ব হলো এক দিক থেকে ইসলামে প্রবেশ করা এবং অন্য দিক থেকে ইসলাম হতে বের হওয়া’।[1]

আবূ সাঈদ খুদরী রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, হাদীছে রয়েছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,لَتَتَّبِعُنَّ سَنَنَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ شِبْرًا بِشِبْرٍ وَذِرَاعًا بِذِرَاعٍ حَتَّى لَوْ دَخَلُوا فِى جُحْرِ ضَبٍّ لاَتَّبَعْتُمُوهُمْ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللهِ آلْيَهُودَ وَالنَّصَارَى قَالَ فَمَنْ ‘তোমরা তোমাদের পূর্বের লোকদের নীতি-আদর্শ পুরোপুরিভাবে অনুকরণ করবে, এক বিঘত এক বিঘতের সঙ্গে ও হাত হাতের সঙ্গে, এমনকি তারা যদি গুইসাপের গর্তে ঢুকে থাকে, তবুও তোমরা তাদের অনুকরণ করবে। আমরা আবেদন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! তারা কি ইয়াহূদী ও নাছারা? তিনি বলেন, তবে আর কারা?’[2]

নিফাক্বের পাবিভাষিক অর্থ : ইবনু কাছীর রাহিমাহুল্লাহ বলেন, هو إظهار الخير وإسرار الشر، وهو أنواع: اعتقادي، وهو الذي يخلد صاحبه في النار. وعملي وهو من أكبر الذنوب كما سيأتي تفصيله في موضعه أن شاء الله تعالى، وهذا كما قال ابن جريج: المنافق يخالف قوله فعله، وسره علانيته، ومدخله مخرجه، ومشهده مغيبه ‘নিফাক্ব হলো কল্যাণ প্রকাশ করা ও অকল্যাণ গোপন করা। তা কয়েক প্রকার: (১) বিশ্বাসগত নিফাক্ব। তা ব্যক্তিকে জাহান্নামে চিরস্থায়ী করে। (২) আমলগত নিফাক্ব। এটা সবচেয়ে বড় গুনাহ। ইবনু জুরাইজ বলেন, মুনাফেক্ব হলো, যার কথা তার কাজের বিপরীত হয়, যার গোপনীয়তা তার প্রকাশ্যতার বিপরীত হয়। যার প্রবেশপথ তার বের হওয়ার পথের ভিন্ন হয় এবং যার উপস্থিতি তার অনুপস্থিতির ভিন্ন হয়’।[3]

নিফাক্ব দুই প্রকার : (১) বড় নিফাক্ব, যা ইসলাম থেকে বের করে দেয় ও (২) ছোট নিফাক্ব, যা ইসলাম থেকে বের করে না’।[4]

(খ) যিন্দীক্ব শব্দের অর্থ :

যিন্দীক্ব (الزنديق) যের দিয়ে, দৈত্ববাদ অথবা দুই ইলাহ: আলো ও অন্ধকার মতাদর্শের অনুসারী অথবা যে আখেরাত ও তাওহীদে রুবূবিয়্যাতকে বিশ্বাস করে না অথবা যে কুফরী গোপন ও ঈমান যাহির বা প্রকাশ করে’।[5]

শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়া রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘ফক্বীহদের পরিভাষায় যিন্দীক্ব হলো, ঐ প্রকারের মুনাফেক্ব, যে নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে ছিল। আর তা হলো, যে ইসলাম প্রকাশ করে এবং অন্যটি গোপন করে। চাই তা কোনো দ্বীন বা ধর্মকে গোপন করুক যেমন— ইয়াহূদী, খ্রিষ্টান বা অন্যান্য ধর্ম অথবা নাস্তিক, সৃষ্টিকর্তা, পরকাল ও সৎ আমলের অবিশ্বাসী হোক।

কিছু মানুষ বলে, যিন্দীক্ব হলো, অবিশ্বাসী নাস্তিক। অধিকাংশ দার্শনিক, কালামশাস্ত্রবিদ এবং জনসাধারণ ও মানুষের মত বর্ণনাকারীদের পরিভাষায় এটাই যিন্দীক্বের সংজ্ঞা। কিন্তু যে প্রকার যিন্দীক্বের হুকুম বা বিধানের ব্যাপারে ফক্বীহগণ আলোচনা করেছেন, তা হলো প্রথমটি। কারণ তাদের উদ্দেশ্য হলো, যে কাফের এবং যে কাফের নয়, মুরতাদ এবং মুরতাদ নয়, যে এটা প্রকাশ করে এবং যে এটা গোপন করে তার মাঝে পার্থক্য করা।

আর এই হুকুম বা বিধানের মধ্যে সকল প্রকার কাফের ও মুরতাদ অন্তর্ভুক্ত। যদিও কুফর ও বিদআতের ক্ষেত্রে তাদের স্তরের তারতম্য রয়েছে। কারণ আল্লাহ কুফরী বৃদ্ধির সংবাদ দিয়েছেন। যেমনিভাবে তাঁর বাণীতে ঈমান বৃদ্ধির সংবাদ দিয়েছেন, إِنَّمَا النَّسِيءُ زِيَادَةٌ فِي الْكُفْرِ ‘নিশ্চয়ই কোনো মাসকে পিছিয়ে দেওয়া কুফরী বৃদ্ধি করে’ (আত-তওবা ৯/৩৭)। আর ছালাত ও অন্যান্য রুকন পরিত্যাগকারী অথবা কবীরা গুনাহকারীদের ব্যাপারে সংবাদ দিয়েছেন। যেমনটি তিনি তাঁর বাণীতে আখেরাতে কতক কাফেরের উপর আযাব বৃদ্ধির সংবাদ দিয়েছেন। তিনি বলেন,الَّذِينَ كَفَرُوا وَصَدُّوا عَنْ سَبِيلِ اللهِ زِدْنَاهُمْ عَذَابًا فَوْقَ الْعَذَابِ ‘যারা কুফরী করেছে এবং আল্লাহর রাস্তায় বাধা দিয়েছে, আমি তাদেরকে শাস্তির উপর শাস্তি বাড়িয়ে দিব’ (আন-নাহল ১৬/৮৮)

সুতরাং এই মূলনীতিটি জানা উচিত। কেননা এই বিষয়ে এটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ‘ঈমান ও কুফরীর বিষয়াবলি’ সম্পর্কে যারা কথা বলেন, তাদের অধিকাংশই প্রবৃত্তির অনুসারীদের কাফের আখ্যা দেওয়ার কারণে এই বিষয়টি লক্ষ্য করেননি এবং প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য হুকুম বা বিধানের মধ্যে পার্থক্য করেননি। অথচ এটা ও ঐটার মধ্যে পার্থক্য কুরআন, মুতাওয়াতির হাদীছ ও ইজমা দ্বারা প্রমাণিত। যে ব্যক্তি এটি চিন্তা-ভাবনা করবে, সে জানতে পারবে যে, অধিকাংশ প্রবৃত্তি ও বিদআতের অনুসারীগণ কখনো কখনো হয় ভুলকারী মুমিন, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আনীত কিছু বিধান হতে পথভ্রষ্ট অজ্ঞ। আর কখনো কখনো হয়, মুনাফেক্ব, যিন্দীক্ব যা গোপন করে তার বিপরীতটি প্রকাশ করে’।[6]

২. নিফাক্বের প্রকারসমূহ :

নিফাক্ব দুই প্রকার : (نفاق دون نفاق) ‘বড় নিফাক্ব ও ছোট নিফাক্ব। অথবা এক প্রকার নিফাক্ব যা ইসলাম থেকে বের করে দেয় এবং আরেক প্রকার নিফাক্ব যা ইসলাম থেকে বের করে দেয় না’।[7]

(ক) বড় নিফাক্ব : তা হলো আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলী, আসমানী কিতাবসমূহ, শেষ দিবস ও তাক্বদীরের ভালো-মন্দের প্রতি ঈমান প্রকাশ করা এবং উক্ত ঈমানকে ভঙ্গকারী বিষয়সমূহ গোপন রাখা। এটা এমন মুনাফেক্বী, যা নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে ছিল। কুরআন এই মুনাফেক্বদের নিন্দা করেছে এবং কাফের আখ্যা দিয়েছে আর জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে থাকবে’।[8]

শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়া রাহিমাহুল্লাহ বড় নিফাক্বের কিছু চিত্র উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘নিফাক্বের মধ্যে কিছু বড় নিফাক্ব আছে, এ প্রকারের মুনাফেক্ব জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে থাকবে। যেমন আব্দুল্লাহ ইবনু উবাই ও এরকম ব্যক্তিদের নিফাক্ব। এই প্রকার নিফাক্ব হলো, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে

মিথ্যা প্রতিপন্ন করা, বা তিনি যা নিয়ে এসেছেন তার কিছু অস্বীকার করা বা ঘৃণা করা। অথবা তার প্রতি আবশ্যিক আনুগত্য বিশ্বাস না করা বা তাঁর দ্বীনকে নিচে নামানোর অপচেষ্টা করা হলে তাতে আনন্দিত হওয়া বা তাঁর দ্বীন বিজয় হওয়ার কারণে খারাপ লাগা। এই প্রকার মুনাফেক্ব বস্তুত আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শত্রু। এই পরিমাণ নিফাক্ব আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে ছিল ও আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরেও সবসময় ছিল। বরং রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরে তাঁর যুগের চাইতে অধিক পরিমাণে ছিল’।[9]

মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহহাব রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘বিশ্বাসের দিক থেকে নিফাক্ব ছয় প্রকার: যথা— (১) রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা, (২) রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা নিয়ে এসেছেন, তার কিছু অংশকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করা, (৩) রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ঘৃণা করা, (৪) রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা নিয়ে এসেছেন তার কিছু অংশকে ঘৃণা করা, (৫) রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দ্বীনকে ছোট করার অপচেষ্টা করা হলে তাতে আনন্দিত হওয়া এবং (৬) রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দ্বীন বিজয়ী হওয়াকে অপছন্দ করা। সুতরাং এই ছয় প্রকারের নিফাক্ব সম্পাদনকারী জাহান্নামের নিম্নস্তরে থাকবে’।[10]

এই দুই ইমাম যা উল্লেখ করলেন, তা থেকে বড় নিফাক্বের কতগুলো প্রকার ও বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। যা নিম্নে উল্লেখ করা হলো—

(১) রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করা।

(২) রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা নিয়ে এসেছেন, তার কিছু অংশকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করা।

(৩) রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ঘৃণা করা।

(৪) রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা নিয়ে এসেছেন, তার কিছু অংশকে ঘৃণা করা।

(৫) রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দ্বীনকে ছোট করার অপচেষ্টা করা হলে তাতে আনন্দিত হওয়া।

(৬) রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দ্বীন বিজয়ী হওয়াকে অপছন্দ করা।

(৭) রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা সংবাদ দিয়েছেন, তা সত্যায়ন করার আবশ্যিকতা বিশ্বাস না করা।

(৮) রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা আদেশ করেছেন, তার আনুগত্য করার আবশ্যিকতা বিশ্বাস না করা।

এরকম আরো কিছু নিফাক্ব রয়েছে, কুরআনুল কারীম ও পবিত্র সুন্নাহ প্রমাণ করে যে, সেগুলো বড় নিফাক্ব, যেগুলো ইসলাম থেকে বের করে দেয়’।[11]

(চলবে)

মূল : ড. সাঈদ ইবনু আলী ইবনু ওয়াহাফ আল-ক্বাহত্বানী রাহিমাহুল্লাহ

অনুবাদ : হাফীযুর রহমান বিন দিলজার হোসাইন

[1]. শায়খ আব্দুর রহমান আদ-দাওসরী, আন-নিফাক্ব ওয়া আছারুহ ওয়া মাফাহিমাহু, পৃ. ১০৫-১০৬।

[2]. ছহীহ মুসলিম, ‘ইলম’ অধ্যায়, ‘ইয়াহূদী-খ্রিষ্টানদের আদর্শ অনুকরণ’ অনুচ্ছেদ, হা/২৬৬৯; মিশকাত, হা/৫৩৬১।

[3]. তাফসীরে ইবনু কাছীর, ১/৪৮। এই আয়াতটির তাফসীর করতে গিয়ে ইবনু কাছীর রাহিমাহুল্লাহ বলেন, وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَقُولُ آمَنَّا بِاللهِ وَبِالْيَوْمِ الْآخِرِ وَمَا هُمْ بِمُؤْمِنِينَ ‘আর মানুষের মধ্যে কিছু এমন আছে, যারা বলে, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর প্রতি এবং শেষ দিনের প্রতি, অথচ তারা মুমিন নয়’ (আল-বাক্বারা, ২/৮); ত্বাবারানী, তাফসীরে ইবনু জারীর, ১/২৬৮-২৭২।

[4]. দেখুন : লেখক কতৃর্ক অনুদিত, কাযিয়াতুত তাকফীর, পৃ. ৬৮ ও ১৩২-১৩৪।

[5]. আল-ক্বামুসূল মুহীত্ব, (ز) অধ্যায়, (قاف) অনুচ্ছেদ, পৃ. ১১৫১।

[6]. ফাতাওয়া শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়া, ৭/৪৭১।

[7]. ইবনুল ক্বাইয়িম, মাদারিজুস সালেকীন, ১/৩৪৭-৩৫৯।

[8]. ইমাম ইবনু রজব রাহিমাহুল্লাহ, জামেউল ইলম ওয়াল হিকাম, ২/৪৮০; ইবনুল ক্বাইয়িম, ছিফাতুল মুনাফেক্বীন, পৃ. ৪।

[9]. শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তায়মিয়া, মাজমূউল ফাতাওয়া, ২৮/৪৩৪।

[10]. শায়খুল ইসলাম আহমাদ ইবনু তায়মিয়া এবং মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহহাব q, মাজমূআতুত তাওহীদ, পৃ. ৭।

[11]. ড. মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল্লাহ আল-উহায়বী, নাওয়াক্বিযুল ঈমান আল-ই‘তিক্বাদিয়া ওয়া যাওয়াবিতুত তাকফীর ইনদাস সালাফ, ২/১৬০।

Magazine