কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

কুরআনের আলোকে হাদীছের অপরিহার্যতা (পর্ব-৮)

post title will place here

হাদীছ সংক্রান্ত কিছু অভিযোগের কুরআন থেকে জবাব:

হাদীছ লিখিত হয়নি:

হাদীছের বিষয়ে সবচেয়ে বড় যে অভিযোগটি করা হয় তা হচ্ছে, হাদীছ রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবদ্দশায় পরিপূর্ণ লিখিত হয়নি। তাদের উদ্দেশ্যে আমরা বলতে চাই, পবিত্র কুরআনও লিখিত আকারে আসমান থেকে অবতীর্ণ হয়নি। যে মুখ থেকে ছাহাবীগণ পবিত্র কুরআন শুনতেন, হাদীছও ঠিক ওই একই মুখ থেকে তারা শ্রবণ করতেন। কুরআন মাজীদও মুখস্থ করার মাধ্যমে ছাহাবীগণ সংরক্ষণ করতেন। হাদীছও মুখস্থ করার মাধ্যমে তারা সংরক্ষণ করতেন। লিখিত না থাকার কারণে যদি হাদীছ অগ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে লিখিত আকারে অবতীর্ণ না হওয়ার কারণে কুরআনও কি অগ্রহণযোগ্য হয়ে যাবে? নাঊযুবিল্লাহ!

যেমনটা তৎকালীন কাফের-মুশরিকগণ বলেছিল, يَا مُحَمَّدُ لَنْ نُؤْمِنَ لَكَ حَتَّى تَأْتِيَنَا بِكِتَابٍ مِنْ عِنْدِ اللهِ ‘হে মুহাম্মাদ! আমরা তোমার প্রতি ততক্ষণ ঈমান আনয়ন করব না, যতক্ষণ না তুমি আল্লাহর পক্ষ থেকে লিখিত কিতাব নিয়ে আসো’।[1]

তাদের এই দাবির উত্তরে মহান আল্লাহ বলেন,وَلَوْ نَزَّلْنَا عَلَيْكَ كِتَابًا فِي قِرْطَاسٍ فَلَمَسُوهُ بِأَيْدِيهِمْ لَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا إِنْ هَذَا إِلَّا سِحْرٌ مُبِينٌ ‘আর আমি যদি আপনার প্রতি লিখিত কিতাব অবতীর্ণ করতাম, তাহলে কাফেরগণ সেই কিতাব নিজে হাতে স্পর্শ করে বলত, নিশ্চয় এটি জাদু’ (আল-আনআম, ৬/৭)। অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন,وَلَوْ أَنَّنَا نَزَّلْنَا إِلَيْهِمُ الْمَلَائِكَةَ وَكَلَّمَهُمُ الْمَوْتَى وَحَشَرْنَا عَلَيْهِمْ كُلَّ شَيْءٍ قُبُلًا مَا كَانُوا لِيُؤْمِنُوا ‘আর আমি যদি সরাসরি ফেরেশতা অবতীর্ণ করতাম ও মৃত ব্যক্তিরাও তাদের সাথে কথা বলত এবং আমি যদি সকল সৃষ্টিজীবকে জীবিত অবস্থায় তাদের সামনে পেশ করতাম, তবুও তারা ঈমান আনয়ন করত না’ (আল-আনআম, ৬/১১১)

উক্ত আয়াত দুটি থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, কুরআনে কারীম যেহেতু লিখিত আকারে অবতীর্ণ হয়নি, সেহেতু তৎকালীন কাফের-মুশরিকগণের বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ ছিল। তারা প্রশ্ন উত্থাপন করে যে, যেহেতু মূসা আলাইহিস সালাম-এর নিকট লিখিত কাষ্ঠফলকে তাওরাত অবতীর্ণ হয়েছে, সেহেতু কুরআন কেন লিখিত আকারে অবতীর্ণ হবে না?

উক্ত অভিযোগের অতি স্পষ্ট ভাষায় মহান আল্লাহ উক্ত আয়াত দুটিতে উত্তর দিয়েছেন। মহান আল্লাহ প্রদত্ত এই পাল্টা উত্তর বা যুক্তি হাদীছের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। উক্ত আয়াত দুটি প্রমাণ করে, লিখিত থাকা ইসলামে বিশ্বাসযোগ্য দলীল হওয়ার মানদণ্ড নয়। বরং ইসলামে জ্ঞান গ্রহণ ও বিতরণের মূল ভিত্তিই হচ্ছে মুখস্থশক্তি।

প্রশ্ন হতে পারে, তাহলে বর্তমান লিখিত কুরআন কীভাবে আসল? উত্তর হচ্ছে, মুখস্থ করার সুবিধার্থে ছাহাবীগণ কুরআন লিখতেন এবং বিচ্ছিন্নভাবে সেই লিখিত আয়াত ও সূরাগুলো বিভিন্ন ছাহাবীর নিকটে থাকত। কোথাও একটি বই হিসেবে সুসজ্জিত ছিল না। পরবর্তীতে যখন ইয়ামামার যুদ্ধে প্রচুর পরিমাণে হাফেযে কুরআন শহীদ হলেন, তখনই কুরআনের সন্নিবদ্ধ লিখিত রূপের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। উমার রযিয়াল্লাহু আনহু-এর প্রস্তাবে আবূ বকর রযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, وَإِنِّي أَرَى أَنْ تَأْمُرَ بِجَمْعِ الْقُرْآنِ قُلْتُ لِعُمَرَ: كَيْفَ تَفْعَلُ شَيْئًا لَمْ يَفْعَلْهُ رَسُوْلُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‘(উমার রযিয়াল্লাহু আনহু বলেন) আমি মনে করি, আপনি কুরআন সংকলন করার সরকারি ফরমান জারী করেন। (তখন উত্তরে আবূ বকর রযিয়াল্লাহু আনহু বললেন) আমি বললাম, আমি সেই কাজ কীভাবে করব, যা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেননি?[2]

উক্ত বক্তব্য প্রমাণ করে, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবদ্দশায় কুরআন বর্তমান সন্নিবেশিত রূপে ছিল না। বরং কুরআন হাফেযগণের স্মৃতিশক্তির উপর ভিত্তি করেই সংরক্ষিত ছিল। পরবর্তীতে হাফেযদের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে বর্তমান সন্নিবেশিত লিখিত রূপের প্রয়োজন দেখা দেয়। কুরআনকে লিখিত হিসেবে একত্রিত করার এই কাজে নিরীক্ষণের ভিত্তিও ছিল যোগ্য ও অভিজ্ঞ হাফেযগণ। তাদের স্মৃতিশক্তির সাথে মিলিয়েই লিখিত আয়াতগুলোকে একত্রিত করা হয়। এমনকি যায়েদ ইবনু ছাবেত রযিয়াল্লাহু আনহু-এর স্মৃতিশক্তিতে থাকা একটি আয়াতের লিখিত রূপ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। যেমন তিনি বলেন,فَقَدْتُ آيَةً مِنَ الْأَحْزَابِ حِينَ نَسَخْنَا الْمُصْحَفَ قَدْ كُنْتُ أَسْمَعُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ بِهَا فَالْتَمَسْنَاهَا فَوَجَدْنَاهَا مَعَ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ الْأَنْصَارِيِّ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللهَ عَلَيْهِ ‘আমরা যখন কুরআন মাজীদ সংকলন করি, তখন সূরা আল-আহযাবের একটি আয়াত কোথাও লিখিত আকারে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অথচ আমরা আয়াতটি রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তেলাওয়াত করতে শুনেছি। পরবর্তীতে অনেক খোঁজাখুঁজির পর আমরা খুযায়মা ইবনু ছাবেত আল-আনছারী রযিয়াল্লাহু আনহু-এর নিকট লিখিত আকারে পাই। উল্লেখ্য, আয়াতটি ছিল সূরা আল-আহযাবের ২৩ নম্বর আয়াত।[3]

অতএব, এই কথা দিনের আলোর ন্যায় স্পষ্ট যে, কুরআন ও হাদীছ কোনোটিই আসমান থেকে লিখিত আকারে অবতীর্ণ হয়নি। কোনোটিরই সংরক্ষণের ভিত্তি লিখিত রূপ ছিল না। দুটিরই সংরক্ষণের ভিত্তি ছিল মুখস্থশক্তি। মুখস্থশক্তিকে কাজে লাগিয়ে কুরআন সংরক্ষণ করা হয় খুলাফায়ে রাশেদীনের যুগে। আর মুখস্থশক্তিকে কাজে লাগিয়ে হাদীছ একত্রিত করার কাজ শুরু হয় উমার ইবনু আব্দুল আযীযের যুগে। তবে উভয়টিই বিচ্ছিন্নভাবে ছাহাবীগণের নিকটে লিখিত ছিল। ছাহাবীগণ যেমন বিচ্ছিন্নভাবে কুরআন লিখে রাখতেন, ঠিক তেমনি বিচ্ছিন্নভাবে হাদীছও লিখে রাখতেন। যা বিস্তারিত দলীলসহ আমরা ‘আমরা হাদীছ মানতে বাধ্য’ বইয়ে আলোচনা করেছি। অতএব, হাদীছ সংকলনের উপর অভিযোগ ‍উত্থাপন করা মূলত কুরআন সংকলনের উপর অভিযোগ উত্থাপনের শামিল।

কুরআন ও হাদীছের বিশ্বাসযোগ্যতার ভিত্তি একই:

হাদীছের উপর অন্যতম একটি অভিযোগ হচ্ছে মুহাদ্দিছগণের হাদীছ যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া। মুহাদ্দিছগণ হাদীছ যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে থাকেন, তা হাদীছ অস্বীকারকারীদের নিকট বিশ্বাসযোগ্য প্রক্রিয়া নয়। তাদের উদ্দেশ্যে আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, স্বয়ং মহান আল্লাহ কুরআনের বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য ওই বিষয়গুলোকেই ভিত্তি হিসেবে স্থাপন করেছেন, যা মুহাদ্দিছগণের হাদীছ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ভিত্তি হিসেবে স্থাপন করেছেন।

আমরা জানি কুরআন মাজীদ যেহেতু লিখিত আকারে আসমান থেকে অবতীর্ণ হয়নি, সেহেতু কুরআনের মূল ভিত্তিই হচ্ছে ‍মুখস্থশক্তি। জিবরীল আলাইহিস সালাম-এর নিকট থেকে স্বয়ং আমাদের রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বপ্রথম মুখস্থ করতেন। তিনি কোথাও লিখে নিতেন না। বরং তাঁর মুখস্থশক্তি থেকেই ছাহাবীদেরকে মুখস্থ করাতেন এবং কিছু ছাহাবী মুখস্থের সুবিধার্থে লিখেও নিতেন। কুরআনকে মুখস্থশক্তির মাধ্যমে জিবরীল আলাইহিস সালাম থেকে মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে ছাহাবীগণ পর্যন্ত পৌঁছতে বিশ্বাসযোগ্যতার মূল ভিত্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সততা ও আমানতদারিতা।

যেমন মহান আল্লাহ জিবরীল আলাইহিস সালাম সম্পর্কে বলেন,إِنَّهُ لَقَوْلُ رَسُولٍ كَرِيمٍ - ذِي قُوَّةٍ عِنْدَ ذِي الْعَرْشِ مَكِينٍ - مُطَاعٍ ثَمَّ أَمِينٍ ‘নিশ্চয় তা (উক্ত কুরআন) সম্মানিত বার্তাবাহকের আনীত কথা। যিনি দায়িত্ব পালনে শক্তিশালী এবং মহান আরশের মালিকের নিকট সম্মানিত। অনুগত ও বিশ্বস্ত’ (আত-তাকভীর, ৪১/১৯-২১)

উক্ত আয়াতে অহী আনয়নকারী ফেরেশতার গুণ বর্ণনা করা হয়েছে। তিনি মহান আল্লাহর অতি অনুগত ও বিশ্বস্ত এবং পাশাপাশি দায়িত্ব পালনে শক্তিশালী।

ঠিক তেমনি আমাদের রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কেও ইসলামের দাওয়াতের মূল ভিত্তি ছিল তাঁর সততা। যখন মহান আল্লাহ তাকে তাঁর আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে দাওয়াত দেওয়ার জন্য বললেন, তখন তিনি তাদেরকে ছাফা পাহাড়ের পাদদেশে ডাক দিয়ে বললেন, ‘আমি যদি বলি এই পাহাড়ের অপর পাশে শত্রুবাহিনী অপেক্ষা করছে তোমাদের উপর হামলা করার জন্য, তোমরা কি বিশ্বাস করবে?’ তখন তারা উত্তরে বলল, مَا جَرَّبْنَا عَلَيْكَ كَذِبًا ‘আমরা কখনো তোমাকে মিথ্যা বলতে দেখিনি’।[4]

সারমর্ম হচ্ছে- যেহেতু জিবরীল আলাইহিস সালাম সত্যবাদী ও আমানতদার এবং মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও পরীক্ষিত সত্যবাদী ও আমানতদার, অতএব, তাদের কথাকে আমাদের বিশ্বাস করতে হবে। এই ভিত্তির উপরেই ইসলাম প্রতিষ্ঠিত।

ঠিক একইভাবে মুহাদ্দিছগণ হাদীছ সংকলনের ক্ষেত্রে এই দুটি বিষয়কেই মানদণ্ড হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। যেহেতু সকল ছাহাবী সত্যবাদী ও ন্যায়পরায়ণ, সেহেতু তাদের সকলের কথা বিশ্বাসযোগ্য। তাবেঈনের যুগে যারা ছাহাবীগণ কর্তৃক বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন, তাদের কথা সত্য। তাবে-তাবেঈনের যুগে যারা তাবেঈ কর্তৃক সত্যায়িত এবং যাদের সততা ও আমানতদারিতা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই, তাদের কথা বিশ্বাসযোগ্য। আর আমরা খুব ভালোভাবেই জানি, আধুনিক যুগেও বিচারব্যবস্থা মানুষের সাক্ষ্যের উপর ভিত্তি করেই পরিচালিত হয়ে থাকে। স্বয়ং মহান আল্লাহও সাক্ষ্যের উপর ভিত্তি করে বিচারকার্য পরিচালনার আদেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,وَالَّذِينَ يَرْمُونَ الْمُحْصَنَاتِ ثُمَّ لَمْ يَأْتُوا بِأَرْبَعَةِ شُهَدَاءَ فَاجْلِدُوهُمْ ثَمَانِينَ جَلْدَةً وَلَا تَقْبَلُوا لَهُمْ شَهَادَةً أَبَدًا وَأُولَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ ‘আর যারা পবিত্র নারীগণকে ব্যভিচারের অপবাদ দেয় এবং অতঃপর চারজন সাক্ষী পেশ করতে পারে না তাদেরকে ৮০ লাঠি বেত্রাঘাত করো আর পরবর্তীতে তাদের কোনো সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে না। নিশ্চয় তারা ফাসেক্ব’ (আন-নূর, ২৪/৪)

উক্ত আয়াতের ভিত্তিতে ইসলামী বিচারকাজে ব্যভিচারের শাস্তি বাস্তবায়নের জন্য চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্য থাকা জরুরী। আর যারা একবার মিথ্যা কথা বলবে, তাদের সাক্ষ্য কখনোই পরবর্তীতে বিচারকাজে গ্রহণ করা হবে না।

অতএব, আমরা বলতে চাই, পৃথিবীতে যদি সাক্ষীর মাধ্যমে মানুষের ফাঁসি হওয়া সম্ভব হয়, তাহলে সাক্ষীর মাধ্যমে হাদীছ গ্রহণ কেন সম্ভব নয়? হাদীছ সংকলন ও গ্রহণ প্রক্রিয়া হুবহু সাক্ষ্য প্রদান প্রক্রিয়ার অনুরূপ তথা ছাহাবীগণ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তারা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এই কথা বলতে শুনেছেন। অতঃপর সত্যবাদী আমানতদার তাবেঈন সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তারা ছাহাবীগণকে এই কথা বলতে শুনেছেন। হাদীছ বর্ণনার ধারাবাহিক এই সাক্ষ্য অবশ্যই কুরআন মাজীদ ও চলমান বিশ্বের নিয়মনীতির আলোকে শতভাগ বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি।

(ইনশা-আল্লাহচলবে)


[1]. আবূল ফারায ইবনুল জাওযী, যাদুল মাসীর, ২/১১।

[2]. ছহীহ বুখারী, হা/৪৭০১।

[3]. ছহীহ বুখারী, হা/৪৯৮৮।

[4]. ছহীহ বুখারী, হা/৪৯৭১।

Magazine