জুমআ আরবী শব্দ। এর অর্থ একত্রিত করা, সমবেত হওয়া। জুমআ বলতে জুমআর ছালাত উদ্দেশ্য। এ ছালাতের জন্য মুসলিমরা দূরদূরান্ত থেকে সপ্তাহে একদিন জামে মসজিদে সমবেত হয়। এজন্য জুমআর ছালাতকে জুমআ বলা হয়। জুমআর দিনে মহান আল্লাহর সমস্ত সৃষ্টি সম্পন্ন হয়েছে। এজন্য এই দিনকে ইয়াওমুল জুমআ বলা হয়।
জুমআর সূচনা : রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা থেকে মদীনায় হিজরতের পূর্বে মদীনার আনছারগণ ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের সাপ্তাহিক ইবাদতের দিনের বিপরীতে একটি দিন নির্ধারণ করেন। আব্দুর রহমান হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার পিতা কা‘ব ইবনু মালেক রাযিয়াল্লাহু আনহু অন্ধ হওয়ার পর আমি ছিলাম তাঁর পরিচালক। তিনি যখনই জুমআর দিন জুমআর ছালাতের আযান শুনতেন, তখনই আসআদ ইবনু যুরারাহ রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর জন্য দু‘আ করতেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘আপনি জুমআর আযান শুনলেই আসআদ ইবনু যুরারাহ রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর জন্য ক্ষমা ও রহমতের দু‘আ করেন কেনো?’ তিনি বলেন, ‘প্রিয় বৎস! রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মক্কা থেকে মদীনায় আসার পূর্বে তিনিই সর্বপ্রথম বনূ বায়াযার প্রস্তরময় সমতল ভূমিতে অবস্থিত ‘নাকীউল খাযামাত’-এ আমাদের নিয়ে জুমআর ছালাত আদায় করেন’। আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘আপনারা তখন কতজন ছিলেন?’ তিনি বলেন, ‘৪০ জন পুরুষ’।[1] ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মসজিদে নববীর জুমআর ছালাত অনুষ্ঠিত হওয়ার পর প্রথম জুমআর ছালাত অনুষ্ঠিত হয় বাহরাইনের ‘জুওয়াছা’ নামক স্থানে অবস্থিত আব্দুল ক্বায়েস গোত্রের মসজিদে।[2]
জুমআর দিনে সকল সৃষ্টিকর্ম সম্পন্ন হয়। তাই এ দিনটি হলো সকল দিনের সেরা। এই দিনটি মুসলিম উম্মাহর সাপ্তাহিক ঈদ ও ইবাদতের দিন হিসেবে নির্ধারিত হওয়ায় বিগত সকল উম্মতের উপর এর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত। আম্মার ইবনু আবী আম্মার হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহুমা একদা কুরআনের এই আয়াত পাঠ করলেন,الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার নেয়ামতকে সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসেবে মনোনীত করে দিলাম’ (আল-মায়েদা, ৫/৩)। তখন তাঁর নিকট এক ইয়াহূদী ছিল, সে বলল, ‘যদি এই আয়াত আমাদের উপর অবতীর্ণ হতো, তাহলে আমরা তার অবতীর্ণ হওয়ার দিনকে ঈদ বলে ঘোষণা করতাম’। একথা শুনে ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহুমা বললেন, ‘এটি তো (আমাদের) ঈদের দিনেই অবতীর্ণ হয়েছে— জুমআর দিন ও আরাফার দিন’।[3]
জুমআর খুৎবায় মাতৃভাষার গুরুত্ব : খুৎবা আরবী শব্দ। এর অর্থ ভাষণ, ওয়ায ও বক্তৃতা, যা শ্রোতাদের ভাষায় হওয়াই বাঞ্ছনীয়। জুমআর খুৎবা বা অন্য যে কোনো খুৎবা মাতৃভাষায় এবং অধিকাংশ লোকের বোধগম্য ভাষায় হওয়া জরুরী। শ্রোতাদের জান্নাতের প্রতি উৎসাহ দান ও জাহান্নামের ভয় প্রদর্শন করাই ছিল রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খুৎবার উদ্দেশ্য। শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু ছালেহ আল-উছায়মীন রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘উপস্থিত মুছল্লীগণ যে ভাষা বুঝে না, সে ভাষায় জুমআর খুৎবা প্রদান করা জায়েয নয়। যদি উপস্থিত মুছল্লীগণ অনারব হন এবং আরবী না বুঝেন, তবে তাদের ভাষাতেই খুৎবা প্রদান করবে। কেননা তাদেরকে বুঝানোর জন্য এ ভাষাই হচ্ছে বক্তৃতা করার মাধ্যম। আর জুমআর খুৎবার লক্ষ্যই হচ্ছে মানুষকে আল্লাহর বিধিবিধান বর্ণনা করা ও তাদেরকে ওয়ায-নছীহত করা। তবে কুরআনের আয়াতসমূহ অবশ্যই আরবী ভাষায় তেলাওয়াত করতে হবে। অতঃপর মাতৃভাষায় তার তাফসীর বা ব্যাখ্যা করে দিতে হবে’।[4]
মাতৃভাষায় খুৎবা প্রদানের দলীল : আল্লাহ তাআলা বলেন, وَمَا أَرْسَلْنَا مِنْ رَسُوْلٍ إِلَّا بِلِسَانِ قَوْمِهِ لِيُبَيِّنَ لَهُمْ ‘আমি প্রত্যেক রাসূলকে স্বজাতির ভাষায় প্রেরণ করেছি, যাতে তিনি তাদেরকে আল্লাহর বিধিবিধান বর্ণনা করতে পারেন’ (ইবরাহীম, ১৪/৪)। সকলের জানা কথা যে, সমস্ত নবী-রাসূল আরবী ভাষাভাষী ছিলেন না। মহান আল্লাহ তাঁর নবী মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বিশেষভাবে বলেন,وَأَنْزَلْنَا إِلَيْكَ الذِّكْرَ لِتُبَيِّنَ لِلنَّاسِ مَا نُزِّلَ إِلَيْهِمْ وَلَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُوْنَ ‘আর আমরা আপনার নিকট কুরআন অবতীর্ণ করেছি, যাতে আপনি লোকদের নিকট ঐসব বিষয় ব্যাখ্যা করে দেন, যা তাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে। আর যাতে তারা চিন্তা-গবেষণা করে’ (আন-নাহল, ১৬/৪৪)। এখানে মহান আল্লাহ স্পষ্ট করে দিলেন, সম্প্রদায়ের লোকেরা যে ভাষা বুঝে, সে ভাষাতেই তাদের সামনে বক্তৃতা করতে হবে। অন্যথা খুৎবা বা ভাষণের মূল উদ্দেশ্যই নষ্ট হয়ে যাবে। তবে কেউ যদি আরবীতে খুৎবা প্রদান করা একান্ত মুস্তাহাব মনে করেন— যেমন হানাফী মাযহাব মতে,[5] তাহলে খতীবের উচিত হবে আরবী খুৎবার পরেই তা স্থানীয় ভাষায় বুঝিয়ে দেওয়া। কিন্তু খুৎবার আযানের পূর্বে আমাদের দেশের প্রচলিত নিয়মে বাংলায় যে বয়ান দেওয়া হয়, তা সম্পূর্ণ বিদআত।
খুৎবার নিয়ম-পদ্ধতি : জুমআর ছালাত বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য খুৎবা প্রদান করা শর্ত। খুৎবা পরকালমুখী, সংক্ষিপ্ত, সারগর্ভ ও সময়ের চাহিদা অনুযায়ী হওয়া উচিত। জুমআর জন্য দু’টি খুৎবা প্রদান করা সুন্নাত। প্রথম খুৎবায় হামদ, দরূদ, কুরআন তেলাওয়াত ও নছীহত বা উপদেশ থাকবে। আর দ্বিতীয় খুৎবায় হামদ, দরূদ ও মুসলিমদের জন্য দু‘আ করা বাঞ্ছনীয়।
জুমআরআযান : খতীব সাহেব মিম্বারে বসার পরে মুয়াযযিন জুমআর আযান দিবেন। আর এটাই মূলত জুমআর আযান। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবূ বকর ও উমার রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর যুগে জুমআর আযান একটিই ছিল। তবে উছমান রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর খেলাফতকালে যখন লোকসংখ্যা বেড়ে যায়, তখন তিনি প্রায় অর্ধমাইল দূরে যাওরা বাজারে দ্বিতীয় আযানের প্রচলন করেন। আর এটা ছিল তাঁর ইজতিহাদী মত। অতএব, বর্তমান সময়ে জুমআর দিন একটি আযান দেওয়াই উত্তম। আল্লাহই বেশি অবগত।[6]
খতীবের আদব :
(১) সরাসরি মিম্বারে উঠা: জুমআর দিন খতীব খুৎবার সময়ে এসে সরাসরি মিম্বারে উঠে যাবেন। তার জন্য তাহিয়্যাতুল মসজিদ দুই রাকআত ছালাত আদায় করা জরুরী নয়। আর এটাই হলো নিয়ম। তবে খুৎবার অনেক আগে মসজিদে প্রবেশ করলে তাহিয়্যাতুল মসজিদ দুই রাকআত ছালাত আদায় করবেন।[7]
(২) মিম্বারে উঠে প্রথমে সালাম প্রদান করা : জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, إِذَا صَعِدَ الْمِنْبَرَ سَلَّمَ অর্থাৎ ‘নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে উঠে সালাম দিতেন’।[8]
(৩) খুৎবায় লাঠি অথবা অন্য কোনো কিছুর উপর ভর দিয়ে দাঁড়ানো : রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুৎবা দেওয়ার সময় লাঠি অথবা অন্য কোনো কিছুর উপর ভর দিয়ে দাঁড়াতেন।[9] কেউ বলেন, মিম্বার বানানোর পূর্বে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লাঠি অথবা ধনুকের উপর ভর দিয়ে খুৎবায় দাঁড়াতেন। তবে সঠিক কথা হলো এটা সুন্নাহ। আর রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মিম্বার ছিল তিন ধাপের।[10] অবশ্য লাঠি প্রসঙ্গে উলামায়ে কেরামের মধ্যে ভিন্ন মতও পরিলক্ষিত হয়।
(৪)আযানের জবাব দেওয়া: খতীব মিম্বারে বসে মুয়াযযিনের আযানের উত্তর প্রদান করবেন।[11]
(৫) দাঁড়িয়ে খুৎবা প্রদান করা : আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন,كَانَ رَسُوْلُ اللهِ يَخْطُبُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ قَائِمًا ثُمَّ يَجْلِسُ ثُمَّ يَقُوْمُ قَالَ كَمَا يَفْعَلُوْنَ الْيَوْمَ ‘নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে খুৎবা দিতেন। অতঃপর বসতেন এবং পুনরায় (দ্বিতীয় খুৎবার জন্য) দাঁড়াতেন। যেমন তোমরা এখন করে থাকো’।[12] জাবের ইবনু সামুরা রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন,فَمَنْ نَبَّأَكَ أَنَّهُ كَانَ يَخْطُبُ جَالِسًا فَقَدْ كَذَبَ فَقَدْ وَاللهِ صَلَّيْتُ مَعَهُ أَكْثَرَ مِنْ أَلْفَيْ صَلَاةٍ ‘যে ব্যক্তি তোমাকে অবহিত করেছে যে, তিনি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসা অবস্থায় খুৎবা দিতেন, সে মিথ্যা বলেছে। আল্লাহর শপথ! আমি তাঁর সাথে দুই হাজারেরও বেশি ছালাত আদায় করেছি’।[13]
(৬) খুৎবায় সূরা ক্বফ তেলাওয়াতকরা : উম্মু হিশাম বিনতু হারেছা ইবনু নু‘মান রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন,وَمَا أَخَذْتُ ق وَالْقُرْآنِ الْمَجِيْدِ إِلَّا عَنْ لِسَانِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَؤُهَا كُلَّ يَوْمِ جُمُعَةٍ عَلَى الْمِنْبَرِ، إِذَا خَطَبَ النَّاسَ ‘আমি কুরআনের সূরা ক্বফ কেবল রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুখ থেকে শুনেই মুখস্থ করেছি। তিনি তা প্রত্যেক জুমআয় মিম্বারে দাঁড়িয়ে পড়তেন, যখন তিনি লোকজনের উদ্দেশ্যে খুৎবা প্রদান করতেন’।[14]
(৭) কথা ও কাজে গরমিল করা থেকে বিরত থাকা : মহান আল্লাহ বলেন, كَبُرَ مَقْتًا عِنْدَ اللهِ أَنْ تَقُوْلُوْا مَا لَا تَفْعَلُوْنَ ‘আল্লাহর নিকটে এটা বড়ই ঘৃণিত ব্যাপার যে, তোমরা এমন কথা বলো, যা তোমরা নিজেরা প্রতিপালন করো না’ (আছ-ছফ, ৬১/৩)। আনাস ইবনু মালেক রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে রাতে আমাকে মে‘রাজে নিয়ে যাওয়া হয়, সে রাতে কতগুলো লোককে দেখলাম, যাদের ঠোঁট আগুনের কাঁচি দ্বারা কেটে দেওয়া হচ্ছে। যখনই কাটা শেষ হয় আবার ঠোঁট পূর্ণ হয়ে যায়। আমি বললাম, হে জিবরীল! এরা কারা? তিনি বললেন, এরা আপনার উম্মতের কিছু বক্তা, যারা মানুষকে ভালো কাজের উপদেশ দিত কিন্তু নিজেরা তা পালন করত না’।[15] রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,مَثَلُ الَّذِيْ يُعَلِّمُ النَّاسَ الْخَيْرَ وَيَنْسَى نَفْسَهُ كَمَثَلِ السِّرَاجِ يُضِيْءُ لِلنَّاسِ وَيُحْرِقُ نَفْسَهُ ‘যে ব্যক্তি মানুষকে কল্যাণের শিক্ষা দেয়, নিজেকে (আমল করা থেকে) ভুলিয়ে রাখে, সেই ব্যক্তির উদাহরণ বাতির মতো, যে মানুষকে আলো দেয় এবং নিজেকে জ্বালিয়ে দেয়’।[16]
পরিশেষে বলা যায়, জুমআর খুৎবা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর তা রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাহ অনুযায়ী হওয়াই বাঞ্ছনীয়। আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন- আমীন!
মাহবূবুর রহমান মাদানী
শিক্ষক, আল-জামি‘আহ আস-সালাফিয়্যাহ, ডাঙ্গীপাড়া, পবা, রাজশাহী।
[1]. ইবনু মাজাহ, হা/১০৮২, হাসান; আবূ দাঊদ, হা/১০৬৯।
[2]. ছহীহ বুখারী, হা/৮৯২।
[3]. তিরমিযী, হা/৩০৪৪, হাদীছ ছহীহ।
[4]. শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু ছালেহ আল-উছায়মীন, ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, প্রশ্নোত্তর নং ৩২৪।
[5]. মারাক্বিল ফালাহ, পৃ. ১০২।
[6]. ছহীহ ফিক্বহুস সুন্নাহ, ১/৫১০।
[7]. ইমাম নববী, আল মাজমূ‘, ৪/৪০১।
[8]. ইবনু মাজাহ, হা/১১০৯, হাসান।
[9]. আবূ দাঊদ, হা/১০৯৬, হাসান; ফাতহুল বারী, ২/৩৩১।
[10]. ফাতহুল বারী, ২/৩৩১।
[11]. আবূ দাঊদ, হা/৯১৪।
[12]. ছহীহ মুসলিম, হা/৮৬৪।
[13]. ছহীহ মুসলিম, হা/৮৬২।
[14]. ছহীহ মুসলিম, হা/৮৭৩।
[15]. সিলসিলা ছহীহা, হা/২৯১; আহমাদ, হা/১১৮০১।
[16]. তারগীব, হা/৩৩৩১।