কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

ইমাম আবুল হাসান আশআরী এবং তার ‘আল-ইবানাহ আন উছূলিদ দিয়ানাহ’ গ্রন্থ (শেষ পর্ব)

post title will place here

চতুর্থ অবস্থান: গ্রন্থটি বিশুদ্ধ কিন্তু সালাফীরা ভুলভাবে বুঝে

কিছু আশআরীর মতে গ্রন্থটি ইমাম আশআরীর দিকে সম্পৃক্ত করা সঠিক এবং তাতে এমন কোনো কিছু নেই, যা আশআরীদের আক্বীদা পরিপন্থী। কিন্তু সালাফীরা মনে করে, আবুল হাসান আধুনিক আশআরীদের বিরোধিতা করেছেন। আসলে তারা ইমাম আবুল হাসানের কথা বুঝতে ভুল করেছে। যেমন হামদ আস-সিনান ও ফাওযী আল-আনজারী বলেন, ‘এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই যে, ইমাম (আবুল হাসান) এই কিতাবে ও তার দিকে সম্পৃক্ত অন্যান্য রিসালাতে গ্রন্থ প্রণয়নের ক্ষেত্রে এক ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন। তিনি সিংহভাগ ক্ষেত্রে মুতাশাবিহ বিষয়ে অধিকাংশ সালাফের পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন। আমরা এর মাধ্যমে বোঝাতে চাচ্ছি, তিনি তাফবীয পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন। কিন্তু এ থেকে কেউ কেউ বুঝেছেন যে, ইমাম (আবুল হাসান) ইবনু কুল্লাবের ত্বরীক্বা থেকে, যার ওপর তিনি ছিলেন, সালাফের ত্বরীক্বায় প্রত্যাবর্তন করেন’।[1]

এমন কথা সাঈদ ফুদাহও বলেছেন।[2]

এ অবস্থানের পর্যালোচনা:

(ক) তাদের এমন দাবি বাস্তবতা বহির্ভূত। কেননা তিনি তার একাধিক কিতাবে নিজেকে আহলুল হাদীছের দিকে সম্পৃক্ত করেছেন; তিনি নিজেকে ইবনু কুল্লাবের দিকে সম্পৃক্ত করেননি। যেমন তিনি তার ‘আল-মাকালাত’ গ্রন্থে আহলুল হাদীছ ওয়াস সুন্নাহর নীতি ও আক্বীদাসমূহ উল্লেখ করে বলেছেন, এগুলো তার আক্বীদা। ইমাম আবুল হাসানের ব্যাপারে ইবনুল ফুওরাকও এমন কথা বলেছেন।[3] আর আহলুল হাদীছ ওয়াস সুন্নাহর আক্বীদা তাফবীয নয়।

(খ) ইমাম আবুল হাসান আশআরী তার ‘আল-ইবানাহ’ গ্রন্থে যা বলেছেন, তাও এ দাবি পরিপন্থী। যেমন তিনি বলেন, ‘২৩. প্রশ্ন: যদি কেউ বলে যে, আল্লাহ তাআলা দুইয়ের অধিক হাত উল্লেখ করে দুই হাত উদ্দেশ্য নিয়েছেন। তাহলে কেন আপনারা এ কথা অস্বীকার করেন যে, আল্লাহর দুইয়ের অধিক হাত উল্লেখ করে এক হাত উদ্দেশ্য নিয়েছেন?

জবাবে তাকে বলা হবে:

(ক) আল্লাহ তাআলা দুইয়ের অধিক হাত উল্লেখ করে দুটি হাত উদ্দেশ্য নিয়েছেন। কেননা তারা তাদের কথা বাতিল হওয়ার ব্যাপারে একমত, যারা ‘অনেক হাত’-এর কথা বলে এবং যারা ‘এক হাত’-এর কথা বলে।

(খ) আমরা ‘দুই হাত’ বলি। কেননা কুরআনকে গ্রহণ করতে হবে বাহ্যিকতার উপর। তবে বাহ্যিকতার বিপরীত গ্রহণ করার ব্যাপারে দলীল থাকলে ভিন্ন বিষয়।

২৪. প্রশ্ন: যদি কেউ বলে যে, আপনারা কেন ‘যা আমি আমার দুই হাতে সৃষ্টি করেছি’ (ছোয়াদ, ৩৮/৭৫)। আয়াতকে এবং ‘যা আমাদের হাতসমূহ তৈরি করেছে’ (ইয়াসিন, ৩৬/৭১)। আয়াতকে রূপক অর্থে গ্রহণ করা অস্বীকার করেন?

জবাবে তাকে বলা হবে:

আল্লাহর বাণীর বিধান হবে তার বাহ্যিকতা ও প্রকৃতার্থ অনুযায়ী। দলীল ছাড়া তার বাহ্যিকতা থেকে কোনো কিছু বের করতে পারবে না’।[4]

তিনি এখানে তাফবীয করেননি এবং রূপক অর্থ নেননি; বরং বাহ্যিকভাবে হাক্বীক্বী অর্থ গ্রহণ করার কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আক্বীদা যা আমরা বলে থাকি এবং আমাদের দ্বীন যা আমরা দ্বীন হিসেবে গ্রহণ করে থাকি, তা হলো: আল্লাহর কিতাব ও তাঁর নবীর সুন্নাহ এবং ছাহাবী, তাবেঈ ও মুহাদ্দিছ ইমামদের থেকে যা বর্ণিত হয়েছে, তা আঁকড়ে ধরা। আমরা এসবকে শক্তভাবে ধরে থাকি। আবূ আব্দুল্লাহ আহমাদ ইবনে হাম্বাল— তার চেহারাকে আল্লাহ সতেজ করুন, তার মর্যাদা উঁচু করুন এবং তাকে অফুরন্ত প্রতিদান দিন— তিনি যা বলতেন, আমরা তার প্রবক্তা এবং যা তার মতের বিপরীত, আমরা তার বিরোধিতাকারী’।[5]

তিনি এখানে নিজেকে ছাহাবী, তাবেঈ ও মুহাদ্দিছ ইমামদের মানহাজ ও পদ্ধতি আঁকড়ে ধরার ঘোষণা দিয়েছেন এবং নিজেকে আহমাদ ইবনে হাম্বলের অনুসারী দাবি করেছেন। আর ব্যাপকভাবে আহমাদ ইবনে হাম্বল ও সকল সালাফকে তাফবীযের অনুসারী বানিয়ে ফেলার দাবি করা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। কাজেই চতুর্থ অবস্থান গ্রহণযোগ্য নয়।

তাছাড়া তাফবীয করা আশআরীদের মতেও সঠিক নয়। আশআরী মাযহাবের অন্যতম ইমাম হলেন আবূ ইসহাক্ব শীরাযী। তিনি বলেন,

يُقَالُ لَهُمْ هَذِهِ الآيَةُ دَلِيْلٌ عَلَى الْقَوْلِ بِالتَّأْوِيْلِ لَا عَلَى نَفْيِ التَّأْوِيلِ، وَالدَّلِيلُ عَلَيْهِ قَوْلُهُ عَزَّ وَجَلَّ (وَالرَّاسِخُونَ فِي الْعِلْمِ يَقُولُونَ آمَنَّا بِهِ)، وَالإِيمَانُ هُوَ التَّصْدِيقُ، وَالتَّصْدِيقُ بِالشَّيْءِ لَا يَصِحُّ مَعَ الْجَهْلِ، فَدَلَّ عَلَى أَنْ قَوْلَهُ (وَالرَّاسِخُونَ فِي الْعِلْمِ يَقُولُونَ آمَنَّا بِهِ)، أَيْ يَعْلَمُونَهُ.

‘তাদের বলতে হবে, এ আয়াত তা‘বীলের পক্ষে দলীল; তা‘বীলের বিপক্ষে দলীল নয়। আমাদের দাবির পক্ষে এ আয়াতটিও দলীল: ‘যারা জ্ঞানে পরিপক্ব তারা বলে আমরা এসবের প্রতি ঈমান আনলাম’। কেননা ঈমান সত্যায়ন ও বিশ্বাসের নাম। আর কোনো বিষয় অজানা থাকলে, তাকে বিশ্বাস করা হয় না। অতএব, এ আয়াত প্রমাণ করে যে, জ্ঞানে পরিপক্ব ব্যক্তিগণ তা’বীল জানেন।[6]

ইমাম আবূ ইসহাক্ব শীরাযীর কথা থেকে প্রমাণ হয়, যারা তাফবীযে বিশ্বাসী অর্থাৎ যারা বলে আমরা আল্লাহর গুণাবলি সংক্রান্ত আয়াত ও হাদীছের অর্থ জানি না, তারা মূলত এসব আয়াত ও হাদীছের প্রতি ঈমানদার ও বিশ্বাসী নয়। কাজেই তাফবীয কখনো ইমাম আবুল হাসান আশআরীর মাযহাব হতে পারে না।

পঞ্চম অবস্থান: আল-ইবানাহ গ্রন্থটি আবুল হাসান আশআরীর কিন্তু মুদ্রিত গ্রন্থটি বিকৃত

বর্তমান সময়ের অধিকাংশ আশআরীর মতে, ‘আল-ইবানাহ’ গ্রন্থটি ইমাম আবুল হাসান আশআরীর। কিন্তু প্রকাশিত ও মুদ্রিত ‘আল-ইবানাহ’ বিকৃত হয়ে গিয়েছে এবং মূল অবস্থা থেকে বিকৃত করা হয়েছে। সর্বপ্রথম এই দাবি করেন যাহেদ কাওছারী। তিনি বলেন, ‘হিন্দুস্তানে আল-ইবানাহর প্রকাশিত কপি একটি ভুলভাবে লিখিত ও বিকৃত কপি। অনেক পাপিষ্ঠ হাত তা নিয়ে প্রতারণা করেছে। সুতরাং নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে তা পুনরায় প্রকাশ করা আবশ্যক’।[7] তারপর তার সুরে এই দাবি করেন ওয়াহবী সুলায়মান গাওয়াজী[8] এবং আব্দুর রহমান বাদাবী।[9]

তারা তাদের এ দাবির পক্ষে দুটি দলীল পেশ করেন:

(ক) ইবনু আসাকির ‘আল-ইবানাহ’ গ্রন্থটি থেকে তার ‘তাবয়ীনু কাযিবিল মুফতারী’ গ্রন্থে কিছু আক্বীদা উল্লেখ করেছেন। আর তাতে রয়েছে ইমাম আবুল হাসান আশআরী আল্লাহর জন্য ‘একটি চোখ’ সাব্যস্ত করেছেন। অথচ প্রচলিত প্রকাশিত পাণ্ডুলিপিতে ‘দুটি চোখ’ সাব্যস্ত করা হয়েছে।

(খ) ড. ফাওকিয়া বিনতু হুসাইন মাহমূদ চারটি হস্তলিখিত পাণ্ডুলিপির আলোকে আল-ইবানাহ গ্রন্থটি প্রকাশ করেন। তাতে দেখা যায়, একটি পাণ্ডুলিপির সাথে অন্যান্য পাণ্ডুলিপির বেশ কিছু স্থানে পার্থক্য রয়েছে। আর যে পার্থক্য পাওয়া গিয়েছে, তা সালাফী আক্বীদার সাথে মিলে না।

আপত্তিসমূহের পর্যালোচনা:

(ক) গ্রন্থটি বিকৃত হওয়ার সর্বপ্রথম দাবি করেন যাহেদ কাওছারী। তার পূর্বে এমন দাবি কেউ করেনি। অথচ যুগ যুগ ধরে গ্রন্থটি ব্যাপকহারে প্রচলিত ও সমাদৃত। কিতাবটিতে বিকৃত হলে অবশ্যই তার পূর্বে কেউ না কেউ এমন দাবি তুলত। আর তিনি বিকৃত হওয়ার দাবি তুললেও তার দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি। তাছাড়া যাহেদ কাওছারী হিন্দুস্তানের পাণ্ডুলিপির ব্যাপারে বিকৃতির অভিযোগ তুলেছেন। আর ‘আল-ইবানাহ’ গ্রন্থটির শুধু হিন্দুস্তানী পাণ্ডুলিপি দ্বারা প্রকাশিত নয়। বরং পাঁচাধিক পাণ্ডুলিপির সমন্বয়ে প্রকাশিত। কাজেই হিন্দুস্তানী পাণ্ডুলিপি বাদ দিলেও আরও অন্যান্য পাণ্ডুলিপির ওপর নির্ভর করা বাঞ্ছনীয়।

(খ) ‘আল-ইবানাহ’ গ্রন্থটি বর্তমানে সাত-আটজনের তাহক্বীক্বে প্রকাশিত এবং পাঁচাধিক হস্তলিখিত পাণ্ডুলিপি মিলিয়ে তারা প্রকাশ করেছেন। আল-হামদুলিল্লাহ ড. ফাওকিয়া হুসাইনের একটি পাণ্ডুলিপি ব্যতীত সকল হস্তলিখিত পাণ্ডুলিপির মাঝে মৌলিক ও বড় ধরনের কোনো পার্থক্য নেই; বরং সবগুলো পাণ্ডুলিপির মাঝে মিল রয়েছে এবং সবার তাহক্বীক্বকৃত ‘আল-ইবানাহ’ মাঝে মিল রয়েছে। কাজেই এ থেকে প্রমাণিত হয়, ‘আল-ইবানাহ’ গ্রন্থের কোনো ধরনের বিকৃতি প্রবেশ করেনি।

(গ) ড. ফাওকিয়া হুসাইনের যে একটি পাণ্ডুলিপিতে অন্যান্য পাণ্ডুলিপির সাথে পার্থক্য রয়েছে, সে পাণ্ডুলিপির ব্যাপারে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। স্বয়ং ড. ফাওকিয়া হুসাইন বলেছেন, ‘যেসব স্থানে অমিল রয়েছে, তা আরও সূক্ষ্ম গবেষণার দাবি রাখে। যেসব স্থানে বৈসাদৃশ্য রয়েছে, তা কোনো এমন ব্যক্তির হাতের মাধ্যমে হয়েছে, যিনি মু‘তাযিলাদের প্রতি আকৃষ্ট ও তাদের পক্ষপাতী। তাছাড়া এই পাণ্ডুলিপি কার এবং কোন সময়ের তাও তাতে উল্লেখ নেই’।[10]

স্বয়ং মুহাক্বিক্বার মতে, কপির প্রস্তুতকারী মু‘তাযিলাদের পক্ষপাতদুষ্ট এবং কার ও কোন সময়ের কপি তাও অজানা। আর তাহক্বীক্বের মূলনীতির আলোকে এমন পাণ্ডুলিপির নির্ভর করা যায় না। এর বিপরীতে অন্যান্য পাণ্ডুলিপি নির্ভরযোগ্য এবং তাহক্বীক্বের মূলনীতি উত্তীর্ণ। আর এসব পাণ্ডুলিপির মাঝে তেমন কোনো অমিল নেই। কাজেই ড. ফাওকিয়া হুসাইনের উক্ত পাণ্ডুলিপির কারণে অন্যান্য পাণ্ডুলিপিকে বিকৃত বলা কোনো ইনছাফ হতে পারে না।[11]

(ঘ) ইবনু আসাকিরের ‘তাবয়ীনু কাযিবিল মুফতারী’ ও প্রকাশিত পাণ্ডুলিপির মাঝে ‘এক চোখ ও দুই চোখ’ নিয়ে যে অমিল রয়েছে, তা কোনো মৌলিক পার্থক্য নয়। এ জন্য এ পার্থক্যের কারণে পূর্বোল্লেখিত দাবিদারদের পূর্বে কেউ বিকৃত করার দাবি করেননি। তাছাড়া যে পার্থক্য রয়েছে তা কিছু সম্ভাবনা থেকে মুক্ত নয়। যেমন:

(১) আমরা উল্লেখ করেছি যে, প্রকাশিত ‘আল-ইবানাহ’ পাঁচাধিক হস্তলিখিত পাণ্ডুলিপির সমন্বয়ে প্রকাশিত। আর সবগুলো পাণ্ডুলিপিতে ‘দুই চোখ’-এর কথা রয়েছে। এমনকি ড. ফাওকিয়ার পাণ্ডুলিপিতেও ‘দুই চোখ’-এর কথা রয়েছে। কাজেই সম্ভাবনা রয়েছে, ‘তাবয়ীনু কাযিবিল মুফতারী’-এর পাণ্ডুলিপিতে এই ভুল হয়েছে।

(২) তাছাড়া আমরা যদি মেনেও নিই যে, ‘তাবয়ীনু কাযিবিল মুফতারী’-এর পাণ্ডুলিপি সঠিক, তারপরও এ দ্বারা প্রমাণিত হয় না যে, প্রকাশিত আল-ইবানাহতে বিকৃত করা হয়েছে। কারণ, পাঁচাধিক পাণ্ডুলিপি-লেখক সবাই ইচ্ছাকৃতভাবে এক স্থানে বিকৃত করবেন, এটা অসম্ভব ও বিবেক-বহির্ভূত এবং আলেমদের ব্যাপারে কুধারণা সৃষ্টিকরণ। সর্বোচ্চ আমরা একে অনিচ্ছাকৃত ভুল আখ্যা দিতে পারি। আর যাদের পুরাতন বইয়ের পাণ্ডুলিপির ব্যাপারে ধারণা আছে, তারা জানেন যে এমন ভুল থেকে প্রায় কোনো পাণ্ডুলিপি ‍মুক্ত নয়। ফলে এমন ভুলের কারণে পাণ্ডুলিপিকে বিকৃত আখ্যা দেওয়া হলে প্রায় সকল পাণ্ডুলিপি বাতিল হয়ে যাবে।

(৩) সম্ভাবনা রয়েছে আল-ইবানাহতে সত্যিকারার্থে দুই চোখের কথা ছিল কিন্তু ইবনু আসাকির তার নিজে হস্তলেখায় অনিচ্ছাকৃতভাবে এক চোখ হয়ে গিয়েছে।

 শিক্ষক, আল-জামি‘আহ আস-সালাফিয়্যাহ, বীরহাটাব-হাটাব, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ।


[1]. আহলুস সুন্নাহ আল-আশাঈরা: শাহাদাতু উলামাইল ‍উম্মাহ, পৃ. ৫৮-৫৯।

[2]. আজবিবাতুশ শায়খ সাঈদ আলা মুনতাদার রায়াহীন, পৃ. ৪৯, ৫২।

[3]. কিতাবুল আরশ, ২১৩-২১৪, বাংলা।

[4]. আল-ইবানাহ আল-উছূলিদ দিয়ানা, পৃ. ১২৫।

[5]. আল-ইবানাহ আল-উছূলিদ দিয়ানা, পৃ. ১২৫।

[6]. আল-ইশারাহ, পৃ. ২৪২।

[7]. তাবয়ীনু কাযিবিল মুফতারীর ‘ভূমিকা’; আস-সায়ফুল সাকিল, পৃ. ১৫৫-১৯৬।

[8]. নাযারাতুন ইলমিয়্যাতুন ফী নিসবাতি কিতাবিল ইবানাহ।

[9]. মাযাহিবুল ইসলামিঈন, ১/৫১৭।

[10]. ড. ফাওকিয়া হাসান কর্তৃক তাহক্বীক্বকৃত ‘আল-ইবানাহ’ গ্রন্থের ভূমিকা, পৃ. ১৮৮।

[11]. এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে দেখুন: মুহাম্মাদ হামিদ মুহাম্মাদ কর্তৃক তাহক্বীক্বকৃত ‘আল-ইবানাহ’ গ্রন্থের ভূমিকা, পৃ. ৪১-৪৪ এবং ড. ছালেহ উছাইমী কর্তৃক তাহক্বীক্বকৃত ‘আল-ইবানাহ’ গ্রন্থের ভূমিকা, পৃ. ১২৩-১৩৩।

Magazine