কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ নিয়ে বিতর্ক : একটি পর্যালোচনা

post title will place here

এসব জ্ঞানপাপীদের জেনে রাখা উচিত :

১. বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম একটি মীমাংসিত বিষয়। বাংলাদেশের সংবিধানের সর্বশেষ সংশোধনী পর্যন্ত রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলাম বহাল আছে। শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানের প্রথম ভাগের ২ অনুচ্ছেদের অন্তর্ভুক্ত। আর সংবিধানের ৭ক-তে (মৌলিক বিধানাবলি সংশোধন অযোগ্য) সুস্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ আছে— ‘সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সংবিধানের প্রস্তাবনা, প্রথম ভাগের সকল অনুচ্ছেদ, দ্বিতীয় ভাগের সকল অনুচ্ছেদ, নবম-ক ভাগে বর্ণিত অনুচ্ছেদসমূহের বিধানাবলি সাপেক্ষে তৃতীয় ভাগের সকল অনুচ্ছেদ এবং একাদশ ভাগের ১৫০ অনুচ্ছেদসহ সংবিধানের অন্যান্য মৌলিক কাঠামো সংক্রান্ত অনুচ্ছেদসমূহের বিধানাবলি সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন, রহিতকরণ কিংবা অন্য কোনো পন্থায় সংশোধনের অযোগ্য হইবে’।

২. সাংবিধানিকভাবে মীমাংমিত বিষয় নিয়ে অযথা বিতর্ক সৃষ্টি করা, বিভ্রান্তি ছড়ানো, উস্কানি দেওয়া ধৃষ্টতার শামিল।

৩. সংবিধান কখনো কোনো জাতির বোধ-বিশ্বাসের প্রতিবন্ধকতা হতে পারে না। বরং অধিকাংশ মানুষের বোধ-বিশ্বাসকে ধারণ করাই উত্তম সংবিধানের বৈশিষ্ট্য।

৪. ৯২% মুসলিমের ধর্ম ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম হওয়া অযৈক্তিক কিছু নয়। বরং রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকাই যৌক্তিক, অধিকতর ইনছাফভিত্তিক।

৫. ভাষা ও ধর্ম উভয়টিই মানুষের জন্য। মানুষের মুখের ভাষা যদি রাষ্ট্রভাষা হতে পারে, তাহলে মানুষের ধর্ম রাষ্ট্রধর্ম হতে বাধা নেই।

৬. ১৯৮৮ সালের অষ্টম সংশোধনীর ২ক অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে পালন করা যাইবে’। সংবিধানের সর্বশেষ সংশোধনীর ২ক-তেও বলা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ অন্যান্য ধর্মপালনে রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করিবেন’। সংবিধানে এরূপ দ্ব্যর্থহীন ঘোষণার পরও তাদের চক্রান্ত ও মতলব বুঝতে কারো কষ্ট হওয়ার কথা নয়।

৭. বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চারণভূমি। এখানে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও ভাষাগোষ্ঠীর মানুষ বাস করে। ধর্ম, সংস্কৃতি, আচার-অনুষ্ঠান, বোধ-বিশ্বাস আলাদা হলেও এ দেশের মানুষ সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করছে আবহমানকাল থেকে। সুতরাং তাদের অভিন্ন জাতীয় চরিত্রের কথা বাস্তবতাবর্জিত এবং অন্তঃসারশূন্য ফাঁকা বুলি ছাড়া কিছুই নয়।

৮. ১৯৭২ সালের সংবিধানে যে চারটি মূলনীতি ছিল তা তো সংবিধানের বর্তমান কাঠামোতে পুনঃস্থাপিত হয়েছে। ৭২-এর সংবিধানের মূলনীতিই বহাল আছে।

৯. সংবিধান তো পরিবর্তনশীল জিনিস। দেশ জাতির কল্যাণে তা একবার দুইবার নয়, শতবার পরিবর্তন হতে পারে। সুতরাং দেশ ও জাতির কল্যাণে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ সাংঘর্ষিক বিষয় নয়; বরং তা সাংঘর্ষিক অবস্থা নিরসনের উপায় হতে পারে।

১০. ১৯৮৮ সাল থেকে এ দেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রয়েছে। এতে সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায় কোনোরূপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। বরং রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকার কারণে তারাও সংখ্যাগুরুদের সমান এবং ক্ষেত্র বিশেষে বেশি অধিকার ও মর্যাদা ভোগের সুযোগ পাচ্ছেন।

১১. রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম কোনোভাবেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাপরিপন্থী নয়। কারণ ইসলামের পবিত্র বাণী ব্যবহার করেই মুক্তিযুদ্ধ গতি লাভ করেছিল, মুক্তিযোদ্ধারা সাহস ও শক্তি লাভ করেছিল। তাই ইসলামকে রাষ্ট্রধর্মের মর্যাদা দান দেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বের স্বার্থেই প্রয়োজন।

১২. মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনকারী গণমানুষের সংগঠন এবং একাধিকবার দেশকে নেতৃত্বদানকারী প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দল—জাতীয় পার্টি, বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ। এরা প্রত্যেকেই ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বহাল রেখেছে। এদের বাইরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনকারী গোষ্ঠীর অস্তিত্ব নেই বললেই চলে।

১৩. স্বয়ং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রেখেছেন। তার চেয়ে বেশি বঙ্গবন্ধুপ্রীতি আর কারো থাকতে পারে না।

১৪. রাষ্ট্রধর্ম না থাকলে কিংবা বাদ দিলেই কোনো রাষ্ট্র শান্তি, নিরাপত্তা, অসাম্প্রদায়িকতা, ধর্মীয় স্বাধীনতার হোলসেল এজেন্ট হয়ে যায় না, যার বড় প্রমাণ আজকের ধর্মনিরপেক্ষ ভারত ও চীন। সেখানে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিনিয়ত মুসলিম নিধন চলছে।

১৫. ইসলাম মানবতার ধর্ম। এতে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই। বরং মুসলিমরাই উল্টো সাম্প্রদায়িকতার স্বীকার, যার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত ভারত, মিয়ানমার, ইসরাঈল, চীনে গণহারে মুসলিম নিধন।

যারা রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মধ্যে স্বাধীনতার চেতনা বিনষ্টের গন্ধ খুঁজে বেড়ায়, তারা বিশিষ্ট কলামিস্ট এবনে গোলাম সামাদ এবং সৈয়দ আবুল মকসুদের নিম্নবর্ণিত কথা থেকে শিক্ষা নিতে পারে। এবনে গোলাম সামাদ লিখেছেন, ‘ধর্মের ইতিহাস ও আবেগকে বাদ দিয়ে আজকের বাংলাদেশের উদ্ভবকে ব্যাখ্যা করা যায় না। বাংলাদেশে ইসলাম না থাকলে পৃথক রাষ্ট্র বাংলাদেশের অস্তিত্ব রচিত হতে পারত না। কারণ, বাঙালি হিন্দুরা চিরকালই ভারতীয় জাতীয়তাবাদে আস্থা রেখেছেন, বাংলা ভাষার ভিত্তিতে কোনো পৃথক দেশ অথবা রাষ্ট্র গঠনের প্রয়োজন অনুভব করেননি। বাংলাদেশ মুসলিম অধ্যুষিত দেশ। বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। ১৯৪৭ সালে দক্ষিণ এশিয়ার দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে— ভারত ও পাকিস্তান। এই দুটি রাষ্ট্রের উদ্ভব হয় হিন্দুত্ব আর মুসলিম চেতনাকে নির্ভর করে। ১৯৭১ সালে আবার পাকিস্তান ভেঙে জন্ম নেয় পৃথক রাষ্ট্র বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীন হতে চেয়েছে, কিন্তু ইসলামী মূল্যবোধ পরিত্যাগ করতে চায়নি’।

গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের যে ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শ ঘোষিত হলো, তা ইসলামহীন সেক্যুলারিজম নয়। কারণ মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ইসলামসংক্রান্ত অনুষ্ঠান একটু বেশিই যেন প্রচারিত হতো। হিন্দু-বৌদ্ধ ধর্ম নিয়ে বিশেষ কিছুই হতো না। কিন্তু কেন তা হতো? তা হতো এই জন্য যে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম শ্রোতার কাছে ইসলামী অনুষ্ঠানের বিশেষ আবেদন ছিল। যার বিশেষ আবেদন থাকে, তার প্রয়োজন অস্বীকার করা যায় না। বাংলাদেশ কি সেদিন ধর্মনিরপেক্ষ হতে চেয়েছিল, না-কি অসাম্প্রদায়িক হতে চেয়েছিল? সেদিন বাংলাদেশের ধর্মাবলম্বী-নির্বিশেষে বাঙালি জনগণ চেয়েছিল অতীতের সাম্প্রদায়িক বিষ ধুয়ে-মুছে একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিপূর্ণ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে, সেক্যুলার হতে নয়’।

ইসলাম আল্লাহ প্রদত্ত একমাত্র জীবনব্যবস্থা। এর প্রতিটি বিধান ও নির্দেশনা মানুষের জন্য কল্যাণকর। এর অনুসরণ ও অনুকরণের মধ্যেই মানবজাতির প্রকৃত মুক্তি ও কল্যাণ নিহিত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ﴿إِنَّ الدِّينَ عِنْدَ اللَّهِ الْإِسْلَامُ﴾ ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট ইসলামই একমাত্র মনোনীত জীবনব্যবস্থা’ (আলে ইমরান, ৩/১৯)। আল্লাহ আরও বলেন,﴿وَمَنْ يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِينًا فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ﴾ ‘আর যে কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কিছুকে জীবনব্যবস্থা হিসেবে গ্রহণ করতে চায়, তা (আল্লাহর নিকট) গৃহীত হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে’ (আলে ইমরান, ৩/৮৫)। এ কালজয়ী আদর্শের প্রচার ও প্রসারের জন্যই যুগে যুগে নবী-রাসূলগণ প্রেরিত হয়েছেন। ইতিহাস সাক্ষী, যেখানেই ইসলাম প্রবেশ করেছে, প্রতিষ্ঠান লাভ করেছে, সেখানেই মানুষের জীবনধারায় শান্তি, সমৃদ্ধি, সৌহার্দ ও সম্প্রীতির ফল্গুধারা বইয়ে দিয়েছে। ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে অমুসলিম নাগরিকরা যে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা ভোগ করেছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। সুতরাং প্রতিটি মুসলিমের উচিত ইসলামের শিক্ষা, সৌন্দর্য ও কল্যাণবার্তা পৃথিবীর দিক-দিগন্তে ছড়িয়ে দেওয়া এবং সকল মতাদর্শের উপর ইসলামকে বিজয়ী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াস চালানো। যারা ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে চায় না তাদের নাম, লেবাস, চেহারা-অবয়ব যা-ই হোক না কেন তারা কখনো ঈমান ও ইসলামের দাবিতে সত্যবাদী হতে পারে না। আল্লাহ তাআলা বলেন,﴿هُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَى وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُونَ﴾ ‘তিনিই সে সত্তা, যিনি তার রাসূলকে হেদায়াত ও সত্য দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন, যেন তিনি আর সব দ্বীনের উপর একে বিজয়ী করেন, যদিও মুশরিকরা (অংশীবাদীরা) তা অপছন্দ করে’ (আত-তওবা, ৯/৩৩)। এ ঘোষণার পাশাপশি রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর অনুসারী মুসলিমদের পথ অনুসরণ না করার পরিণতিও তিনি উল্লেখ করেছে এভাবে—

﴿وَمَنْ يُشَاقِقِ الرَّسُولَ مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ الْهُدَى وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيلِ الْمُؤْمِنِينَ نُوَلِّهِ مَا تَوَلَّى وَنُصْلِهِ جَهَنَّمَ وَسَاءَتْ مَصِيرًا﴾

‘সৎপথ প্রকাশিত হওয়ার পরও কেউ যদি রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মুমিনদের অনুসৃত পথের বিরুদ্ধে চলে, তবে আমি তাকে ঐ দিকেই ফিরিয়ে দেব যে দিক সে অবলম্বন করেছে এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব’ (আন-নিসা, ৪/১১৫)। সুতরাং আমাদের উচিত, পরিপূর্ণভাবে ইসলামকে ধারণ করা এবং নির্দেশনাবলি মেনে নেওয়া। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন,﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ﴾ ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করো এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু’ (আল-বাক্বারা, ২/২০৮)

বাংলাদেশে সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম আছে এবং থাকবে। এটি ধর্মপ্রাণ ঈমানদার মুসলিমদের প্রাণের দাবি। এর বিরোধিতা করা ধৃষ্টতা ও উস্কানিমূলক আচরণের শামিল। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকা না থাকা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে যত কথাই থাকুক না কেন আমাদের মনে রাখতে হবে যে, রাষ্ট্রের মূল উদ্দেশ্য হলো সাম্য, ন্যায়বিচার ও জনকল্যাণ নিশ্চিত করা। যদি কোনো রাষ্ট্রে এ উপাদানগুলো উপস্থিত থাকে, তাহলে সেখানে সাংবিধানিকভাবে ইসলাম না থাকলেও প্রকৃতার্থে ইসলামের অনুশাসনই বিদ্যমান থাকে। আবার কোনো রাষ্ট্রে ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্বীকৃত থাকার পরও যদি সাম্য, ন্যায়বিচার ও জনকল্যাণ না থাকে এবং মদ, জুয়া, সূদ, ঘুষ, দুর্নীতি, ব্যভিচার, নগ্নতা, অশ্লীলতা, পতিতাবৃত্তির মতো নিষিদ্ধ ও মানবতাবিরোধী কর্ম অবাধে প্রকাশ্যে-দিবালোকে চলমান থাকে তাহলে সে রাষ্ট্রে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকা না থাকা একই কথা।

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে শাশ্বত জীবন বিধান ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসারী হওয়ার তাওফীক্ব দান করুন- আমীন!

-মো. হাসিম আলী

সহকারী শিক্ষক, পল্লী উন্নয়ন একাডেমী ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজ, বগুড়া।

Magazine