উত্তর : জরুরী প্রয়োজনে ছালাতরত মুছল্লীর সামনে সিজদা পরিমাণ জায়গার বাইরে দিয়ে যেতে পারে। যেমন পেশাব-পায়খানার চাপ সৃষ্টি হলে, সাপ-বিচ্ছুর ভয় থাকলে ইত্যাদি। আবূ সাঈদ খুদরী রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যখন কেউ কিছুর আড়াল দিয়ে ছালাত শুরু করে, আর কেউ তার ভেতর দিয়ে চলাচল করতে চায় তাকে বাধা দিবে। সে বাধা অমান্য করলে তার সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হবে। কারণ চলাচলকারী (মানুষের আকৃতিতে) শয়তান (ছহীহ বুখারী, হা/৫০৯; ছহীহ মুসলিম, হা/৫০৫; আবূ দাঊদ, হা/৭০০; মিশকাত, হা/৭৭৭)। তবে স্বাভাবিক কোনো অবস্থায় যাওয়া উচিত নয়। কেননা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘ছালাত আদায়কারী ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাতায়াতকারী ব্যক্তি যদি জানত যে, এতে কী পরিমাণ গুনাহ হয়, তাহলে সে তার সামনে দিয়ে যাতায়াত অপেক্ষা ৪০ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকাকেই উত্তম মনে করত। বর্ণনাকারী আবূ নাযর বলেন, ঊর্ধ্বতন রাবী ৪০ দিন, মাস না-কি বছর বলেছেন তা আমার মনে নেই (ছহীহ বুখারী, হা/৫১০; ছহীহ মুসলিম, হা/৫০৭; মিশকাত, হা/৭৭৬)। উল্লেখ্য যে, জামাআত চলাকালে সকল মুছল্লীর সুতরা হলো ইমাম। তাই ইমামের সামনে দিয়ে যাওয়া যাবে না। কিন্তু ইমামের পিছনে থাকা মুছল্লীদের সামনে দিয়ে যাওয়াতে শারঈ কোনো বাধা নেই। কারণ ইমামের সুতরাই মুছল্লীদের সুতরা হিসাবে গণ্য। ইবনু আব্বাস রযিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক বার আমি একটি মাদি গাধার উপর আরোহণ করে এলাম। তখন আমি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার উপক্রম হয়ে গেছি। এ সময় রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিনায় অন্যান্য লোকজনসহ কোনো দেয়ালের আড়াল ছাড়া ছালাত আদায় করছিলেন। আমি কাতারের এক পাশের সামনে দিয়ে চলে গেলাম। এরপর গাধাটাকে চরাবার জন্য ছেড়ে দিয়ে আমি কাতারে দাঁড়িয়ে গেলাম। আমার এই কাজে কেউই কোনো আপত্তি জানালো না (ছহীহ বুখারী, হা/৭৬; ছহীহ মুসলিম, হা/৫০৪; মিশকাত, হা/৭৮০)।
প্রশ্নকারী : আব্দুস সামাদ
নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর।