কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

দুনিয়াবী ও পরকালীন সফলতা লাভের শারঈ উপায়

post title will place here

[২৪ জুমাদাল উলা, ১৪৪৫ হি. মোতাবেক ৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ পবিত্র হারামে মাক্কীর (কা‘বা) জুমআর খুৎবা প্রদান করেন শায়খ. বান্দার ইবনে আব্দুল আযীয বালীলাহ হাফিযাহুল্লাহউক্ত খুৎবা বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়-এর আরবী বিভাগের সম্মানিত পিএইচডি গবেষক আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ। খুৎবাটি ‘মাসিক আল-ইতিছাম’-এর সুধী পাঠকদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হলো।]

প্রথমখুৎবা

সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্যই, যিনি কিতাব অবতীর্ণকারী, অবতীর্ণ বিধানের বিশদ বিবরণদাতা, ন্যায়ের দ্বার উন্মুক্তকারী ও অগণিত ছওয়াব প্রদানকারী। আমি সুনিশ্চিতভাবে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোনো ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয় মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল। আল্লাহ তাঁকে সত্য, হেদায়াত ও শিষ্টাচারসহ প্রেরণ করেছেন। তাঁর উপর দরূদ ও সালাম অবতীর্ণ হোক এবং তাঁর পরিবারবর্গ, ছাহাবী, তাবেঈ ও ক্বিয়ামত পর্যন্ত তাঁর অনুসরণকারী উম্মাহর উপর শান্তি অবতীর্ণ হোক।

অতঃপর, হে মানুষ সকল! আমি প্রথমে নিজের প্রতি এবং আপনাদের প্রতি তাক্বওয়ার অছিয়ত করছি। অতএব আপনারা আল্লাহকে ভয় করে চলুন। আল্লাহ আপনাদের প্রতি রহমত বর্ষণ করবেন। নিশ্চয় তাক্বওয়া অবলম্বনকারী ও আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনকারীরাই সফলকাম হয়েছে এবং নিরাশা ও সংশয়বাদীরাই বিফল হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ ‘হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সঙ্গে থাকো’ (আত-তাওবা, ৯/১১৯)

হে ‍মুমিনগণ! আমলকারীর তার আমলের দ্বারা সফলতা লাভই মুখ্য উদ্দেশ্য থাকে। ‍কেবল এই সফলতাকে ধরার জন্যই আমলকারী তার সর্বস্ব দিয়ে আমল করে থাকে।

সফলতা হলো ইহকাল বা পরকালে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছার মাধ্যমে বিজয়ী হওয়া। পার্থিব সফলতা হলো দুনিয়ার সুখ-সম্ভোগ আস্বাদন করা। আর পরকালীন সফলতা হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তাঁর জান্নাত লাভ করে ধন্য হওয়া। প্রকৃত বুদ্ধিমান সেই ব্যক্তি যে তার সকল চিন্তাভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গিকে একমাত্র পরকালের সাফল্যের দিকে নিবিষ্ট করতে পেরেছে; কারণ এটিই তার চূড়ান্ত আশা-আকাঙ্ক্ষার জায়গা ও লক্ষ্যস্থল। এ সফলতা লাভের জন্য দরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা, অসীম ধৈর্য ও দৃঢ় প্রত্যয়ী হওয়া।

হে আল্লাহর বান্দাগণ! ঈমান ও আমলে ছালেহ ব্যতীত পরকালীন সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। আল্লাহ তাআলা মুমিনদের তাদের ঈমান ও আমলের জন্য প্রশংসা করেছেন, তারপর তাদেরকে সফল বলে আখ্যা দিয়েছেন। মহান আল্লাহ বলেন, أُولَئِكَ عَلَى هُدًى مِنْ رَبِّهِمْ وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ ‘এরাই তাদের রবের পক্ষ হতে প্রাপ্ত হেদায়াতের উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে এবং এরাই পূর্ণ সফলকাম’ (আল-বাক্বারা, ২/৫)। আল্লাহ তাআলা আরো বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা রুকূ করো, সিজদা করো আর তোমাদের প্রতিপালকের ইবাদত করো ও সৎকাজ করো, যাতে তোমরা সাফল্য লাভ করতে পারো’ (আল-হজ্জ, ২২/৭৭)। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তবে যে ব্যক্তি তওবা করেছিল, ঈমান এনেছিল ও সৎকাজ করেছিল সে তো সাফল্য অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (আল-ক্বাছাছ, ২৮/৬৭)

পরকালীন সফলতার প্রধান ভিত্তি হলো দুই শাহাদাত তথা আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল, এই সাক্ষ্য দেওয়া। এটিই হচ্ছে ইসলামের প্রবেশদ্বার এবং ইসলামী মিল্লাতের মূল ভিত্তি। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, قولوا لا إلهَ إلا اللهُ تُفلحوا ‘তোমরা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলো, অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোনো প্রকৃত মা‘বূদ নেই, তাহলে তোমরা সফলতা লাভ করবে’।[1]

অতএব, যে ব্যক্তি আল্লাহর ফরযকৃত বিধান পালন করেছে, সে সফলকাম হয়েছে। যেমন হাদীছে এসেছে, ত্বালহা ইবনু উবাইদুল্লাহ রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক নাজদবাসী রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এলো। তার মাথার চুল ছিল এলোমেলো। আমরা তার কথার মৃদু আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম, কিন্তু সে কী বলছিল, আমরা তা বুঝতে পারছিলাম না। এভাবে সে নিকটে এসে ইসলাম সম্পর্কে প্রশ্ন করতে লাগল। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘দিন-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত’। সে বলল, আমার উপর এ ছাড়া আরো ছালাত আছে কি? তিনি বললেন, ‘না, তবে নফল আদায় করতে পারো’। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘আর রামাযানের ছিয়াম’। সে বলল, আমার উপর এছাড়া আরো ছিয়াম আছে কি? তিনি বললেন, ‘না, তবে নফল আদায় করতে পারো’। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নিকট যাকাতের কথা বললেন। সে বলল, আমার উপর এছাড়া আরো আছে কি? তিনি বললেন, ‘না, তবে নফল হিসেবে দিতে পারো’। বর্ণনাকারী বলেন, সে ব্যক্তি এই বলে চলে গেল যে, আল্লাহর শপথ! আমি এর চেয়ে অধিকও করব না এবং কমও করব না। তখন রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘সে কৃতকার্য হবে, যদি সত্য বলে থাকে’।[2]

সফলতা লাভের প্রধান ফরয আমল হলো ছালাত। ছালাত হলো সকল ইবাদতের মূল ও আনুগত্যের খুঁটি। একমাত্র ছালাতই সকল প্রকার মন্দ ও ধোঁকার কাজ থেকে বাধাদানকারী। ছালাত শয়তানের শত্রুতা ও প্ররোচনা থেকে রক্ষাকারী। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই যে, একারণেই ছালাতে ও ইক্বামতে ফালাহ তথা সফলতার দিকে আহ্বান করা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন,قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ - الَّذِينَ هُمْ في صَلَاتِهِمْ خَاشِعُونَ ‘অবশ্যই সফলকাম হয়েছে মুমিনগণ। যারা নিজেদের ছালাতে বিনয়-নম্রতা অবলম্বন করে’ (আল-মুমিনূন, ২৩/১-)। নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন বান্দার আমলের মধ্যে সর্বপ্রথম হিসাব নেওয়া হবে ছালাতের। যদি তা সঠিক বলে গণ্য হয়, তবে সে হবে কল্যাণপ্রাপ্ত ও সফলকাম। আর যদি তা সঠিক বলে গণ্য না হয়, তবে সে হবে অসফল ও ক্ষতিগ্রস্ত’।[3]

হে মুসলিমগণ! পাপ ও ঘৃণা থেকে পবিত্রতা অর্জন ও আল্লাহর কাছে তওবা করা সফলতা লাভের পথ এবং সৎকর্মশীল হওয়ার প্রমাণ। মহান আল্লাহ বলেন,وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَا الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ ‘হে মুমিনগণ! তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তওবা করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো’ (আন-নূর, ২৪/৩১)। আল্লাহ তাআলা বলেন,يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا لَقِيتُمْ فِئَةً فَاثْبُتُوا وَاذْكُرُوا اللَّهَ كَثِيرًا لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ ‘হে মুমিনগণ! যখন তোমরা কোনো দলের মুখোমুখি হও, তখন অবিচল থাকো আর আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো, যাতে তোমরা সফল হও’ (আল-আনফাল, /৪৫)। মহান আল্লাহ বলেন, فَاذْكُرُوا آلَاءَ اللَّهِ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ ‘সুতরাং তোমরা স্মরণ করো আল্লাহর নেয়ামতসমূহকে, যাতে তোমরা সফলকাম হও’ (আল-রাফ, ৭/৬৯)। মহান আল্লাহ বলেন, ‘অতএব আত্মীয়স্বজনকে তাদের হক্ব দিয়ে দাও এবং মিসকীন ও মুসাফিরকেও। এটি উত্তম তাদের জন্য, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি চায় এবং তারাই সফলকাম’ (আর-রূম, ৩০/৩৮)। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিঃসন্দেহে সে সফলকাম হয়েছে, যে নিজেকে পরিশুদ্ধ করেছে। সেই ব্যর্থ হয়েছে যে নিজ আত্মাকে কলুষিত করেছে’ (আশ-শামস, ৯১/৯-১০)

হে আল্লাহ! আমাদেরকে আপনার সন্তুষ্টি রয়েছে এমন আমল করার তাওফীক্ব দিন। আপনার নিষেধকৃত ও অসন্তুষ্টিমূলক আমল করা থেকে রক্ষা করুন। আমাদেরকে আপনার মুত্তাক্বী বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করে নিন এবং আপনার সফল বান্দাদের শিবিরে আমাদের দলভুক্ত করে নিন- আমীন!

أقول ما سمعتم وأستغفر الله لي ولكم فاستغفروه فيا فوز المستغفرين.

দ্বিতীয়খুৎবা

যাবতীয় প্রশংসা একমাত্র আল্লার জন্যই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোনো ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয় মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। দরূদ ও সালাম অবতীর্ণ হোক তাঁর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর; তাঁর পরিবারবর্গ, ছাহাবী এবং তাঁর সকল অনুসারীদের উপর শান্তির ধারা অবতীর্ণ হোক।

অতঃপর, হে মুমিনগণ! মানুষের নফস কল্যাণের দিকে অগ্রসর হওয়া ও না হওয়ার মধ্যে আবর্তিত হতে থাকে। নফসের কল্যাণের দিকে অগ্রসর হওয়ার ফলাফল হলো এতে নফস আনুগত্যের দিকে ঝুঁকে পড়ে। আর কল্যাণের কাজ থেকে পিছপা হওয়ার ফলে নফস আল্লাহর ফরয ও নফল বিধান পালন থেকে বিরত হয়। আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘প্রতিটি আমলের ক্ষেত্রেই শুরুতে খুব উৎসাহ উদ্দীপনা থাকলেও ধীরে ধীরে তা স্তিমিত হয়ে পড়ে। অতএব যার আমলের শিথিলতা আমার সুন্নাহ পালনরত অবস্থায় এসেছে, সে সফলকাম; কিন্তু যার আমলের শিথিলতা এসেছে সুন্নাহ ব্যতীত অন্য কারণে, সে ধ্বংস হয়ে গেছে’।[4]

বান্দার জন্য কতই না সৌভাগ্য ও আনন্দের বিষয় হবে যখন সে দেখবে যে, তার সৎ আমলের পাল্লা ভারী হয়েছে এবং অসৎ আমল ও পাপ কাজের পাল্লা হালকা হয়েছে! আর এতে সে সফলকাম হয়েছে ও মুক্তি লাভ করেছে। মহান আল্লাহ বলেন, فَمَنْ ثَقُلَتْ مَوَازِينُهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ ‘আর সেদিন (ক্বিয়ামতের দিন) ন্যায় ও সঠিকভাবে (প্রত্যেকের আমল) ওযন করা হবে, সুতরাং যাদের (পুণ্যের) পাল্লা ভারী হবে তারাই হবে কৃতকার্য ও সফলকাম’ (আল-আ‘রাফ, ৭/৮)

হে আল্লাহ! আমরা আপনার কাছে উপকারী ইলম চাই। প্রশস্ত রিযিক্ব কামনা করি। গ্রহণীয় সৎ আমল করার তাওফীক্ব চাই। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের সকল বিষয়ে শুভ পরিণতি দান করুন। আমাদেরকে দুনিয়ার লাঞ্ছনা ও পরকালীন আযাব থেকে পরিত্রাণ দিন। কুরআনের ভাষায়, رَبَّنَا آمَنَّا بِمَا أَنْزَلْتَ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُولَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি যা অবতীর্ণ করেছেন, আমরা তা বিশ্বাস করি এবং আমরা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুসরণ করছি। অতএব সাক্ষীগণের সাথে আমাদেরকে লিপিবদ্ধ করুন’ (আলে ইমরান, ৩/৫৩)। পবিত্র কুরআনের আরেকটি আয়াত,رَبَّنَا آتِنَا في الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালে ও পরকালে কল্যাণ দান করুন এবং জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা করুন’ (আল-বাক্বারা, ২/২০১)


[1]. আহমাদ, হা/২৩২৪০; ইবনু হিব্বান, হা/১৫৯, সনদ ছহীহ।

[2]. ছহীহ বুখারী, হা/৪৬, ১৮৯১, ২৬৭৮, ৬৯৫৬; ছহীহ মুসলিম, হা/১১; আহমাদ, হা/১৩৯০।

[3]. তিরমিযী, হা/৪১৩; ইবনু মাজাহ, হা/১৪২৫, ১৪২৬।

[4]. আহমাদ, হা/৬৭৬৪; সিলসিলা ছহীহা, হা/২৮৫০।

Magazine