[৫ ছফর, ১৪৪৬ হি. মোতাবেক ৯ আগস্ট, ২০২৪ পবিত্র হারামে মাক্কীর (কা‘বা) জুমআর খুৎবা প্রদান করেন শায়খ ড. বান্দারইবনুআব্দুলআযীযবালীলাহ হাফিযাহুল্লাহ।উক্ত খুৎবা বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়-এর আরবী বিভাগের সম্মানিত পিএইচডি গবেষক আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ। খুৎবাটি ‘মাসিক আল-ইতিছাম’-এর সুধী পাঠকদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হলো।]
প্রথমখুৎবা
যাবতীয় প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য। যিনি মহিমান্বিত ও সম্মানিত এবং যিনি মহা ক্ষমতাবান ও দাতা। আমি তাঁর প্রশংসা ও পবিত্রতা ঘোষণা করছি। আমি তাঁর অফুরন্ত অনুগ্রহ এবং দানের জন্য অবিরত কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোনো ইলাহ নেই। তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই এবং তিনি সর্বজ্ঞ অধিপতি।
আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয় আমাদের নেতা ও নবী মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি সৃষ্টিজগতের সর্বোত্তম ব্যক্তি এবং ক্বিয়ামত দিবসে উম্মতের সুপারিশকারী হবেন, তাঁর উপর দরূদ ও সালাম অবতীর্ণ হোক। তাঁর পরিবারবর্গ, সম্মানিত ছাহাবী, তাবেঈ এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত আগত উম্মতের প্রতি শান্তি অবতীর্ণ হোক।
অতঃপর, হে মানুষ সকল! আমি নিজেকে ও আপনাদেরকে আল্লাহভীতি অবলম্বনের অছিয়ত করছি। অতএব, আপনারা মহান আল্লাহকে ভয় করে চলুন। আল্লাহ আপনাদের প্রতি রহম করুন। মহান আল্লাহ আপনাদের প্রতি যে বিশেষ দান ও অনুগ্রহ করেছেন সেজন্য তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। নিশ্চয়ই আপনাদের প্রতি মহান আল্লাহর অবারিত অনুগ্রহ রয়েছে, যা গণনা করে শেষ করা সম্ভব নয়। মহান আল্লাহ বলেন, وَإِنْ تَعُدُّوا نِعْمَةَ اللَّهِ لَا تُحْصُوهَا ‘যদি তোমরা আল্লাহর নেয়ামত গণনা কর, তবে তার সংখ্যা নিরূপণ করতে পারবে না’ (ইবরাহীম, ১৪/৩৪)।
হে মুসলিমগণ! মহান আল্লাহ মানবজাতির জন্য নফসকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাতে এমন স্বভাব ও চরিত্র দিয়েছেন যাতে তারা দ্বীন পালন ও দুনিয়াবী জীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে একমত হয়ে সৌহার্দপূর্ণভাবে চলতে পারে। অতঃপর হৃদ্যতা ও ঘৃণা, সন্তুষ্টি ও ক্রোধ, সহনশীলতা ও মূর্খতা, ধীরস্থিরতা অবলম্বন ও তাড়াহুড়া, উদারতা ও কৃপণতার মতো আরো অনেক স্বভাব মানুষের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই থাকে। কোনো মানুষই এসব দোষ-গুণ থেকে মুক্ত থাকতে পারে না, সে যতই মহান হোক না কেন।
আর নিশ্চয়ই মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর বান্দাদের উপর নফসকে পরিশুদ্ধ করার বিধান ও দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে, যাতে তারা মুত্তাক্বীদের পথে চলতে পারে এবং সৎ সংস্কারকদের পথ অনুসরণ করতে পারে।
জেনে রাখুন! নিশ্চয়ই এই সকল স্বভাবের মধ্যে নিজের মধ্যে সৌহার্দ বা আন্তরিকতার স্বভাব গড়ে তোলা বান্দাদের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তারকারী। এটি মূলত এমন একটি স্বভাব যা কেবল কারো প্রতি পূর্ণ অনুগ্রহ করা এবং স্থায়ীভাবে এর উপর দৃঢ় থাকার মাধ্যমেই অর্জিত হয়। আল্লাহর কসম! নিঃসন্দেহে এই স্বভাব মুমিনকে আরো বেশি আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায় করতে, কৃতজ্ঞতা জানাতে, তওবা করতে এবং আরো বেশি আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে অনুপ্রাণিত করে।
হে আল্লাহর বান্দাগণ! সুন্দর অভ্যাস হলো সবচেয়ে বড় উপাদান যা বান্দাকে সোজা সরল পথে অবিচল থাকতে সাহায্য করে এবং তাকে সৎকর্ম করতে ও দ্বীনের পথে চলতে উৎসাহিত করে। যখন কেউ কোনো ব্যক্তিকে আল্লাহর আনুগত্যের উপর অভ্যস্ত করে তোলে এবং তাকে নেক কাজ ও ইবাদতের উপর গড়ে তোলে, তখন সেই ব্যক্তি আল্লাহর ইবাদতকে ভালোবাসতে থাকে এবং নেক কাজ করা তার অভ্যাসে পরিণত হয়। যেমন ছালাত আদায় করা, ছিয়াম রাখা, ছাদাক্বা করা, কুরআন তেলাওয়াত করা, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা, মানুষের বিপদাপদ দূর করা, মানুষের প্রয়োজন পূরণ করা, সৎকর্ম করা, দুস্থ-অসহায় মানুষকে সাহায্য করা ইত্যাদি। আর এটি একটি প্রশংসনীয় আচরণ, যা সকলেই পছন্দ করে এবং চায়। এমন স্বভাবের ব্যক্তির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় এবং এর অধিকারী আরও সমৃদ্ধ হয় যখন সে নিজেকে ইবাদতের পথে পরিচালিত করে। এভাবে এটি তার জন্য একটি অভ্যাসে পরিণত হয় যা থেকে মুক্ত হওয়া তার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে এবং এই অভ্যাসের বাইরে সে নিজের নফসকে কল্পনাও করতে পারে না। আল্লাহর কসম! তা হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে হেদায়াত, সৎকাজের সক্ষমতা, সঠিক পথে পরিচালিত হওয়া ও উত্তম প্রভাব লাভের তাওফীক্ব লাভ করা।
হে আল্লাহর বান্দাগণ! প্রশংসিত ভালো অভ্যাসের মধ্যে আরো রয়েছে, মানুষের মধ্যে আল্লাহ যে সকল কষ্ট সহ্য করার অভ্যাস ও ক্ষমতা দান করেছেন, তার কারণেই তারা জীবনের কঠিন পরিস্থিতিতেও নিজেদের সামলে নিতে পারে। কারণ কোনো মুছীবত বা আঘাতের কষ্ট প্রথমবারই বেশি যন্ত্রণাদায়ক হয়। যেমন রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘প্রকৃত ছবর হচ্ছে প্রথম আঘাতের সময় ধৈর্যধারণ করা’।[1] অতঃপর অল্প সময়ের মধ্যেই তার আঘাতের প্রভাব কমে যায় এবং তা সহ্য করা সহজ হয়ে যায়। তখন মানুষ মন থেকে তা গ্রহণ করে এবং আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া, তাঁর ফয়সালা মেনে নেওয়া ও তাক্বদীরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের মাধ্যমে তাঁর ইচ্ছায় সন্তুষ্ট হয়ে যায়। এটি এমন একটি নেয়ামত যার জন্য শুকরিয়া আদায় করা আবশ্যক। কারণ মুছীবতের প্রভাব বেশি দীর্ঘস্থায়ী হয় না। এর কারণে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে এবং তাদের জন্য তা গ্রহণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
হে মুসলিমগণ! এখানে এমন এক প্রকারের অভ্যাস রয়েছে, যা নিন্দনীয় এবং এর ধারণকারীও নিন্দিত। আর তা হলো আল্লাহর নেয়ামতকে ভুলে যাওয়া। এই নেয়ামতের স্মরণ ও শুকরিয়া আদায় থেকে গাফেল থাকা। এটি আল্লাহর নেয়ামতকে অস্বীকার করার সূচনা ও তা বিলোপের ঘোষণার শামিল। এ ধরনের ব্যক্তি আল্লাহর কোনো নেয়ামতকে স্বীকার করে না এবং তাঁর কোনো অনুগ্রহের স্বীকৃতিও দেয় না। বরং সে এই নেয়ামত লাভের পিছনে নিজের পরিশ্রম, তার বাবা-মা এবং পূর্বপুরুষদের অবদান আছে বলেই মনে করে। সে এর মাধ্যমে মূলত আল্লাহর নেয়ামতকে অস্বীকার করে। যেমন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন,يَعْرِفُونَ نِعْمَةَ اللهِ ثُمَّ يُنْكِرُونَهَا وَأَكْثَرُهُمُ الْكَافِرُونَ ‘তারা আল্লাহর নেয়ামতকে চিনতে পারে, কিন্তু তা সত্ত্বেও সেগুলো অগ্রাহ্য করে, তাদের অধিকাংশই অকৃতজ্ঞ’ (আন-নাহল, ১৬/৮৩)। এর ব্যাখ্যায় প্রখ্যাত মুফাসসির মুজাহিদ রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আরবের লোকেরা বলত, এই নেয়ামত আমাদের বাপ-দাদাদের ছিল এবং আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে তা প্রাপ্ত হয়েছি।[2]
এ থেকে পরিত্রাণ লাভ কেবল নিয়মিত আল্লাহর নেয়ামতকে গণনা করা, তার নেয়ামতকে উপলব্ধি করা এবং অনুগ্রহদাতার অনুগ্রহ স্বীকার ও স্মরণ করার মাধ্যমেই সম্ভব। এর পাশাপাশি কথা ও কাজে আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা জরুরী।
হে আল্লাহর বান্দাগণ! আপনারা মহান আল্লাহকে ভয় করে চলুন। আপনাদের অভ্যাস ও আচরণ যেন কখনোই আল্লাহর দেওয়া সুখ ও নেয়ামতকে ভুলিয়ে না দেয়। আপনারা রবের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন, যিনি আপনাদেরকে অফুরন্ত নেয়ামত দিয়েছেন। সর্বদা মহান আল্লাহর অনুগ্রহগুলো স্মরণ করুন। তিনি আপনাদের প্রতি যে সুন্দর অনুগ্রহ, ইহসান, অফুরন্ত দান ও উপকার করেছেন তা যেন কেড়ে না নেন এজন্য তাঁর কাছে বিনয়ের সাথে প্রার্থনা করুন।
أقول قولي هذا وأستغفِر اللهَ لي ولكم، فاستغفِروه إنه هو الغفور الرحيم.
দ্বিতীয়খুৎবা
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি সর্বদা আমাদের উপর অনুগ্রহ বর্ষণ করেন এবং শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে অবকাশ দেন। সকল উম্মাহর মধ্যে শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তি ও আমাদের নবী মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর পরিবারবর্গ ও উত্তম গুণাবলির অধিকারী সকল ছাহাবী, আরব-অনারব সকল তাবেঈ ও তাবে-তাবেঈনের ওপর দরূদ ও সালাম অবতীর্ণ হোক।
অতঃপর আপনারা জেনে রাখুন! আল্লাহ আপনাদের উপর রহম করুন। সবচেয়ে জঘন্য অভ্যাস হলো গুনাহের কাজে অভ্যস্ত হওয়া এবং তার ক্ষতি ও বিপদের ব্যাপারে গাফেল থাকা। আর তার চেয়েও জঘন্যতম অভ্যাস হলো গুনাহ করার পরও অন্তরের মধ্যে অপরাধবোধ তৈরি না হওয়া এবং পাপের জন্য ব্যথিত না হওয়া। এভাবে এক পর্যায়ে সেই ব্যক্তির কাছে পাপ কাজ হালকা মনে হতে থাকে এবং তার অন্তরে মোহর মারা হয়। আল্লাহর শপথ! নিশ্চয় এটি বান্দার উপর সবচেয়ে বড় শাস্তি যা জমিন ও আসমানসমূহের রবের ক্রোধকে অবধারিত করে। যেমন মহান আল্লাহ বলেন, كَلَّا بَلْ رَانَ عَلَى قُلُوبِهِمْ مَا كَانُوا يَكْسِبُونَ ‘না, এটা সত্য নয়, বরং তাদের কৃতকর্মের ফলেই তাদের মনের উপর মরিচা জমে গেছে’ (আল-মুত্বাফফিফীন, ৮৩/১৪)।
হে আল্লাহর বান্দাগণ! অন্তরের উপর মরিচা পড়া থেকে বাঁচার উপায় হলো বারবার মহান আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করা এবং তওবার উপর সদা অটল থাকা। যতক্ষণ না আপনার অন্তরে সব ধরনের গুনাহের প্রতি ঘৃণা জন্মায় এবং পদস্খলন ও পাপ থেকে বিমুখতা তৈরি হয়। আর এটিই হলো ঈমান থাকার নিদর্শন। জামে তিরমিযীতে বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যার সৎ আমল তাকে আনন্দিত করে এবং বদ আমল কষ্ট দেয় সেই হলো প্রকৃত ঈমানদার’।[3]
হে আল্লাহ! আপনি ইসলাম ও মুসলিমদেরকে সম্মানিত করুন। ইসলামী ভূখণ্ডকে রক্ষা করুন। হে জগতের পালনকর্তা! আপনার তাওহীদপন্থি বান্দাদেরকে সাহায্য করুন। হে আল্লাহ! মুসলিমদের মধ্যে যারা দুঃখী, তাদের দুঃখ দূর করুন; যারা কষ্টে আছে, তাদের কষ্ট লাঘব করুন; যারা ঋণগ্রস্ত, তাদের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা দিন এবং আপনার রহমত ও দয়ায় আমাদের মধ্যকার সকল মুসলিম অসুস্থদের পরিপূর্ণ শিফা দিন।
হে আল্লাহ! আমাদেরকে আমাদের দেশে নিরাপদ রাখুন। আমাদের ইমাম ও শাসকদের সঠিক পথে পরিচালিত করুন। তাদেরকে হক্ব, সফলতা এবং সঠিক পথের উপর অবিচল রাখুন। হে জগতের পালনকর্তা! আমাদের বিশ্বস্ত ইমামকে দেশ ও জনগণের কল্যাণ এবং ইসলাম ও মুসলিমদের শক্তিশালী করার ব্যাপারে সক্ষমতা দান করুন। হে আল্লাহ! সীমান্তে দায়িত্বরত আমাদের সৈন্যদের সঠিক পথ দেখান। হে জগতের পালনকর্তা! আপনি তাদের জন্য সাহায্যকারী, সমর্থক, পৃষ্ঠপোষক ও রক্ষাকর্তা হোন। তাদেরকে আপনার নিরন্তর নযরদারিতে রাখুন এবং আপনার অদৃশ্য রক্ষাকবচে আচ্ছাদিত করুন।
হে আল্লাহ! আপনি আমাদের মধ্যে ও আপনার অবাধ্যতা করার মধ্যে বাধা হিসেবে এমন ভয় সঞ্চার করে দিন, যা আমাদেরকে আপনার অবাধ্যতা থেকে বিরত রাখবে। হে আল্লাহ! আমাদেরকে আপনার অবারিত দান ও অনুগ্রহ থেকে বঞ্চিত করবেন না, যার উপরে আপনি আমাদেরকে অভ্যস্ত করেছেন। হে পরম দয়ালু! আমাদেরকে আপনার বিস্তীর্ণ গোপনীয়তা ও ক্ষমার চাদরে আচ্ছাদিত করুন। আল্লাহর বাণী,رَبَّنَا آتِنَا في الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দিন আর আখেরাতেও কল্যাণ দিন এবং আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন’ (আল-বাক্বারা, ২/২০১)।
[1]. ছহীহ বুখারী, হা/১২৮৩; ছহীহ মুসলিম, হা/৯২৬।
[2]. তাফসীরে মুজাহিদ, ১/৪২৪।
[3]. তিরমিযী, হা/২১৬৫; ইবনু মাজাহ, হা/২৩৬৩; মিশকাত, হা/৬০১২।