কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

অধিকহারে আল্লাহর যিকির কেন করবেন

[১১মুহাররম, ১৪৪৩ হি. মোতাবেক ২০ আগস্ট, ২০২১। মদীনামুনাওয়ারারআল-মাসজিদুলহারামে (মসজিদেনববী) জুমআর খুৎবা প্রদান করেন শায়খ আলী ইবনু আব্দুর রহমান আল-হুযায়ফী (হাফি.)উক্ত খুৎবা বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেন আল-জামি‘আহ আস-সালাফিয়্যাহ, ডাঙ্গীপাড়া, রাজশাহীর সম্মানিত সিনিয়র শিক্ষক ও ‘আল-ইতিছাম গবেষণা পর্ষদ’-এর গবেষণা সহকারী শায়খ আব্দুল কাদের বিন রইসুদ্দীন। খুৎবাটি ‘মাসিক আল-ইতিছাম’-এর সুধী পাঠকদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হলো।]

প্রথমখুৎবা

সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য।...অতঃপর শায়েখ বলেন, 

আল্লাহরবান্দাগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। যে আল্লাহকে ভয় করবে আল্লাহ তার অলী হয়ে যাবেন। আর যে ব্যক্তি প্রবৃত্তির অনুসরণ করবে এবং দুনিয়াকে প্রাধান্য দিবে, সে নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং পরকালে অফুরন্ত নেয়ামত থেকে বঞ্চিত হবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘অতঃপর যে সীমালঙ্ঘন করবে, দুনিয়াবী যিন্দেগীকে প্রাধান্য দিবে, তার থাকার জায়গা হলো জাহান্নাম। পক্ষান্তরে যে তার রবের সামনে দণ্ডায়মান হওয়াকে ভয় করবে, খেয়াল-খুশি মতো চলা থেকে নিজকে বিরত রাখবে, তার থাকার জায়গা হলো জান্নাত’ (নাযিআত, ৭৯/৩৭-৪১)

হে মুসলিমগণ! আল্লাহ তাআলা আপনাদের মানুষের শ্রেষ্ঠ গুণ ‘মুমিন’ বলে আখ্যায়িত করে নেক আমলের মাধ্যমে তাঁর অছীলা তালাশ করা এবং নষ্ট হওয়া থেকে আমলকে রক্ষা করার জন্য বলেছেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং তাকে পাওয়ার জন্য অছীলা তালাশ করো, তাঁর পথে জিহাদ করো। তাহলে আশা করা যায় তোমরা সফলকাম হবে’ (আল-মায়েদা, ৫/৩৫)। আর অছীলা হলো সকল আনুগত্য; আদেশ বাস্তবায়ন করা ও নিষেধসমূহ বর্জন করা। অছীলা শব্দটি সকল আনুগত্যকে অন্তর্ভুক্ত করে। সকল কল্যাণ একত্র করে যাবতীয় শাস্তি থেকে রেহাই দেয়। দ্বীনের প্রথম স্তম্ভ হলো আল্লাহ তাআলার যিকির অর্থাৎ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ বলা। তবে মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর দরূদ পড়ার যে কথা উল্লেখ হয়েছে তা ভিন্ন কথা। আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহু

থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তার উপর ১০টি রহমত বর্ষণ করবেন, ১০টি গুনাহ মিটিয়ে দিবেন এবং ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন’।[1] এই দরূদটি আমাদের নবীর জন্য একজন মুসলিমের পক্ষ থেকে যথেষ্ট। যেহেতু তিনি উম্মতের জন্য ব্যাপক কল্যাণের কাজ করে গেছেন এবং আন্তরিক উপদেশ দিয়ে গেছেন। যিকিরের ফযীলত সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে- মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা অধিকহারে আল্লাহর যিকির করো। অবশ্যই তোমরা সফলকাম হবে’ (আল-জুমআ, ৬২/১০)। আবূ মূসা আলাইহিস সালাম বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে আল্লাহর যিকির করে এবং যে আল্লাহর যিকির করে না তাদের উদাহারণ হলো জীবিত এবং মৃত ব্যক্তির মতো’।[2]

যিকির করার তিনটি পদ্ধতি বা স্থান আছে :

(১) অন্তর দ্বারা যিকির করা। আল্লাহ তাআলা তার গুণ ও উদারতায় তাকে প্রতিদান দিবেন। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহ বলেছেন, আমার বান্দা আমার ব্যাপারে যে রকম ধারণা রাখে আমি সে রকম আচরণ করি। বান্দা যখন আমাকে স্মরণ করে আমি তখন তার সাথে থাকি। সে যদি আমাকে মনে মনে স্মরণ করে আমিও তাকে মনে মনে স্মরণ করি’।[3]

(২) এটা হলো মধ্যম স্থান। আর তা হলো মুসলিম জবান দ্বারা তার রবের যিকির করবে এবং কখনো কখনো হৃদয় দ্বারা এর অর্থের প্রতি খেয়াল করবে না। আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘নিশ্চয় বান্দা আল্লাহর সন্তুষ্টিমূলক কথা বলে থাকে যার দ্বারা তার মর্যাদা বৃদ্ধি করতে আল্লাহ কোনো পরওয়া করেন না’।[4]

(৩) জবান দ্বারা যিকির করা এবং যিকিরের সাথে সাথে অন্তর যিকিরের অর্থ ও মহান আল্লাহর বড়ত্ব বুঝার চেষ্টা করবে। এই যিকির সর্বোচ্চ পর্যায়ের যিকির। আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেছেন, ‘তুমি যদি এই দেয়ালের পিছনে এমন কারো সাথে সাক্ষাৎ পাও যে হৃদয় দ্বারা বিশ্বাস করে সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো মা‘বূদ নাই, তাহলে তুমি তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়ো’।[5]

যিকিরের অর্থ : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার, আল-হামদুলিল্লাহ, সুবহানাল্লাহ, লা হাওলা ওয়ালা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আযীম এবং বেশি বেশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া ও দু‘আ করার মাধ্যমে প্রতিপালকের প্রশংসা করাই হলো যিকির। নবীর উপর দরূর পাঠ করাও যিকিরের অন্তর্ভুক্ত এবং আমাদের প্রতিপালক সকল অপূর্ণতা থেকে মুক্ত ও এমন সব গুণাবলি থেকে পুত-পবিত্র যা তার মহত্ত্ব, বড়ত্ব, পূর্ণতা ও মর্যাদার সাথে উপযুক্ত নয় এবং তিনি তাঁর কোনো মাখলূকের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ নন- এই ঘোষণা দেওয়াও যিকিরের অন্তর্ভুক্ত। শ্রেষ্ঠ প্রশংসা হলো ‘আল-হামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামীন’ এবং তাঁর উত্তম ও গুণবাচক নাম ধরে তাঁর প্রশংসা করা। যেমন, আয়াতুল কুরসীতে উল্লেখ হয়েছে, সূরা হাশরের শেষে উল্লেখ হয়েছে। যিকির জবানে হালকা এবং মীযানের পাল্লায় ভারী। সর্বশ্রেষ্ঠ যিকির হলো কুরআন তেলাওয়াত করা।

হে মুসলিমগণ! এই সেই যিকির যা কল্যাণ, বরকত, উপকার ও নূরে পরিপূর্ণ। আর সে তার এমন প্রতিদান পাবে যা কোনো চক্ষু দেখনি, কোনো মানব অন্তর কল্পনা করেনি। যিকিরের প্রতিদান প্রসঙ্গে আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে একটি হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দিনে ১০০ বার বলবে, لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهْوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ অর্থ : ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো প্রকৃত উপাস্য নাই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নাই, রাজত্ব তারই, সকল প্রশংসা তাঁর, তিনি সবকিছু করতে সক্ষম’ তাহলে সে ১০ জন গোলাম আযাদ করার নেকী পাবে, তার জন্য ১০০টি নেকী লেখা হবে, ১০০টি গুনাহ মোচন করা হবে, ওই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত এটা তার জন্য শয়তান থেকে রক্ষার মাধ্যম হবে। সে যে পরিমাণ আমল নিয়ে উপস্থিত হবে তার চেয়ে কেউ উত্তম আমল নিয়ে উপস্থিত হতে পারবে না। তবে ওই ব্যক্তি ব্যতীত যে তার চেয়ে বেশি আমল করেছে’।[6] উম্মে হানী রাযিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আমি বললাম, আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন এক আমলের কথা বলে দিন যা আমি বসে বসে আমল করব। তিনি বললেন, ‘তুমি ‘সুবহানাল্লাহ’ ১০০ বার পাঠ করো। কেননা, তা ইসমাঈলের ১০০ সন্তান আযাদ করার (ছওয়াবের) সমতুল্য হবে। ‘আল-হামদুলিল্লাহ’ বলো ১০০ বার। কেননা, তা লাগাম লাগানো ও জিনবাঁধা সজ্জিত ১০০ ঘোড়ার সমতুল্য, যে ঘোড়া তার পিঠে যুদ্ধাস্ত্র ও মুজাহিদকে আল্লাহর রাস্তায় বহন করে নিয়ে যায়। ‘আল্লাহু আকবার’ বলো ১০০ বার। কেননা, তা ১০০টি গলায় মালা পরানো কবুলযোগ্য কুরবানীর উটের মতো। ‘লা ইলাহা ইল্লাহ’ বলো ১০০ বার। কেননা, তা আসমান-জমিনের মধ্যকার ফাঁকা জায়গা ছওয়াব দ্বারা পূর্ণ করে দেয়’।[7] নু‘মান ইবনু বাশীর রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা যে আল্লাহর বড়ত্বের যিকির কর সুবহানাল্লাহ, আল-হামদুলিল্লাহ ও লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে (জেনে রাখো) নিশ্চয় এই যিকিরগুলো গুঞ্জরিত আওয়াযে মৌমাছির ন্যায় আরশের চারপাশে প্রদক্ষিণ করতে থাকে এবং যিকিরকারীর কথা বলতে থাকে’।[8] মুআয রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘জান্নাতবাসীরা শুধু আফসোস করবে ওই একটি মুহূর্তের জন্য যা তাদের অতিক্রম করে গেছে অথচ তারা সে সময়ে আল্লাহর যিকির করেনি’।[9] তারা আফসোস করবে এই জন্য যে, সহজ হওয়া সত্ত্বেও তারা (দুনিয়ায়) যিকিরের মহাপ্রতিদানের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করত না। যিকিরের একটি প্রতিদান হলো যিকিরকারীকে তা শয়তান থেকে রক্ষা করে। হারেছ ইবনু হারেছ আল-আশআরী রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা ইয়াহইয়া ইবনু যাকারিয়াকে আদেশ করেছিলেন যেন তিনি বনূ ইসরাঈলকে পাঁচটি বিষয়ের আদেশ করেন। তার মধ্যে একটি বিষয় ছিল ‘আল্লাহর যিকির করা’। যিকিরের উদাহারণ হলো জনৈক ব্যক্তির মতো যার পিছু ধাওয়া করল শত্রু। শেষে সে আশ্রয় নিল অপ্রতিরোধ্য এক দুর্গে এবং নিজেকে তাদের থেকে রক্ষা করল। অনুরূপ কোনো বান্দা শয়তানের ওয়াসওয়াসা (কুমন্ত্রণা) থেকে আল্লাহর যিকির ছাড়া নিজেকে রক্ষা করতে পারবে না’।[10] যিকিরের আরো একটি উপকার হলো, আল্লাহ তাআলা যিকিরকারীকে বিপদাপদ ও ধ্বংসাত্মক বিষয় থেকে মুক্তি দিবেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যদি সে (ইউনুস নবী) তাসবীহ বর্ণনা না করত, তাহলে কিয়ামত দিবস পর্যন্ত সে মাছের পেটে থেকে যেত’ (আছ-ছফফাত, ৩৭/১৪৩-১৪৪)

দ্বিতীয় খুৎবা

সকল প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য…। অতঃপর কথা হলো- তোমরা সৎ আমলের মাধ্যমে আল্লাহকে ভয় করো এবং হারাম কাজ থেকে বিরত থাকো।

আল্লাহরবান্দাগণ! তোমরা অলসতা, বিমুখতা ও আকাঙ্ক্ষার ধোঁকা পিছনে ফেলে আল্লাহর দিকে ফিরে এসো। আল্লাহ তাআলা তোমাদের রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুসরণ করার আদেশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের জীবনে রয়েছে উত্তম আদর্শ, যে আল্লাহকে পেতে চায় ও পরকাল পেতে চায় তার জন্য এবং যে আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করে’ (আল-আহযাব, ৩৩/২১)। আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিটি মুহূর্ত আল্লাহর যিকির করতেন।[11] যায়েদ ইবনু আসলাম বলেন, মূসা আলাইহিস সালাম বললেন, ‘প্রতিপালক! আপনি তো আমাকে অনেক নেআমত দিয়েছেন, আপনি আমাকে এমন আমল শিখিয়ে দেন যাতে আমি আপনার অনেক শুকরিয়া আদায় করতে পারি। তিনি বললেন, ‘তুমি অধিকহারে আমার যিকির করো। তুমি যখন আমার যিকির করবে, তখন (যেন) আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে।

বর্তমানে মুসলিমদের যিকির করা বড়ই প্রয়োজন। যেহেতু ইসলাম সম্পর্কে অমনোযোগিতার আঘাত হৃদয়ে আপতিত হয়েছে।

আর যেহেতু দুনিয়ার সাজসজ্জা ও শোভায় ধোঁকার আর যখন আমাকে ভুলে যাবে, তখন (যেন) আমার নাফরমানী করলে’।[12]

পরিমাণ বেড়ে গেছে। এক্ষণে প্রত্যেক মুসলিমের উচিত হলো যিকির বিষয়ক বই সংগ্রহ করা এবং সে অনুযায়ী আমল করা করা। যিকির বিষয়ে খুবই উপকারী একটি বই হলো, تحفة الذاكرين (তুহফাতুয যাকেরীন)।

আল্লাহর বান্দাগণ! ‘নিশ্চয় আল্লাহ ও ফেরেশতাগণ নবীর উপর রহমত বর্ষণ করেন এবং দরূদ পাঠ করেন। হে ইমানদারগণ! তোমরা তাঁর উপর দরূদ ও সালাম বর্ষণ করো’ (আল-আহযাব, ৩৩/৫৬)

‘প্রতিপালক! আমাদের পাকড়াও করবেন না যদি আমরা ভুলে যাই অথবা ভুল করি। প্রতিপালক! আপনি আমাদের উপর বোঝা চাপাবেন না যেমন আপনি পূর্ববর্তীদের উপর চাপিয়ে ছিলেন…’ (আল-বাক্বারা, /২৮৬)। সুতরাং তোমরা মহান আল্লাহর যিকির করো, তিনি তোমাদের স্মরণ করবেন। তাঁর নেআমতের শুকরিয়া আদায় করো, তিনি নেআমত বৃদ্ধি করে দিবেন। আল্লাহর স্মরণ মহান, তোমাদের কর্ম সম্পর্কে আল্লাহ অবগত।


[1]. নাসাঈ, হা/১২৯৭; মিশকাত, হা/৯২২।

[2]. ছহীহ বুখারী, হা/৬৪০৭; ছহীহ মুসলিম, হা/৭৭৯।

[3]. ছহীহ বুখারী, হা/৭৪০৫; ছহীহ মুসলিম, হা/২৬৭৫।

[4]. ছহীহ বুখারী, হা/৬৪৭৮।

[5]. ছহীহ মুসলিম, হা/৩১; মিশকাত, হা/৩৮।

[6]. ছহীহ বুখারী, হা/৩২৯৩; ছহীহ মুসলিম, হা/২৬৯১।

[7]. মুসনাদে আহামাদ, হা/২৬৯৫৬; আত-তারগীব, হা/১৫৫৩।

[8]. ইবনু মাজাহ, হা/৩৮০৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৩৮৮।

[9]. যঈফ আত-তারগীব, হা/৯১০।

[10]. তিরমিযী, হা/২৮৬৩; আত-তারগীব, হা/৫।

[11]. ছহীহ বুখারী, হা/১৯; ছহীহ মুসলিম, হা/৩৭৩।

[12]. বায়হাক্বী, হা/৬৯৯।

Magazine