কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৩৩) : একজন গরীব মহিলা সন্তান নষ্ট করতে চাইলে জনৈক ব্যক্তি সন্তানবাবদ সকল খরচ বহন করে তাকে দত্তক নেয়। এখন সন্তানটির আইডিকার্ড তৈরি করতে কোন পিতা-মাতার নাম দিবে? আসল পিতা-মাতাকে খুঁজে পেতে কষ্টসাধ্য। এখন করণীয় কী?

উত্তর : শরীআতের বিধান অনুযায়ী সন্তান তার পিতা-মাতার নামেই পরিচিত হবে। পিতা-মাতার পরিচয় জানা না গেলে তার লালন-পালনকারীরা হবে তার দ্বীনী ভাই। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা তাদেরকে তাদের পিতৃ পরিচয়ে ডাকো। এটাই আল্লাহর কাছে ন্যায়সংগত। যদি তোমরা তাদের পিতৃ পরিচয় না জানো, তবে তারা তোমাদের ধর্মীয় ভাই ও বন্ধুরূপে গণ্য হবে। এ ব্যাপারে তোমাদের কোনো বিচ্যুতি হলে তাতে তোমাদের কোনো গুনাহ নেই, তবে ইচ্ছাকৃত হলে ভিন্ন কথা। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু’ (আল-আহযাব, ৩৩/৫)। উল্লেখ্য যে, জেনেশুনে নিজ পিতা-মাতাকে বাদ দিয়ে অন্যদেরকে পিতা-মাতা হিসাবে ডাকা যাবে না এবং সার্টিফিকেট, আইডি কার্ড, পাসপোর্ট, ভিসা বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে পিতা-মাতার স্থানে তাদের নাম ব্যবহার করা যাবে না। কেননা তাতে আপন পিতা-মাতার পরিচয় গোপন করা হবে এবং অন্যকে আপন পিতা-মাতা বলে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, যার ফলাফল জাহান্নাম। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি জেনেশুনে অন্যকে পিতা-মাতা বলে, তার জন্য জান্নাত হারাম’ (ছহীহ বুখারী, হা/৪৩২৬; ছহীহ মুসলিম, হা/৬৩; মিশকাত, হা/৩৩১৪)। অন্যত্র রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, পিতাকে বাদ দিয়ে অন্যের সাথে যে নিজেকে সম্পৃক্ত করবে তার উপর আল্লাহ, ফেরেশতা ও সকল মানুষের অভিশাপ (তিরমিযী, হা/২১২১)। এমতাবস্থায় সে সকল ছেলে-মেয়েদের পিতা-মাতাকে পাওয়া যায় না তাদের আইডি বা পরিচয়পত্রে তাদের লালন-পালনকারীদেরকে অভিভাবক হিসাবে পরিচয় দেবে।

প্রশ্নকারী : আলমগীর হোসেন

গুরুদাশপুর, নাটোর।


Magazine