উত্তর: এমতাবস্থায় ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে, তাহলে আল্লাহর সাহায্য পাওয়া যাবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, إِنَّ اللَّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ অর্থাৎ ‘নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন’ (আল-বাকারা, ২/১৫৩)। বিষয়টি সমাধানের জন্য আল্লাহর নিকট দু‘আ করতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব’ (আল-মুমিন, ৪০/৬০)। মাকে আগের তুলনায় আরও ভালোবাসতে হবে। প্রতিদিন তার খোঁজ-খবর নিতে হবে। অসুস্থ হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে সাধ্যমতো ব্যবস্থা বা ক্রয় করে দিতে হবে। কাছে গিয়ে খোলা মনে কথা বলতে হবে। নরম স্বরে কথা বলতে হবে। উচ্চৈঃস্বরে কথা বলা যাবে না। পীড়াদায়ক কথা বলা যাবে না। তার সাথে খারাপ আচরণ করা যাবে না। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আপনার প্রতিপালক আদেশ করেছেন, তোমরা তাকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করবে না, পিতামাতার সাথে সদাচরণ করবে, তাদের কেউ যদি বৃদ্ধ হয়ে যায়ে যায় বা উভয়ে, তাহলে তাদের পীড়াদায়ক কথা বলো না, তাদের ধমক দিয়ো না, তাদের সাথে নরম ভাষায় কথা বলো, করুণায় তাদের প্রতি বিনয়াবনত থেকো’ (বনী ইসরাঈল, ১৭/২৪)। মায়ের সাথে সদ্ব্যবহারের বিষয়টি স্বামী-স্ত্রী উভয়কে নিশ্চিত করতে হবে। শাশুড়ির সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে এবং স্ত্রীকে বুঝাতে হবে যে, মায়ের সাথে ভালো ব্যবহারের গুরুত্ব রয়েছে। আশা করা যায়, বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে মেনে চললে ফলদায়ক হবে।
প্রশ্নকারী : রাশেদ মিজান