উত্তর : প্রথমত, আনুষ্ঠানিকভাবে বক্তব্যের মাধ্যমে এবং খানা-পিনার মাধ্যমে লায়লাতুল ক্বদর উদযাপন করা যাবে না। দ্বিতীয়ত, ২৭শে রামাযানের রাত্রিকে নির্ধারণ করে ইবাদত করা যাবে না। কেননা রামাযানের শেষের দশকের ব্যাপারে যেমন হাদীছ এসেছে তেমনি শেষ পাঁচ বিজোড় রাতের ব্যাপারেও হাদীছ এসেছে। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একাধিক হাদীছে বলেছেন, اِلْتَمِسُوْهَا فِى الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ فِىْ كُلِّ وِتْرٍ ‘তোমরা রামাযানের শেষ দশকের প্রত্যেক বেজোড় রাত্রিতে ক্বদর রাত্রি তালাশ করো’ (তিরমিযী, হা/৭৯২, সনদ ছহীহ)। তাছাড়া রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও ছাহাবায়ে কেরাম কোনো রাতকে নির্ধারণ করে লায়লাতুল ক্বদর উদযাপন করেননি। বরং লায়লাতুল ক্বদরকে খাছ করে ইবাদত করা আল্লাহর রহমতকে খাটো করার শামিল। উল্লেখ্য, ছহীহ মুসলিমে বর্ণিত যে হাদীছে ২৭ রামাযানের কথা এসেছে, তা একজন ছাহাবীর দাবী ও বিশ্লেষণ (ছহীহ মুসলিম, হা/৭২৬, ১১৬৯; মিশকাত, হা/২০৮৮)। তাই রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পক্ষ থেকে বর্ণিত একাধিক স্পষ্ট হাদীছের প্রতি আমল করা কর্তব্য, যেগুলোতে কেবল বেজোড় রাত্রির কথা এসেছে।
মাহমূদ
কলারোয়া, সাতক্ষীরা।