উত্তর: হজ্জ একটি ফরয বিধান, তার অনেক ফযীলত রয়েছে। ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘ইসলামের স্তম্ভ পাঁচটি- ১. আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোনো উপাস্য নেই এবং নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা, ২. ছালাত কায়েম করা, ৩. যাকাত আদায় করা, ৪. রামাযানের ছিয়াম পালন করা এবং ৫. হজ্জ সম্পাদন করা’ (ছহীহ বুখারী, হা/৮; ছহীহ মুসলিম, হা/১৬)। হজ্জের অনেক ফযীলত রয়েছে। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘এক উমরা থেকে আরেক উমরা উভয়ের মধ্যবর্তী গুনাহের জন্য কাফফারা স্বরূপ আর জান্নাতই হলো কবুল হজ্জের প্রতিদান’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৭৭৩; ছহীহ মুসলিম, হা/১৩৪৯)। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন, ‘তোমরা হজ্জ ও উমরা পরপর করতে থাকো। কেননা, হাপরের আগুন যেমনভাবে লোহা ও সোনা-রূপার ময়লা দূর করে, তেমনিভাবে হজ্জ ও উমরা দারিদ্র্য ও গুনাহকে দূর করে দেয় আর জান্নাতই হলো কবুল হজ্জের প্রতিদান’ (তিরমিযী, হা/৮১০; ইবনু খুযায়মা, হা/২৫১২)। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ করল এবং অশালীন কথাবার্তা ও গুনাহ হতে বিরত থাকল, সে ঐ দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে হজ্জ হতে ফিরে আসবে যেদিন তাকে তার মা জন্ম দিয়েছিল’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৫২১; ছহীহ মুসলিম, হা/১৩৫০)।
প্রশ্নকারী : ইদ্রিস আলী
টাঙ্গাইল।