উত্তর: যেই পরিমাণ জ্ঞান না থাকলে কোনো ব্যক্তি তার দ্বীন পালন করতে সক্ষম হবে না, এই পরিমাণ জ্ঞান অর্জন করা তার জন্য ফরয। ঈমানের রুকনগুলো সম্পর্কে জানা, যেমন- আল্লাহ তাআলার রুবূবিয়্যাত, তাঁর নাম গুণাবলি সম্পর্কে জানা, একমাত্র তিনিই সকল ইবাদতের হক্বদার এই বিষয়টি জানা ও সকল ইবাদত একমাত্র তার জন্যই করা। সাথে সাথে তাওহীদকে বিনষ্ট করে এমন বিষয়গুলো সম্পর্কেও জানা। আবার রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে জানা, তাঁর ওপর ঈমান আনা, তিনি যা সংবাদ দিয়েছেন তা সত্যায়ন করা, তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা। আবার দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা, ইসলামের সুস্পষ্ট বিষয়গুলো, নিশ্চিতভাবে হালাল, নিশ্চিতভাবে হারাম বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা। ছালাত, যাকাত ফরয হওয়া সম্পর্কে জানা, পিতামাতার অবাধ্য হওয়া, ব্যভিচার করা, সূদ হারাম হওয়া সম্পর্কে জানা। অর্থাৎ যেই পরিমাণ জ্ঞান না থাকলে কোনো ব্যক্তি তার দ্বীন পালন করতে সক্ষম হবে না, এই পরিমাণ জ্ঞান অর্জন করা তার জন্য ফরয (আল-ইলম, ইবনু উছায়মীন, ২৩ পৃ.)। যদি কোনো ব্যক্তি বস্তুবাদী শিক্ষা অর্জন কিংবা দুনিয়া উপার্জন করতে গিয়ে দ্বীনের বিধি-বিধান সম্পর্কে খুব বেশি জ্ঞানার্জন না করে, কিন্তু আলেমগণের থেকে দ্বীনের বিভিন্ন মাসআলা জেনে নেয় এবং আমল করে, তাহলে এটা ঈমান ভঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হবে না। কিন্তু কেউ যদি দ্বীন সম্পর্কে মোটেও জানার চেষ্টা না করে এবং বিধি-বিধানের ওপর আমল না করে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে বিন্দু পরিমাণ ধারণা না রাখে, তাদের প্রতি ভালোবাসা কিংবা শত্রুতা সম্পর্কেও কোনো কিছু না জানে, তাহলে এমন পর্যায়ের লোকদের ঈমান ভঙ্গ হয়ে যাবে।
প্রশ্নকারী : আসাদুল্লাহ আল-গালিব
জাপান।