উত্তর : ইসলামে ছবি-মূর্তি একটি নিষিদ্ধ হারাম বিষয়। আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের পর সর্বপ্রথম মক্কার ভিতর যে ৩১৩টি মূর্তি ছিল তা ভেঙ্গে চৌচির করেন এবং মুসলিমদের ইবাদতের জন্য মক্কাকে মূর্তি মুক্ত করেন। যে ঘরে মূর্তি বা ছবি থাকে সে ঘরে আল্লাহর রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না। এই মর্মে আবূ তালহা রাযিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ঘরে কুকুর এবং প্রাণীর ছবি থাকে সে ঘরে ফেরেশতাগণ প্রবেশ করে না’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৯৪৯; মিশকাত, হা/৪৪৮৯)। অত্র হাদীছ এবং ঘটনা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, একজন মুসলিমের জন্য অবশ্য কর্তব্য যে, সে যে ঘরে বসবাস করবে সে ঘরকে ছবি এবং মূর্তি মুক্ত করা। জিবরীল আলাইহিস সালাম নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘরের দরজায় ঝুলানো কারুকার্য খচিত পর্দায় ছবি এবং বাসায় কুকুর থাকার কারণে প্রবেশ না করে ঘুরে চলে যায় (তিরমিযী, হা/২৯৭০; আবূ দাঊদ, হা/৪১৫৮; মিশকাত, হা/৪৫০১)। উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, আমরা তোমাদের গির্জাসমূহে প্রবেশ করি না, কারণ তাতে মূর্তি রয়েছে। ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহুমা গির্জায় ছালাত আদায় করতেন। তবে যেগুলোতে মূর্তি রয়েছে সেগুলোতে নয় (ছহীহ বুখারী, হা/৫৪)। উল্লিখিত হাদীছসমূহ দ্বারা স্পষ্টত প্রমাণ হয় যে, যে ঘরে প্রকাশ্য ছবি মূর্তি থাকবে সে ঘরে ছালাত হবে না। অতএব ইবাদতের জন্য ঘরকে ছবি মূর্তি মুক্ত করতে হবে। অন্যথায় রুম পরিবর্তন করতে হবে বা কর্তৃপক্ষকে অবগত করত রুমমেন্টকে অন্যত্র শিপ্ট করতে হবে। কেননা মূর্তি বিশিষ্ট ঘরে একজন মুসলিমের বসবাস করাই বৈধ নয়।
প্রশ্নকারী : সুমাইয়া ইয়াসমিন
পুঠিয়া, রাজশাহী।