উত্তর : সাদামাঠাভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান করা উত্তম। তবে কারো যদি সামর্থ্য থাকে বিয়েতে অপচয় না করে অনৈসলামীক কার্যকলাপ (গান-বাজনা, আতশবাজী ইত্যাদী) থেকে বিরত থেকে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পাড়া প্রতিবেশী সকলকেই বিয়ের অনুষ্ঠানে দাওয়াত করতে পারে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘রহমানের বান্দা তারাই যারা খরচ করলে অপব্যয় করে না আবার কৃপনতাও করে না। তারা এই দুইয়ের মাঝে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় অবস্থান করে’ (আল-ফুরক্বান, ২৫/৬৭)। তিনি আরো বলেন, ‘নিশ্চয় তিনি (আল্লাহ) অপচয়কারীকে পছন্দ করেন না’ (আল-আনআম, ৬/১৪১)। আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আব্দুর রহমান ইবনু আউফের গায়ে হলুদ চিহ্ন দেখতে পেয়ে বললেন, এটা কী? সে বলল, (আল্লাহর রাসূল!) আমি খেজুর দানার সমপরিমাণ স্বর্ণের বিনিময়ে এক মহিলাকে বিয়ে করেছি। তখন রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহ তোমাকে বরকত দান করুক! তুমি একটি ছাগল দিয়ে হলেও অলিমা করো’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫১৬৭; ছহীহ মুসলিম, হা/১৪২৭; মিশকাত, হা/৩২১০)।
অন্যদিকে নতুন বউকে ঢালাওভাবে সকলের দেখার জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হারাম। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা বাড়িতে অবস্থান করো, পূর্বেকার জাহেলী যুগের নারীদের মতো রূপ-সৌন্দর্য প্রদর্শন করো না’ (সূরা আল-আহযাব, ৩৩/৩৩)। ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিন শ্রেণির ব্যক্তির উপর আল্লাহ তা‘আলা জান্নাত হারাম করেছে। ১. নেশাদার দ্রব্য পানকারী, ২. পিতা-মাতার অবাধ্য সান্তান, ৩. ঐ পুরুষ যে তার পরিবারে বেহায়াপনা, বেলেল্লাপনা, অশ্লিলতা ও বেপর্দার সুযোগ করে দেয়’ (মুসনাদে আহমাদ, হা/৬১১৩; মিশকাত, হা/৩৬৫৫)।
প্রশ্নকারী : আহসানুল্লাহ বিন আজাদ
মহাদেবপুর, নওগাঁ।