উত্তর: এ সমস্ত কথায় বিশ্বাস করা যাবে না এবং তার উপর ভিত্তি করে কিছু আমল করা, পানি পড়া খাওয়া বা নকশা তাবীয ঝুলানো যাবে না। কেননা তা শিরকের অন্তর্ভুক্ত। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো গণকের নিকট গমন করে তার কথায় বিশ্বাস করল, সে মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তা অস্বীকার করল’ (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বা, হা/১৭৬৫১)। আরেক বর্ণনায় এসেছে, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি গণকের কাছে গেল, তারপর তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করল, অতঃপর গণকের কথাকে সত্য বলে বিশ্বাস করল, চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার ছালাত কবুল হবে না’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২২৩০)। এক্ষেত্রে বিষয়গুলো পরিবারকে বুঝাতে হবে। তারপরও তারা এমন কিছু করতে চাপ দিলে তা মান্য করা যাবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমার পিতা-মাতা যদি তোমাকে আমার সাথে শিরক করার জন্য পীড়াপীড়ি করে, যে বিষয়ে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, তাহলে তুমি তাদের কথা মান্য করো না; তবে পৃথিবীতে তাদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করো’ (লুকমান, ৩১/১৫)। মানুষের ভাগ্য আল্লাহ লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। এজন্য সর্বক্ষেত্রেই আল্লাহর কাছেই চাইতে হবে এবং তাঁরই উপর ভরসা করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে আল্লাহর উপর ভরসা করে আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট’ (আত-তালাক্ব, ৩/৬৫)। বিবাহের জন্য এ দু‘আ ﴿رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا﴾ পড়া যায়। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘দু‘আ ব্যতীত অন্য কোনো কিছুই ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারে না’ (তিরমিযী, হা/২১৩৯)। একান্তই কোনো যাদুটোনা করা হয়েছে জানতে পারলে শারঈ ঝাড়ফুঁক করা যায়।
প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।