উত্তর : আয়াতের অনুবাদ : ‘দুশ্চরিত্রা নারী দুশ্চরিত্র পুরুষের জন্য, দুশ্চরিত্র পুরুষ দুশ্চরিত্রা নারীর জন্য, সচ্চরিত্রা নারী সচ্চরিত্র পুরুষের জন্য এবং সচ্চরিত্র পুরুষ সচ্চরিত্রা নারীর জন্য। লোকে যা বলে এরা তা থেকে পবিত্র। এদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা’ (আন-নূর, ২৪/২৬)। আয়াতের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা : উক্ত আয়াতটি ইফকের ঘটনায় আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহা-এর প্রতি অপবাদের প্রেক্ষিতে অবর্তীণ হয়েছে। অপবাদ রটানোর ঘটনায় কিছু সরলপ্রাণ মুসলিমও জড়িত হয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে আবূ বকর রযিয়াল্লাহু আনহু-এর দরিদ্র আত্মীয় মিসতাহ রযিয়াল্লাহু আনহুও ছিলেন। যাকে আবূ বকর রযিয়াল্লাহু আনহু আর্থিক সহযোগিতা করতেন। এ ঘটনার পর তিনি তাকে সাহায্য করা বন্ধ করে দিলে এ আয়াত অবর্তীণ হয়। এই আয়াতে أُولَئِكَ দ্বারা চরিত্রবান নারী-পুরুষ তথা আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহাও ইফকের ঘটনায় যাদের অপবাদ দেওয়া হয়েছে তাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে (তাফসীর ইবনু কাছীর, সূরা আন-নূর এর ২৬ নং আয়েতের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)।
প্রশ্নকারী : ওমর ফারুক
বাগমারা, রাজশাহী।