কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (২৭): আমার স্ত্রীর সাথে মোবাইলে কথা বলার একপর্যায়ে রাগান্বিত হয়ে প্রচণ্ড রাগের মাথায় ৩ তালাক দিয়ে ফেলি। তারপর আমার স্ত্রী বলেযে, আমাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে। ১ মাসের মধ্যেই আমি মোবাইলে কথা বলে সেকথা ফিরিয়ে নেই। আমার স্ত্রী বলে আমাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে। কুরআন এবং ছহীহ হাদীছের আলোকে এ সমস্যার সমাধান জানতেচাচ্ছি।

উত্তর: এক সাথে প্রদত্ত তিন তালাক এক তালাক হিসাবে গণ্য হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তালাক দুবার। অতঃপর বিধি মোতাবেক রেখে দিবে কিংবা সুন্দরভাবে ছেড়ে দিবে’ (আল-বাকারা, ২/২২৯)। ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে, আবূ বকর রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর যুগে ও উমার রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর খেলাফতের প্রথম দুই বছর পর্যন্ত (এক বৈঠকে) তিন তালাক এক তালাক সাব্যস্ত হতো। পরে উমার ইবনুল খাত্ত্বাব রাযিয়াল্লাহু আনহুমা বললেন, লোকেরা একটি বিষয়ে অতি ব্যস্ততা দেখিয়েছে যাতে তাদের জন্য ধৈর্যের (ও সুযোগ গ্রহণের) অবকাশ ছিল। এখন যদি বিষয়টি তাদের জন্য কার্যকর সাব্যস্ত করে দেই (তবে তাই কল্যাণকর হবে)। সুতরাং তিনি তা তাদের জন্য বাস্তবায়িত ও কার্যকর সাব্যস্ত করলেন (ছহীহ মুসলিম, হা/৩৫৬৫)। আবূ রুকানা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা যখন তার স্ত্রীকে একসাথে তিন তালাক দেন, তখন তিনি চিন্তিত হয়ে পড়লে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার স্ত্রীকে তার কাছে ফেরত দেন এবং বলেন, ‘এটি এক তালাক হিসেবে গণ্য’ (মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩৮৭)। কেউ তার স্ত্রীকে এক বৈঠকে তিন তালাক দিলে ইদ্দতের মধ্যে (৯০ দিনের মধ্যে) তাকে ফিরিয়ে নিয়ে ঘর সংসার করতে পারবে। এতে তাদের মাঝে বিচ্ছেদও হবে না এবং নতুনভাবে বিবাহ করারও কোনো প্রয়োজন হবে না। বরং পূর্বেই বিবাহই বলবৎ থাকবে।

প্রশ্নকারী : মো. শফিউল বাশার

চাঁদপুর সদর, চাঁদপুর।


Magazine