উত্তর : রামাযান মাসে কিংবা অন্য যেকোনো সময়ে মৃত ব্যক্তির নামে কুরআন খতম করার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, ছাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈনে ইযামদের থেকে কোনো প্রমাণ শরীআতে নেই। অতএব মৃত ব্যক্তির নামে কুরআন তেলাওয়াত করে তার কাছে নেকী পৌঁছানোর বিষয়টি স্পষ্ট বিদআত। আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি এমন আমল করল, যার ব্যাপারে আমাদের কোনো নির্দেশনা নেই, তা প্রত্যাখ্যাত’ (ছহীহ বুখারী, হা/২৬৯৭; ছহীহ মুসলিম, হা/১৭১৮; মিশকাত, হা/১৪০)।
তবে মৃত ব্যক্তির জন্য দু‘আ করা ও দান করা যায়। আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা বলেন, ‘জনৈক ব্যক্তি নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলল, আমার মা হঠাৎ মারা গেছেন। আমার ধারণা যে, তিনি কথা বলার সুযোগ পেলে দান করে যেতেন। আমি যদি তার পক্ষ থেকে দান করি, তবে কি তিনি নেকী পাবেন? নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৩৮৮; ছহীহ মুসলিম, হা/১০০৪; মিশকাত, হা/১৯৫০)। আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মানুষ মারা গেলে তার আমল (আমলের ছওয়াব) বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তিনটি উৎস থেকে সে ছওয়াব পেতে থাকে। ১. চলমান ছাদাক্বা, ২. উপকারী বিদ্যা, ৩. নেক সন্তানের দু‘আ’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৬৩১; আবূ দাঊদ, হা/২৮৮০; তিরমিযী, হা/১৩৭৬)।
নাজমা খাতুন
শেরপুর, বগুড়া।