উত্তর: কাফেরদের কাজ মূলত তিন ধরনের হয়ে থাকে। (১) ইবাদতগত (২) স্বভাবগত/আক্বীদাগত (৩) কর্ম ও শিল্পগত। প্রথম ও দ্বিতীয় ক্ষেত্রে তাদের অনুরসণ করা হারাম। এ ব্যাপারে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করার পর মুশরিক হয়ে শিরকে লিপ্ত হলে আল্লাহ তার কোনো আমলই গ্রহণ করেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে মুশরিকদের থেকে পৃথক হয়ে মুসলিমদের মধ্যে প্রত্যাবর্তন করে’ (ইবনু মাজাহ, হা/২৫৩৬)। অন্যত্র রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো জাতির সাদৃশ্য গ্রহণ করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত’ (আবূ দাঊদ, হা/৪০৩১)। তবে কর্ম ও শিল্পগত বিষয়গুলো বৈধ যদি ইসলাম সে ব্যাপারে নিষেধ আরোপ না করে থাকে। এ ব্যাপারে আল্লাহ বলেন, ‘আজ তোমাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ ও আহলে কিতাবদের খাবারসমূহ হালাল করে দেওয়া হলো এবং তোমাদের খাবার তাদের জন্যও হালাল করে দেওয়া হলো’ (আল-মায়েদা, ৫/১০৭)। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মুশরিকা মহিলার পানি হতে ওযূ করেছিলেন এবং এক ইয়াহূদী মহিলার হাদিয়াও গ্রহণ করেছিলেন (ছহীহ বুখারী, হা/৩১৬৯; ছহীহ বুখারী, হা/৩৪৪; বুলূগুল মারাম, হা/২২)। উক্ত আয়াত ও হাদীছদ্বয় দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, কাফেরদের তৈরি খাবার কিংবা অন্যান্য জিনিস ব্যবহার করাতে শারঈ কোনো সমস্যা নেই। তবে মুসলিমদের তৈরিকৃত খাবার ও জিনিসসমূহ ব্যবহার করাই উত্তম (আবূ দাঊদ, হা/৩৮৩৯; তিরমিযী, হা/১৫৬০)।
প্রশ্নকারী : রাহাত
মীরপুর, ঢাকা।