কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৪৫) : আমি আমার মামাকে কিছু টাকা দিয়েছি। তিনি উক্ত টাকার সাথে নিজের কিছু টাকা দিয়ে দুটি দোকান তৈরি করে ভাড়া দিয়েছেন। সাথে সাথে যতদিন তিনি আমার ঐ টাকা পরিশোধ করতে না পারবেন ততদিন একটি দোকানের ভাড়ার টাকা আমাকে দিবেন। প্রশ্ন হলো, এই ধরনের চুক্তি বা চুক্তি থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ হালাল হবে কি?

উত্তর : ইসলামী শরীআতে দুই ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য বৈধ। একটির নাম ‘মুশারাকা’ (مشاركة) অর্থাৎ শরীকানা ব্যবসা। এতে লাভ অংশহারে বণ্টন হবে। অর্থাৎ যার যেমন অর্থ থাকবে, সে তেমন লভ্যাংশ পাবে (আবূ দাঊদ, হা/৪৮৩৬, সনদ ছহীহ; বুলূগুল মারাম, হা/৮৭০; নায়লুল আওতার, হা/২৩৩৪-৩৫)। অপরটির নাম ‘মুযারাবা’ (مضاربة) অর্থাৎ একজনের অর্থ এবং অপরজনের ব্যবসা। যাতে লাভ চুক্তি অনুযায়ী বণ্টন হবে (দারাকুত্বনী, হা/৩০৭৭; মুওয়াত্ত্বা, হা/২৫৩৫; ইরওয়াউল গালীল, হা/১৪৭২, ৫/২৯২; বুলূগুল মারাম, হা/৯০৫, মাওকূফ ছহীহ)। প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যবসাটি এ দুইটির মধ্যে কোনোটির অন্তর্ভুক্ত নয়। বিধায় তা জায়েয হবে না। তবে প্রদানকৃত টাকার লভ্যাংশ অনুপাতহারে গ্রহণ করলে তা জায়েয হতো। কেননা আলী রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘প্রত্যেক ঋণ যা লাভ আনয়ন করে, সেটাই রিবা বা ‘সূদ’ (সিলসিলা ছহীহা, হা/১২১২; ইরওয়াউল গালীল, হা/১৩৯৬, ৫/২৩৫)।

প্রশ্নকারী : ছিয়াম

সিলেট সদর।


Magazine