উত্তর: প্রথমত খুৎবা হবে দুইটি এবং তা হবে মাতৃভাষায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি প্রত্যেক জাতির কাছে তাদের নিজ ভাষাভাষী রাসূল পাঠিয়েছি, যাতে তিনি তাদের নিকট তা স্পষ্টভাবে বর্ণনা করতে পারেন’ (ইবরাহীম, ১৪/৪)। জাবির ইবনু সামুরা রযিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমআর ছালাতে দুটি খুৎবা দিতেন এবং দুই খুৎবার মাঝখানে বসতেন। তিনি খুৎবায় কুরআন পড়তেন এবং লোকদের উপদেশ দিতেন (ছহীহ মুসলিম, হা/৮৬২; আবূ দাউদ, হা/১০৯৪)। অত্র হাদীছ প্রমাণ করে যে, মুছল্লী যে ভাষার মানুষ ইমামকে সে ভাষাতেই খুৎবা দিতে হবে। দ্বিতীয়ত খুৎবা চলাকালীন সময়ে অবশ্যই খুৎবা শুনতে হবে, কোনো দুনিয়াবী কাজ করা যাবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! জুমআর দিনে যখন ছালাতের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের জন্য ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ করো। এটাই তোমাদের জন্য শ্রেয়, যদি তোমরা উপলব্ধি কর। অতঃপর ছালাত শেষ হলে তোমরা যমীনে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করো ও আল্লাহকে খুব বেশি স্মরণ করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও। আর যখন তারা দেখে ব্যবসা অথবা ক্রীড়া-কৌতুক, তখন তারা আপনাকে দাঁড়ানো অবস্থায় রেখে সেদিকে ছুটে যায়। বলুন, আল্লাহর কাছে যা আছে তা খেল-তামাশা ও ব্যবসার চেয়ে উৎকৃষ্ট। আর আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ রিযিকদাতা (আল-জুমুআ, ৬২/৯)। সুতরাং খুৎবা চলাকালীন ক্রয়-বিক্রয়সহ কোনো দুনিয়াবী কাজ করা বৈধ নয়। বরং মনোযোগ সহকারে খুৎবা শুনতে হবে।
প্রশ্নকারী : ইমরান
সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম।