উত্তর : ছহীহ বুখারী, মুসলিমসহ অন্যান্য হাদীছ গ্রন্থে মানসূখ বা রহিত হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। এ সকল গ্রন্থে রহিত হাদীছ বর্ণনা করার প্রয়োজনীয়তা হচ্ছে- মানুষকে অবগত করানো যে অত্র হাদীছটি রহিত হয়ে গেছে। কেননা যদি তা উল্লেখ্য করা না হয় তাহলে, মানুষ বিভ্রান্তিতে পতিত হবে এবং আমলের ক্ষেত্রে বিবাদের সৃষ্টি হবে। দ্বিতীয়ত: পূর্বের বিধান রহিত করে নতুন বিধান দেওয়ার মধ্যে অনেক রহস্য নিহিত রয়েছে- (১) মুমিনদের উপর সহজতা আরোপ করা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এখন আল্লাহ তোমাদের থেকে (দায়িত্বভার) হালকা করে দিয়েছেন এবং তিনি জানেন তোমাদের মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে’ (আল-আনফাল, ৮/৬৬)। (২) দায়িত্বপ্রাপ্তদের পরীক্ষা করা যে তারা তা বাস্তবায়ন করছে কি করছে না; যেমন কেবলা পরিবর্তনের ঘটনা। (৩) নিয়মের ব্যাপারে অবহেলাকারীদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ইয়াহূদীদের বাড়াবাড়ি ও সীমালঙ্ঘনমূলক আচরণের জন্যে (এমন) অনেক পবিত্র জিনিসও আমি তাদের জন্য হারাম করে দিয়েছিলাম যেটা তাদের জন্য আগে হালাল ছিল’ (আন-নিসা, ৪/১৬০)। (৪) বান্দাদের কল্যাণের প্রতি লক্ষ্য করে। (৫) কঠোর বিধানের ক্ষেত্রে ক্রমান্বয়ে হালকা করা যেমন: মদ হারামের বিষয়টি।
প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ হাসিব
বুড়িচং, কুমিল্লা।