উত্তর : মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে ফকীর মিসকীনকে খাওয়ানো উচিত হবে না। বরং মৃত ব্যক্তির নামে ছাদাকা করবে ও কল্যাণকর কোনো কাজ করে দিবে, যা থেকে মৃত ব্যক্তি উপকৃত হবে। আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললেন, আমার মায়ের আকস্মিক মৃত্যু ঘটে, কিন্তু আমার বিশ্বাস তিনি (মৃত্যুর পূর্বে) কথা বলতে সক্ষম হলে কিছু ছাদাকা করে যেতেন। এখন আমি তার পক্ষ হতে ছাদাকা করলে তিনি কি তার প্রতিদান পাবেন? তখন নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘হ্যাঁ’ (ছহীহুল বুখারী, হা/১৩৮৮)। সা‘দ ইবনু উবাদাহ রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমার মা মৃত্যুবরণ করেছেন, আমি কি তার পক্ষ হতে ছাদাকা করব? তিনি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘হ্যাঁ’। আমি বললাম, কোন ধরনের ছাদাকা করা উত্তম হবে? তিনি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘পানি পান করানো’ (নাসাঈ, হা/৩৬৬৪, ইবনু মাজাহ, হা/৩৬৮৪)। উল্লেখ্য যে, তিন দিন, সাত দিন বা চল্লিশ দিন বা মৃত্যুবার্ষিকী অথবা কোনো দিনকে নির্দিষ্ট করে এধরনের খানার আয়োজন করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। কেননা তা বিদআত।
প্রশ্নকারী : শামীম রেজা
সিরাজগঞ্জ।