কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৫০): আমাদের গ্রামে একটি মাদরাসা আছে। সেখানে অনেক বিদআতী ও শিরকী আমল প্রচলিত আছে। প্রতি বছর সমাজের প্রতিটি সদস্যদের কাছে মাদরাসার জন্য চাঁদা ধরা হয়। আমার চাঁদা ধরা হয়েছে ৩ হাজার টাকা। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কী?

উত্তর: স্পষ্ট বিদআতী বা শিরকী কাজের সাথে সম্পৃক্ত কোনো প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা করা যাবে না। কেননা শিরক-বিদআত যেহেতু সবচেয়ে বড় অপরাধ, সেহেতু এজন্য কোনো সহযোগিতা করাও বড় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা নেকী ও কল্যাণের কাজে পরস্পর পরস্পরকে সহযোগিতা করো, গুনাহ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে সহযোগিতা করো না’ (আল-মায়েদা, ৫/২)। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘সেই ব্যক্তি তার ঈমান পূর্ণ করল, যে আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্যে দান-খায়রাত করে, আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্যে দান করা হতে নিবৃত্ত থাকে (তিরমিযী, হা/২৫২১)। তিনি আরো বলেন, ‘যে কেউ দ্বীনের ব্যাপারে বিদআত করে কিংবা কোনো বিদআতীকে আশ্রয় দেয় কিংবা সাহায্য করে তার উপর আল্লাহ তাআলার, ফেরেশতাগণের ও সকল মানব জাতির অভিশাপ। তার কোনো ফরয কিংবা নফল ইবাদত গৃহীত হবে না’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৮৭০; ছহীহ মুসলিম, হা/১৩৭১)।

প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।


Magazine