কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৫০): কেউ যদি ওয়াদা দিয়ে ওয়াদা খেলাফ করে, তাহলে তার কাফফরা কী?

উত্তর: মানুষ যে সব মাধ্যমে উত্তম চরিত্রের অধিকারী হতে পারে তার অন্যতম হলো কথা দিয়ে কথা রাখা। ইসলামে কথা দিয়ে কথা রাখা অপরিহার্য একটি বিষয়। এ গুণটি যার পদস্খলন হবে সে নিফাকীর দিকে ধাবিত হয়েছে বলে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন। আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মুনাফিকের আলামত তিনটি। কথা বললে মিথ্যা বলে, ওয়াদা করলে ভঙ্গ করে, আমানত রাখলে খেয়ানত করে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৩৩; ছহীহ মুসলিম, হা/৫৭)। ওয়াদা যদি আল্লাহর নামে করা হয়, তাহলে তা হবে শপথ আর শপথ ভঙ্গের কাফফারা প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের অনর্থক কসমের ব্যাপারে পাকড়াও করবেন না; কিন্তু তিনি তোমাদের পাকড়াও করবেন সে কসমের ব্যাপারে যা তোমরা দৃঢ়ভাবে করে থাক। সুতরাং এর কাফফারা হলো দশজন মিসকীনকে মধ্যম মানের খাবার খাওয়ানো অথবা তাদের পোশাক পরানো অথবা একজন দাস আযাদ করা। যদি কেউ এগুলো করতে না পারে, তাহলে সে তিন দিন ছিয়াম পালন করবে’ (আল-মায়েদা, ৫/৮৯)।
প্রশ্নকার : আব্দুল আওয়াল
কাঁটাখালি, রঘুনাথগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ, ভারত।
Magazine